কম্পিউটার - টিপস

কম্পিউটার টিপস

মেয়েদের রূপচর্চায় ওয়েল'স এর ক্যাস্টর ওয়েল ।


মেয়েদের রূপচর্চায় ওয়েল'স এর ক্যাস্টর ওয়েল ।





মেয়েদের রূপচর্চায় ওয়েল’স এর ক্যাস্টর ওয়েল দারুণ একটি পণ্য। 

এই ক্যাস্টর অয়েল চুল, চোখের পাপড়ি বা আইভ্রু ঘন ও নুতন করে গজানোর জন্য দারুণ কার্যকরী । মেয়েদের রূপচর্চায় ওয়েল’স এর ক্যাস্টর ওয়েল একটি ভেজিটেবল অয়েল যা ক্যাস্টর বীজ থেকে তৈরি হয়।এটিকে আমরা রেড়ির তেলও বলতে পারি।

খাঁটি ক্যাস্টর অয়েল এ মূলত কোন রঙ থাকে না , হালকা হলদেটে রঙের আর হালকা খুবই হালকা ঘ্রান যুক্ত এবং এর কোন স্বাদ নেই ।






ওয়েল’স এর ক্যাস্টর অয়েলের বিবরণ

 চুল পড়া রোধে এটি ব্যবহার করা যায় এবং এর সাথে অন্য কিছু মেশানর দরকার নেই।
 হাতের তালুতে একটু তেল নিয়ে চুলের গোঁড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগাতে হবে যেভাবে আপনি আপনার অন্য ম্যাসাজ অয়েল লাগান এবং ভালোভাবে ম্যাসেজ করতে হবে ।
 লক্ষ্য রাখুন তেলের পরিমাণ যাতে বেশী না হয় কারণ এটি একটু ঘন তাই বেশী লাগালে পরিষ্কার করা দুস্কর হয়ে পড়বে ।
 চুলে তেলটি ১৫-২০ মিনিট রাখুন এরপর কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলে শ্যাম্পু করুন।
 এছাড়া, এই তেল মাথায় ম্যাসেজ করে সারা রাত রাখুন এবং সকাল বেলা শ্যাম্পু করুন।
 তেল যাতে আপনার বালিসে বা বিছানার চাদরে না লাগে সেজন্য আপনার চুল একটি কটন নরম টাওয়েল দিয়ে ঢেকে রাখুন ।
 আপনি এই তেল অন্য কোন কিছুতে মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন যেমন পেপারমিন্ত এর সাথে আরও বেশী কার্যকরীতা পাওয়ার জন্য।

রং 

সাদা ,মূলত কোন রঙ থাকে না , হালকা হলদেটে রঙের আর হালকা খুবই হালকা ঘ্রান যুক্ত ।

তাড়াতাড়ি ই এর ফল পেতে শুরু করি

সাধারণত সবাই ক্যাস্টর ওয়েল এই প্রাকৃতিক উপাদানটি চুলের সমস্যায় ব্যবহার করে না কারণ এটি ঘন ও স্টিকি ।  কিন্তু আপনি যদি আপনার সাধ্যের মধ্যে ত্বক ও চুলের বিভিন্ন সমস্যার প্রাকৃতিক প্রতিরোধ চান তবে নিশ্চিতভাবে এটি একটি খুব ভাল উপায়।
আপমি প্রথম এটি ব্যবহার করি আমার ভীষণ পাতলা আইভ্রু ঘন করার জন্য। আমার বয়স যখন ১৯ বছর তখন আমি আমার ব্রু বেশী  প্লাগ করে ফেলি (লেজার) যার ফলে আমার ব্রু খুব পাতলা হয়ে যায়। এরপর এটি আর কখনোই পুরপুরি আগের মতো হয়নি । তখন আমাকে পেন্সিল দিয়ে আমার ভ্রু আঁকাতে হত। কিন্তু আমি সবসময় আমার আগের ন্যাচারাল ভ্রু খুব মিস করতাম।
একদিন আমি এই ক্যাস্টর ওয়েল এর ব্যবহার করে চুল ও ভ্রু ঘন করা যায় মর্মে একটি ম্যাগাজিনে পড়ি এবং ওয়েল’স এর ক্যাস্টর ওয়েল ব্যবহারের হারের সিদ্ধান্ত নেই । আমি হেক্সেন বিহীন প্রাকৃতিক ক্যাস্টর ওয়েল কিনে তা রাতে মুখ ধোয়ার পর  আইভুরু তে লাগাতে শুরু করি। আশ্চর্যজনক হল আমি খুব তাড়াতাড়ি ই এর ফল পেতে শুরু করি।
তিন মাসের মধ্যে আমার ভুরু লক্ষণীয়ভাবে ঘন হয়ে ওঠে । এবং একই সাথে অনেক কালো ভুরু হয়। আর এটি শুধুমাত্র সম্ভব হয়েছে এই সাধারণ ক্যাস্টর ওয়েল ব্যবহারের ফলে। আমার মতো অনেকেই ক্যাস্টর ওয়েল ব্যবহার করে এর সুফল পেয়েছেন ।

আসুন আমার জেনে নেই, কেন এই ওয়েল’স এর ক্যাস্টর ওয়েল

বিশেষ করে  আইভুরু, চোখের পাপড়ি ও মাথায় চুল গজাতে সাহায্য করে-
প্রথম কারণ হল– ক্যাস্টর অয়েলে আছে রিসিনোলাইক এসিড। এটি খুব ভাল একটি এণ্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও এণ্টি-ফাঙ্গাল এজেন্ট । এটি চুল গজানর জন্য ক্ষেত্রে যেকোনো ফাংগাস ও ব্যাকটেরিয়াকে দূরে রাখে।
এছাড়া এই তেলটি যেহেতু ঘন তাই এটি চুলের গোঁড়ায় এক ধরনেরে কোটিং তৈরিতে সাহায্য করে যা চুল পড়া রোধ করে।
২য় কারণ হল- ক্যাস্টর অয়েলে উচ্চ মাত্রার ওমেগা৯ ফ্যাটি এসিড রয়েছে যা চুলের গোঁড়া এবং গ্রন্থিকোষ জন্য পুষ্টিকর। এছাড়া এটি চুলের শিকরের গভিরে প্রবেশ করতে পারে এবং গ্রন্থিকোষে পুষ্টি জুগিয়ে নুতন চুল গজাতে সাহায্য করে।

আপনার চুলে ক্যাস্টর অয়েলের প্রভাব

ক্যাস্টর ওয়েল আপনার চুলে একটি চকমকে ভাব নিয়ে আসে এবং সাইনি করে তোলে। এর অল্প একটু তেল আপনার চুলের গভিরে প্রবেশ করে এবং প্রাকৃতিক উপায়ে চুলকে মসৃণ করে তোলে ।
আপনার হাতের তালুতে ২ ফোঁটা তেল নিয়ে চুলের গোঁড়া পর্যন্ত সুন্দরভাবে লাগান । তবে খেয়াল রাখবেন খুব বেশি তেল চুলে দিবেন না যা চুলকে আঠালো করে তুলবে । সুতারং আপনার চুলের পরিমাণ ও ধরণ বুঝে ঠিক মাত্রার তেল লাগান ।
মাথায় নুতন চুল গজাতে আপনার মাথার ত্বকে এটিকে লাগাবেন। তবে এটি যেহেতু বেশী ঘন তাই এর সাথে অল্প পরিমাণ নারকেল তেল, আপ্রিকট কার্নেল তেল বা অন্য কোন হালকা বা কম ঘন তেল মিশিয়ে নিলে এটির ঘনত্ত কমে যাবে এবং আপনার চুলে লাগাতে সুবিধা হবে।

No comments

Post a Comment

Thanks For Comment


Don't Miss
© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
made with by SaHaLoM Pro