Showing posts with label টেক লাইফ হ্যাক. Show all posts
Showing posts with label টেক লাইফ হ্যাক. Show all posts

সেরা সব নতুন মুভি + গেমস ডাউনলোড করার ফাস্ট.এফ.টি.পি সার্ভার

No comments

Saturday, 13 June 2020

1. FmMovies



2. Ftpbd



3. Dekh Vhai




4. Quick Online




5. timepass bd



6. Movie Haat




7. Mega Plex Ftp Server




8. Ghuri Online Ftp Server




9. Cine Bioscope




10. Net Home Biggest Ftp Server



11. Net Matrix




12. Load Baba Ftp Server



13. Ebox File Server



14. Film Raja



15. Bd Fun Club



16. Movie Mela Live



17. MovPly bdix ftp server



18. Satrong Ftp Server



19. Alpha Media Zone



20. Ctg Fun



21. Movie Server



22. SkyNet Ftp Server



23. Neo Bd (for Net Express Online)



24. Vootbd Media Server



25. Money bag ftp server



26. Dhaka movie



27. Vdo Mela



28. Bd Plex




29. Iflix Server



30. Natural Bd



31. Cine Bioscope



32. Mov Ply or play gig


ভূতের জাত বদলাচ্ছে, আগামী প্রজন্ম জানবে না এই ভূতেদের নাম

1 comment

Sunday, 15 December 2019







ভূতের জাত বদলাচ্ছে, আগামী প্রজন্ম জানবে না এই ভূতেদের নাম
ভূতের জাত
ছোটবেলায় ঠাম্মা জেঠুদের হাত ধরে অশরীরিদের জগতে পা রাখা। বর্ষার দিনে বা লোডশেডিং হয়ে গেলেই মোমবাতির আলোতে ভূতের গল্পের বই নিয়ে বসতাম। সে সবই সময়ের সঙ্গে অতীত হয়েছে। এখন ঠাম্মা বা জেঠুরাও একটু বেশিই ফ্র্যাঙ্ক। ভূতের গল্পের চেয়ে তাদের কাছে এখন অ্যাডালেশন পিরিয়ড সম্পর্কে জ্ঞানের কথায় বেশি শোনা যায়। 
এদিকে হলিউডি সিনেমার হাত ধরে এখন পশ্চিমী ভূতেদের সংখ্যাই বেশি। পোল্টারজিস্ট হোক বা জম্বি সবই আমেরিকান সংস্কৃতির অবদান। অথচ দেশের সম্পদ যে ব্রহ্মদৈত্য, শাখচুন্নি, পেত্নী, স্কবন্ধ, মামদো এদের নাম জানতের পারছে না নতুন প্রজন্ম। ইংরাজি শিক্ষিত হওয়াই এই ভূতেদের সঙ্গে না হচ্ছে এদের পরিচয় না এরা শুনছে সেই সব গায়ে কাঁটা দেওয়া গল্প। ভূতের নয়া সংস্করন আসলে বিপদে ফেলে দিয়েছে পুরাতনদের।

ব্রহ্মদৈত্য
ব্রহ্মদৈত্য হচ্ছেন খানিকটা ভূতেদের সর্দার গোছের। ব্রাহ্মণ মরে ব্রহ্মদৈত্য হয়। তারপর পায়ে খড়ম চাপিয়ে, সাদা ধুতি পরে খট খট শব্দে হেঁটে বেড়ায়। তার থাকার প্রিয় স্থান বেলগাছ বা শিমুল গাছ। ব্রহ্মদৈত্য খুশি হয়ে বর দেন মাঝে মাঝে। কেউ তাকে রাগিয়ে দিলে শাস্তি পায়। সাধারণত ব্রহ্মদৈত্য মশাই কারোর অনিষ্ট করেন না। কিন্তু যেহেতু ব্রাহ্মণের ভূত বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে ভালোবাসে, অপরিচ্ছন্ন কাউকে পেলে ঘাড়টা মটকেও দেন কখনো কখনো।
পেত্নী
পেত্নী হলো ভূতের নারী সংস্করণ। সংস্কৃত 'প্রেতনী' থেকে লৌকিক পেত্নীর আবির্ভাব। অল্পবয়সী, অবিবাহিতা কোনো মেয়ে অপঘাতে মারা গেলে পেত্নী হয়। এরা তেঁতুল আর শ্যাওড়া গাছে পা ঝুলিয়ে বসে নাকি সুরে কথা বলে আর মানুষকে বিরক্ত করে। তাদের পায়ের গোড়ালি উল্টোদিকে ঘোরানো থাকে।
শাঁকচুন্নি
নারী ভূতেদের ভেতর পেত্নীর পরেই পরিচিতির তালিকায় আসে শাঁকচুন্নির নাম। শঙ্খ বা শাঁখা চূর্ণী থেকে মানুষের মুখে ঘুরেফিরে অবশেষে শাঁকচুন্নিতে গিয়ে ঠেকেছে। শাঁকচুন্নি হলো অল্পবয়সী বিবাহিত নারীর অতৃপ্ত আত্মা। তার হাতে থাকে শাঁখা। লালপেড়ে সাদা শাড়ি পরে এরা পুকুর ঘাটে বসে থাকে। যদি কোনো বিবাহিত নারী একা একা চুল খুলে পুকুরে কাজ করতে আসে, তবে তার ভেতর ঢুকে তার মতোই সুখে জীবন কাটাতে চায়। অন্যদিকে কোনো তরুণ যদি পুকুরে মাছ ধরতে আসে, তবে তার কাছে মাছ চায় সে। প্ররোচনায় ভুলে মাছ দিলেই হল, তরুণের আত্মা কব্জা করে নেয় শাঁকচুন্নি। অনেক এলাকাতে এরা শাঁকিনী বলেও পরিচিত।
স্কন্ধকাটা
এদের দেহের উপর মাথা থাকে না। দুর্ঘটনা বা শাস্তি হিসেবে যাদের গলা কেটে দেয়া হয়, তারাই এই ভূতে পরিণত হয়। এরা সন্ধ্যার পর বাড়ির পেছনের জংলামতো জায়গায় দু'হাতে মাথা নিয়ে লোফালুফি করে আর অযথাই কথা বলে মানুষকে বিরক্ত করে। আবার কিছু আছে তাদের মাথা হাতেও থাকে না। তারা নিজেদের মাথা খুঁজে বেড়ায়। আর মানুষ দেখলে তার মাথা ছিঁড়ে নিজের করে নিতে চায়।
মামদো
ব্রাহ্মণের ভূত আছে মুসলমান ভূত থাকবে না তাই কি হয়? মামদো হলো মুসলমান ভূত।
রাক্ষস
বিশালদেহী, বড় বড় নখ-দাঁতওয়ালা এই ভূত বাংলার রূপকথায় একটি অনিবার্য অংশ। এরা বেশ প্রাচীন। পুরাণেও এদের উপস্থিতি পাওয়া যায়। মানুষলোভী এই ভূতেদের প্রিয়বাক্য 'হাউ মাউ খাউ, মানুষের গন্ধ পাউ'।
খোক্কস
খোক্কস হল রাক্ষসের ছোট সংস্করণ। এরা অনেকটা রাক্ষসের কর্মচারীর মতো।
চোরাচুন্নি
চোর বা তার বউ যদি অপঘাতে মরে, তবে তারা চোরাচুন্নি হয়। মৃত্যুর পরও তারা অন্যের বাড়ির জিনিসের লোভ ছাড়তে পারে না। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাই জিনিসপত্র ভাংচুর করে বেড়ায়। ভূতে বিশ্বাসীরা এদের হাত থেকে ঘরকে বাঁচাতে বিভিন্ন ব্যবস্থা রাখে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ঘরে গঙ্গাজল ছিটান আর মুসলমানরা কোরআনের আয়াত রাখেন।
মেছোভূত
বাংলার ভূতেদের ভেতর সবচাইতে লোভী ভূত। তার মাছ এতই পছন্দ যে খালে-বিলে-পুকুরে নদীতে সে শুধু মাছ খেয়ে বেড়ায়। রান্নাঘরে এনে রাখা মাছকেও ছাড় দেয় না। তার সবচেয়ে বেশি পছন্দ ইলিশ মাছ। কেউ যদি রাত করে ইলিশ মাছ হাতে বাড়ি ফেরে, রাস্তাতে অনুনয় করে মাছ চাইতে থাকে মেছোভূত। অনুনয়ে কাজ না হলে ভয় দেখিয়ে মাছ কেড়ে নেয়।
গেছোভূত
ইনি এক বৃক্ষপ্রেমী ভূত। গাছেই থাকেন সারা রাতদিন।
পেঁচাপেঁচি
এটি হল পেঁচা আর তার বউ পেঁচির ভূত। তারা জোড়ায় জোড়ায় ঘুরে। না, ব্যঙ্গমা-ব্যঙ্গমীর মতো মিষ্টি মিষ্টি করে তারা কথা বলে না। বরং রাতদুপুরে কেউ জঙ্গলে গেলে তাকে ভয় দেখিয়ে মেরে ফেলে। এদের প্রধান শিকার হল শিশুরা।
কানাখোলা/কানাভুলো
এরা চরাঞ্চল অথবা রাতের বেলা গ্রামের খালি রাস্তা অথবা বড় মাঠে ঘোরে। পথিককে পথ ভুলিয়ে একই স্থানে বার বার নিয়ে আসে। ভয়ে ক্লান্তিতে একসময় পথিক মারা যায়।
নিশি
রাতের বেলা ডাক দেয়ার কারণে এর নাম নিশি। যারা নিশির ডাকে সাড়া দেয় তারা নাকি আর ফিরে আসে না। বিভ্রান্ত হয়ে ঘুরতে থাকে। সিনেমা নাটকের নিশিরা দুই-তিনবার ডাকলেও লোকজ সাহিত্যের আসল নিশি নাকি একবারই ডাকতে পারে। তাই লোকজ বিশ্বাসমতে, রাতের বেলা দুই-তিনবার ডাক না শুনে বের হওয়া উচিত না।
কাঁদরা-মা
এটিও একটি ভীষণ কেঁদো বয়স্ক নারীভূত। তারা সাদা শাড়ি পরে ইনিয়ে বিনিয়ে জঙ্গলের পাশে ঘুরে বেড়ায়।
বেঁশোভূত
এরা বাঁশঝাড়ের ভূত। কবরস্থানের পাশে বাঁশঝাড়ে এদের বাস। লোকগাথায় এসব রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখা যাবে এরা বাঁশ নামিয়ে অপেক্ষা করছে পথিকের জন্য।
বেঘোভূত
ইনি যে সে ভূত নন! একেবারে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের শিকার ভূত। সুন্দরবনের আশেপাশের গ্রামগুলোতে বেঘোভূতের গল্প শুনতে পাওয়া যায়। মানুষ বাঘের শিকার হয়ে মারা গিয়ে বেঘোভূত হয়। মৌয়াল আর বাওয়ালদের ভয় দেখিয়ে পথ ভুলিয়ে এরা বাঘের সামনে নিয়ে যায়।
ডাইনী
ইনি আবার একটু ব্যতিক্রম। ইনি মৃত নন, জীবিত ও সাধারণত নারী। প্রচলিত গল্পগুলোতে কেউ কেউ জন্ম থেকে ডাইনী বা অশুভলক্ষণা হয়। আবার কেউ হয় তন্ত্র সাধনা আর কালোজাদু করে। অনেক গল্পে আমাদের ডাইনীদেরকেও কিন্তু ঝাঁটার পিঠে উড়তে দেখা যায়।
দেও-দানো
দেও হল পানির ভূত। মানুষকে পানিতে ডুবিয়ে মারা তার অভ্যাস।
বোবা
ইনি অন্য ভূতেদের মতো অত ভয়ঙ্কর নন। ঘুমের ভেতর মানুষকে আক্রমণ করে এই ভূত। তখন মানুষ কথা না বলতে পেরে শব্দ করতে থাকে। একে বলে বোবায় ধরা। আধুনিক বিজ্ঞানে এর ব্যাখ্যা থাকলেও ভূতের গল্প হিসেবে বোবায় ধরা বেশ আকর্ষণীয়।
পিশাচ
রক্তপিপাসু ভ্যাম্পায়ার আর ড্রাকুলার বাঙালি সংস্করণ। তাদের গায়ে থাকে বোঁটকা গন্ধ। সে মানুষের শরীরে ভর করে অন্যদের রক্ত খেতে পারে।
শিকল টানা ভূত/ হাঁড়া ভূত
কমবয়সী বিবাহিত মেয়েকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা যদি অত্যাচার করে পানিতে ডুবিয়ে মারে, তবে তৈরি হয় শিকল ভূত। লম্বা লম্বা চুলকে শিকলের মতো ব্যবহার করে এরা পানিতে থাকা মানুষের পা ধরে টান দেয়। যেসব পুকুরে মানুষ ডুবে মরার হার বেশি সেসব পুকুরের পেছনে মানুষ শিকল টানা ভূতের গল্প খোঁজে।
যক্ষ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'সম্পত্তি সমর্পণ' গল্পটির কথা মনে আছে? এমনি করে একসময় বিশ্বাস করা হতো। কৃপণ ব্যক্তিরা তাদের অঢেল ধন-সম্পত্তি মাটির নিচে ঘর করে রাখতেন। সাথে বসিয়ে দিতেন কোনো শিশুকে। শিশুটি সেখানে না খেতে পেয়ে মারা যেত। তারপর সে যক্ষ হয়ে ধন-সম্পত্তি আসল মালিকের কাছে হস্তান্তরের জন্য অপেক্ষা করত।
বাড়ুল ভূত
বাড়ুল ভূত হলো বৈশাখ মাসে ঘূর্ণী বাতাসের ভূত। যারা এই ভূতে বিশ্বাস করেন, তারা ঝড়ের সময় পিঁড়ি পেতে বাড়ুল ভূতকে চলে যেতে বলেন।
ঘোড়াভূত, গোভূত
বাংলা সাহিত্যে ঘোড়া আর গরুরও ভূত হয়। রাতের বেলা জ্বলন্ত চোখে টগবগ করতে দেখা যায় ঘোড়াভূতকে। কখনো কখনো তাদের সাথে থাকে স্কন্ধকাটা। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাকি গোভূত দেখেছিলেন।
ব্যস্ততা বাড়ার সাথে সাথে আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছি গ্রাম থেকে, এতসব লোকজ ভূতের গল্প থেকে। ভূতেরা থাক আর না থাক, লোকসাহিত্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে বেঁচে থাকুক গ্রামবাংলার ভূতের গল্পগুলো।


ইতিহাসের অন্যতম ভয়ংকরতম ভাইরাসের নাম র‍্যানসমওয়্যার

No comments

Monday, 9 December 2019


ইতিহাসের অন্যতম ভয়ংকরতম ভাইরাসের নাম র‍্যানসমওয়্যার


র‍্যানসমওয়্যার কী?

ইংরেজি শব্দ ‘র‍্যানসম’ মানে হচ্ছে মুক্তিপণ। র‍্যানসমওয়্যার হলো সেসব ক্ষতিকর প্রোগ্রাম বা ভাইরাস/ম্যালওয়্যার যেগুলো আক্রান্ত ডিভাইসের ফাইল লক করে দেয় এবং সেই লক খোলার জন্য অর্থ দাবী করে। আপনারা হয়তো এর আগে “ওয়ানাক্রিপ্ট (WannaCrypt)” এর নাম শুনেছেন? আপনারা হয়তো এটাও জানেন, সেই র‍্যানসমওয়্যার লক্ষাধিক আক্রান্ত পিসির ফাইল এনক্রিপ্ট বা লক করে দিয়েছিলো, এবং প্রতিটি পিসির ফাইল খুলে দিতে অনলাইনে সুরক্ষিত পেমেন্টের মাধ্যমে ৩০০ ডলার করে মুক্তিপণ চেয়েছিলো । বিটকয়েনের মাধ্যমে প্রেরিত এই অর্থ কে বা কারা পাচ্ছে তা সনাক্ত করাও সম্ভব হচ্ছেনা।
আপনি যদি অর্থ না দেন, তাহলে সর্বোচ্চ ৩ দিনের মধ্যে সকল ফাইল ডিলিট করার হুমকি দিচ্ছে ওয়ানাক্রিপ্ট ভাইরাস বা র‍্যানসমওয়্যার।
র‍্যানসমওয়্যার মূলত ৩ প্রকারের-

১. স্কেয়ারওয়্যার (Shareware)

নাম শুনে যতটা না ভয়ংকর লাগছে, আসলে এই ভাইরাস ঠিক অতটা ভয়ংকর নয়। কিছু ক্ষতিকারক সিস্টেম সফটওয়্যার ও স্ক্যামরূপী ভাইরাসের সমন্বয়ে এটি গঠিত। ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর সময় এমন একটি পপ-আপ মেসেজ আসতে পারে যেখানে লেখা থাকবে যে, একটি ভাইরাস ধরা পড়েছে এবং ভাইরাসটি থেকে মুক্তি পেতে কিছু টাকা প্রদান করতে হবে। টাকা প্রদান না করলেও স্কেয়ারওয়্যার তেমন কোনো ক্ষতি করতে পারে না। অনেক সময় ব্যক্তিগত কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিছু ক্ষতিকারক সফটওয়্যার ইন্সটল করারও অনুমতি চায় এসব ম্যালওয়ার। কম্পিউটারে হালনাগাদকৃত অ্যান্টিভাইরাস থাকলে স্কেয়ারওয়্যার নিয়ে চিন্তা করার খুব বেশি প্রয়োজন নেই।

২. স্ক্রিন লকার

এই ধরণের ম্যালওয়ার একটু চিন্তাভাবনা করার বিষয়ই বটে। কেননা নাম শুনেই বুঝা যাচ্ছে যে, একবার যদি এই ধরণের কিছু কম্পিউটারের সিস্টেমে ঢুকে পড়ে, তবে আক্ষরিক অর্থেই আমরা অন্ধ হয়ে যাবো কম্পিউটারের সামনে। কম্পিউটার অন করলেই পর্দায় একটি সতর্কীকরণ বার্তা আসবে, পর্দায় আন্তর্জাতিক কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার লোগো থাকবে (যেমন- যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই) এবং বলা হবে যে, উক্ত কম্পিউটারে অবৈধ কার্যক্রমের জন্য কিছু অর্থদণ্ড দেয়া লাগবে। কিন্তু সত্যি কথা হচ্ছে, বিশ্বের কোনো গোয়েন্দা সংস্থা-ই অবৈধ কার্যক্রমের জন্য হঠাৎ করে কোনো পার্সোনাল কম্পিউটারের তথ্য আটকে রেখে টাকা দাবী করে না।

৩. এনক্রিপ্টিং র‍্যানসমওয়্যার

এবার আসা যাক মূল আসামীর দিকে। এই ধরণের ম্যালওয়ার আসলেই খুব বিপদজনক। এধরণের ম্যালওয়ারের আক্রমণে অনেকসময় ভীষণ শক্তিশালী সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নিমিষেই বিকল হয়ে যেতে পারে। এই ম্যালওয়ারের বিশেষত্ব হলো, একবার এই ম্যালওয়ার আপনার কম্পিউটারে প্রবেশ করলেই সর্বপ্রথম এটি কম্পিউটারের ড্রাইভে থাকা প্রত্যেকটি ফাইলকে এনক্রিপ্টেড করে ফেলে। সোজা বাংলায় বললে, ফাইলগুলোকে লক করে দেয় যেন ঐ ফাইল সাইবার অপরাধীরা ছাড়া অন্য কেউ খুলতে না পারে। এবং শেষে টাকা দাবী করে। ব্যাস ! একবার যদি কোনো ফাইল এনক্রিপ্টেড হয়ে যায়, তাহলে কোনো তৃতীয় পক্ষের সফটওয়্যার বা অ্যান্টিভাইরাস ঐ ফাইল পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারবে না। এমনকি, টাকা দেয়ার পরও কোনো গ্যারান্টি থাকবে না যে সাইবার অপরাধীরা সহিহ-সালামত আপনার সকল ফাইল আপনাকে ফেরত দিবে কিনা।

এগুলা কিভাবে কাজ করে?

র‍্যানসমওয়্যার হল এক ধরনের ম্যালওয়্যার, যা কিনা একটি কম্পিউটার ডিভাইসকে আক্রান্ত করার পর ব্যবহারকারীকে তার পিসিতে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখে, এবং ব্যবহারকারীর প্রবেশ সীমাবদ্ধ করে দেয় এবং এই সীমাবদ্ধতা দূর করার জন্য ব্যবহারকারীর কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি করে।
কিছু র‍্যানসমওয়্যার আছে যা সিস্টেমের হার্ড ড্রাইভে অবস্থিত সকল ফাইল একটি বড় কী দিয়ে এনক্রিপ্ট করে ফেলে। এনক্রিপশন কী এতটাই বড় হয় যে মুক্তিপণ না দিয়ে একে ভেঙে ফেলা প্রযুক্তিগত দিক থেকে প্রায় অসম্ভব। এছাড়াও কেউ কেউ সরল একটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সিস্টেম লক করে দেয় এবং ডিসপ্লেতে বার্তার মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে মুক্তিপণ দিতে প্রলুব্ধ করে থাকে।
এটি মূলত ক্রিপ্টোভাইরাল এক্সটরশন নামে তিন ধাপে কাজ করে, যথাঃ
1. সাইবার ক্রিমিনাল একটি পাসওয়ার্ড সেট করে ম্যালওয়্যারটি অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়।
2. ব্যবহারকারীর পিসিতে স্থান করে নিয়ে ফাইল ‘লক’ করে হ্যাকারের সেট করে দেয়া বার্তা দেখায়
3. হ্যাকার দাবিকৃত অর্থ পেয়ে ভিকটিমকে কোডটি জানিয়ে দিলে তা দিয়ে আবার ফাইল ডিক্রিপ্ট করা যায় । 

কি ক্ষতি হচ্ছে ভাইরাসের মাধ্যমে?

এসব হ্যাক করা তথ্যের মধ্যে থাকে ব্যবহারকারীর বিভিন্ন ছবি, ফাইল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ইত্যাদি। শুধু এখানেই শেষ নয়, তারপর এসব তথ্য ফেরত পাওয়ার জন্য ব্যক্তির কাছে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ চাওয়া হয়। অর্থ না দিলে সে তথ্যগুলো নষ্ট করে দেয়া হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়। বিশ্বের ১০০টির বেশি দেশ এই হামলার শিকার হয়েছিলো । এই আক্রমণে বিভিন্ন খাতের অনেক বড় প্রতিষ্ঠানসহ হাজার হাজার কম্পিউটার সিস্টেম অচল করে দিয়েছিলো র‍্যানসমওয়্যারটি। তারপর আক্রান্ত কম্পিউটারে বার্তা দিয়ে হ্যাকাররা ৩০০ ডলারের বিনিময়ে নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছিলো হ্যাকাররা।
অন্যদিকে অর্থ দিয়েও সব তথ্য যে ফেরত পাওয়া যাবে সেটাও নিশ্চিত নয় কিংবা আবার যে হ্যাক হবে না তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই।
ওয়ানাক্রিপ্ট উইন্ডোজের যে নিরাপত্তা ত্রুটি ব্যবহার করছে, সেটি সমাধান করার জন্য মাইক্রোসফট গত মার্চ মাসেই নিরাপত্তা আপডেট প্রদান করেছিল। যেসকল পিসি আক্রমণের শিকার হয়েছে সেসব পিসি ব্যবহারকারীরা যেকোনো কারণেই হোক মার্চ মাসের সেই MS17-010 সিকিউরিটি প্যাচ আপডেট ইনস্টল করেননি, অথবা মাইক্রোসফট যে সকল উইন্ডোজ সংস্করণে আর সাপোর্ট দিচ্ছেনা সে সকল উইন্ডোজ সংস্করণ ব্যবহার করছিলেন। তবে এখন মাইক্রোসফট অসমর্থিত উইন্ডোজের জন্যও (এক্সপি, ভিসতা) এই প্যাচ উন্মুক্ত করেছে।
আপনি যদি উইন্ডোজ ১০ পিসি ব্যবহারকারী হন তাহলে আপনি এই যাত্রা ওয়ানাক্রিপ্ট ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থেকে মুক্ত, কারণ উইন্ডোজ ১০ ওএসে এই ম্যালওয়্যারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা দেয়াই আছে।
নিজেকে রক্ষা করার জন্য যে পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করতে পারেন
বর্তমানে ওয়ানাক্রাই এর জন্য কোন ডিক্রিপশন টুল (আনলক করার পদ্ধতি) বা এর অন্য কোন সমাধান উপলব্ধ নেই, তাই ব্যবহারকারীরা তাদের নিজেদের সুরক্ষার জন্য নিম্নোক্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা অনুসরণ করতে পারেন।

নিরাপদ থাকতে করণীয়ঃ

র‍্যানসমওয়্যার থেকে নিরাপদ থাকার এখনও পর্যন্ত কোনো অব্যর্থ উপায় জানা যায়নি বলে অনলাইন এবং অফলাইন – উভয় মাধ্যমেই নিজের প্রয়োজনীয় ফাইলসমূহের ব্যাকআপ রাখা আবশ্যক। এছাড়াও, নিজের এবং একান্ত তথ্যের গোপনীয়তার জন্য কার্যকর অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা উচিত।
র‍্যানসমওয়্যার সুরক্ষায় সবার আগে প্রয়োজন আপডেটেড ওএস, তাই অবশ্যই আপনার কম্পিউটারে অটো-আপডেট চালু রাখুন।
অপরিচিত কারো কাছ থেকে আসা বার্তা বা মেইলে কোনো লিংক বা অ্যাটাচমেন্ট ফাইল থাকলেও লিংক বা ডাউনলোডে ক্লিক করা উচিত নয়।
আপনার প্রয়োজনীয় ডাটা ও ফাইলের ব্যাকআপ রাখুন এবং সপ্তাহ বা মাসে অন্তত একবার আপডেট করে নিন।
কম্পিউটার ও মোবাইল ফোনের নিরাপত্তায় ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস নয়, অবশ্যই ভালো মানের লাইসেন্সড অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন।

কাঁচা আমের লোভনীয় কাশ্মীরী আচার

No comments

কাঁচা আমের লোভনীয় কাশ্মীরী আচার

বাজারে এখন প্রচুর কাঁচা আম পাওয়া যায়। তাই আমের আচার বানানোর সময় চলে এসেছে। খাবারের স্বাদ ও মুখের রুচি বাড়াতে আচারের জুরি মেলা ভার। এছাড়া প্রিয়জনের জন্য ঘরে বানিয়ে ফেলতে পারেন মজাদার কাশ্মীরী আচার।

যা যা লাগবে :
কাঁচা আম বড় সাইজের ১ কেজি, চিনি আধা কেজি বা পরিমাণ মতো, সিরকা ১ কাপ, শুকনা মরিচ গোল গোল করে কাটা ১ টেবিল চামচ, আদা ফুল করে কাটা ১ টেবিল চামচ, পানি পরিমাণ মতো এবং লবণ সামান্য।

প্রণালি :
প্রথমে আম ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে মাঝারি সাইজের লম্বা লম্বা করে কেটে সামান্য লবণ মাখিয়ে একদিন রোদে দিয়ে ফুটন্ত পানিতে ২ মিনিট ফুটিয়ে নিন। তারপর ঝাঁঝরিতে দিয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। একটি পাতিলে পরিমাণ মতো পানি ও চিনি দিয়ে সিরা করে তাতে টুকরা করা আম দিয়ে অল্প আঁচে রেখে জ্বাল দিতে থাকুন।

আমের সিরা যখন ঘন হয়ে আসবে তখন তাতে একে একে সিরকা, বাটা মরিচ, গোল করে কাটা লাল মরিচ এবং টুকরা করা আদা দিয়ে প্রায় ৩/৪ মিনিট চুলায় আস্তে জ্বালে রেখে দিন। প্রায় ঘন হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। এরপর ঠাণ্ডা করে বোয়ামে ভরে ফ্রিজে রেখে খাওয়া যাবে প্রায় এক বছর।

ডিম ছাড়াই তৈরি লোভনীয় ক্যারামেল পুডিং

No comments

ডিম ছাড়াই তৈরি লোভনীয় ক্যারামেল পুডিং 

পুডিং খেতে ছোট-বড় সবাই খুব পছন্দ করে। মিষ্টি খাবারের মধ্যে পুডিং অন্যতম। পুডিং খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কমই আছেন। পুডিং তৈরির প্রধান উপাদান হলো ডিম। অনেকের অ্যালার্জি থাকার কারণে ডিম খাওয়া নিষেধ থাকে। আবার অনেক সময় ঘরে ডিম না থাকার কারণে পুডিং খাওয়ার ইচ্ছা থাকলে পুডিং তৈরি করা হয় না। এখন ডিম ছাড়াও পুডিং তৈরি সম্ভব। কীভাবে? জেনে নিন ডিম ছাড়া পুডিং তৈরির রেসিপিটি। আকর্ষণীয় এই পুডিং নিজে তৈরি করে খান আর উপহার দিন প্রিয়জনদের।

উপকরণ:
২-৩ চা চামচ কাস্টার্ড পাউডার, ১/২ কাপ টকদই, ১/২ কাপ কনডেন্সড মিল্ক,
১/২ কাপ দুধ, ৩-৪ টেবিল চামচ চিনি, চিনির গুঁড়ো, ২-৩ ফোঁটা ভ্যানিলা এসেন্স, চেরি অথবা স্ট্রবেরি সাজানোর জন্য।

প্রণালী:
প্রথমে একটি প্যানে চিনি দিয়ে নাড়ুন। তার সাথে সামান্য পানি দিয়ে দিন। চিনি এবং পানি একসাথে কিছুক্ষণ নাড়তে থাকুন। ক্যারামেল তৈরি হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এবার ক্যারামেলটি পুডিং-এর পাত্রে ঢালুন।

অন্য একটি পাত্রে টকদই, কনডেন্সড মিল্ক, চিনির গুঁড়ো, কাস্টার্ড পাউডার এবং দুধ দিয়ে ভালো করে মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে। এতে ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে ভালো করে নাড়ুন। যদি মিশ্রণটি পাতলা মনে হয় তাহলে এতে আরো কাস্টার্ড পাউডার মেশাতে পারেন।

সবগুলো উপাদান মেশানো হয়ে গেলে ক্যারামেল ঢালা পাত্রে মিশ্রণটি ঢেলে দিন। এবার চুলায় একটি পাত্রে পানি দিয়ে তার মধ্যে পুডিং এর পাত্রটি দিয়ে দিন। ঢাকনা দিয়ে অল্প আঁচে রান্না করতে দিন।

টুথপিক দিয়ে পরীক্ষা করে নিন পুডিং ভালোভাবে হয়েছে কিনা। সম্পূর্ণ সিদ্ধ হয়ে এলে নামিয়ে ফেলুন। তৈরি হয়ে গেলো ডিম ছাড়া পুডিং। ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা হতে দিন। পরিবেশনের আগে এর উপরে চেরি অথবা স্ট্রবেরি দিয়ে সাজিয়ে নিন।

চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়।

No comments

Tuesday, 3 December 2019


চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়।

রাতে ঘুম না হলেই বিপদ। চোখের নিচে পুরু কালো দাগ। অনেকের আবার ঘুম হলেও এই কালো দাগ দূর হয় না চোখ থেকে৷ পরিপাটি সাজের বারোটা বাজিয়ে দেয় এই চোখের কালো দাগ৷ সবাই জিজ্ঞাসা করে ‘সারারাত ঘুম হয়নি?’ লজ্জায় পড়েন আপনিও৷ তবে এই লজ্জার দিন শেষ। জেনে নিন, আপনার চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়-
১. কদম ফুলের পাপড়ি বেটে পাঁচ থেকে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এতে চোখের নিচের কালো দাগ অনেকটাই দূর হবে। এটি না পেলে পুদিনাপাতা বা নিমপাতাও ব্যবহার করতে পারেন।
২. দুই চা চামচ ফ্রিজে রাখুন এবং চামচ দু’টি ঠাণ্ডা হবার জন্য অপেক্ষা করুন। চামচ ঠাণ্ডা হলে, বালিশে শুয়ে চোখের উপর চামচ দু’টি রাখুন। এটির দুটি সুফল আছে। এটি চোখের ক্লান্তি দূর করে এবং চোখের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
৩. দু’টি কটন বল শসার রসে ডুবিয়ে চোখের ওপর পনেরো মিনিট রাখুন।
৪. ঠাণ্ডা টি ব্যাগ চোখের ওপর রাখলে ভালো ফল পাবেন। গ্রিন টি-এর ব্যাগ রাখলে কাজ দ্রুত হবে।
৫. খোসাসহ আলু বেঁটে চোখের নিচে লাগাতে হবে। তিন চার দিন এই পেস্টটি ব্যবহার করুন। কালো দাগ দূর হবে।
৬. কাজু বাদাম বেটে দুধের সঙ্গে গুলিয়ে, পেস্ট করে চোখের চারপাশে লাগাতে পারেন।
৭. চোখের চারপাশে বাদাম তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলেও দ্রুত উপকার পাবেন। 
সূত্র: ইন্টারনেট

যেসব খাবারে দাঁতের ক্ষতি।

No comments




যেসব খাবারে দাঁতের ক্ষতি।

দাঁত শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। খাবার খেতে সাহায্য করার পাশাপাশি মুখের গড়ন এমনকি কথা বলায় সহায়তা করতেও দাঁতের আছে ভূমিকা। মাড়ি বা গাম, ক্রাউন এবং মাড়ির ভেতর থাকা রুট বা মূল ; এই তিন নিয়ে দাঁতের গড়ন। যার মধ্যে প্রত্যক্ষভাবে খাবার চিবাতে সাহায্য করে ক্রাউন অংশটি। দাঁতের যেকোন যন্ত্রণাই হতে পারে অসম্ভব কষ্টের কারণ। 

আমাদের প্রতিদিনের খাবারের মধ্যেই এমন সব উপাদান থাকে যা দাঁতের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে ভবিষ্যতে। তাই খাবার সম্পর্কেও থাকতে হবে সচেতন

মিষ্টিজাতীয় শরবত ,দীর্ঘদিনের অভ্যাস হলে তা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। প্ল্যাক ব্যাক্টেরিয়া চিনির সহায়তায় একধরণের অ্যাসিড তৈরি করে যা দাঁতের এনামেল অংশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। 

কার্বোনেটেডজাতীয় কোমল পানীয়, সোডা এগুলো অ্যাসিডিক বা অম্লীয় ধরণের হয়। কোলা, ক্যাফেইনজাতীয় পানীয় মুখগহবরকে শুষ্ক করে তোলে যা দাঁতের জন্য ভালো নয়। এসব পান করলে পাশাপাশি খাবার পানি পান করে নেয়া ভালো।

মুখরোচক চকলেট, বিশেষকরে হার্ডক্যান্ডি বলে পরিচিত যেগুলো সেগুলো দাঁতকে করে ফেলে দুর্বল এবং দাঁত ভেঙ্গে যাওয়ার কারণ পর্যন্ত হতে পারে । তাই এধরনের অতিরিক্ত সুগার সম্বলিত হার্ডক্যান্ডি
এড়িয়ে চলা ভালো।

গরমের সময় পানিতে বরফের শীতলতা পেলে প্রশান্তি আসে সবার প্রাণেই। কিন্তু এই বরফই হয়ে উঠে ক্ষতির কারণ যদি তা চিবিয়ে খাওয়া হয়। চিনি কিংবা ক্ষতিকর অন্য কিছু নেই! তবু পানির এই কঠিনরূপ থেকে দাঁতকে সুস্থ রাখতে বরফকে চিবিয়ে খাওয়া উচিত নয় মোটেই।

শুষ্ক ফল
 ,খাবার হিসেবে  যেমন কিসমিস ইত্যাদি অনেকেরই পছন্দের তালিকায় থাকে। এসব খাবার দাঁতে লেগে থাকে অনেকক্ষণ যা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। তাই এই ধরণের খাবার খেলে সঠিকভাবে ব্রাশ করা উচিত যাতে খাবারের অংশ দাঁতে লেগে না থাকে।

অ্যাসিডিক ধরনের খাবার, দাঁতের এনামেলকে ক্ষয় করে। তাই স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় ফলও কখনো কখনো দাঁতের সুরক্ষায় বাধার কারণ হয়। সাইট্রিক অ্যাসিডযুক্ত ফল যেমন লেবু, কমলা ইত্যাদি গ্রহণের সাথে সাথে তাই প্রচুর পানিও পান করতে হবে যাতে দাঁত থাকে সুস্থ।

মুখের শুষ্কতা ও ডিহাইড্রেশনের, আরেকটা কারণ অ্যালকোহল। অতিরিক্ত পরিমাণে ও নিয়মিত অ্যালকোহল গ্রহণ মুখের ভেতর স্যালিভা নিঃসরণের পরিমাণ কমিয়ে ফেলে যা দাঁতের ক্ষয় ও মাড়ি মুখের ভেতরের নানা ধরনের ইনফেকশনের কারণ হয়ে উঠে। 

খাবার গ্রহণকে সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যের করতে যে দাঁতের প্রয়োজন তা যদি হয় উল্টো ক্ষতির কারণ তাহলে মহাবিপত্তি। তাই দাঁতের যত্নে হতে হবে সচেতন, নিয়মিত যত্নের পাশাপাশি বছরে অন্তত দুইবার ডেন্টিস্টের সাথে পরামর্শও করা উচিত।

দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে কী করতে হবে?

No comments

Monday, 2 December 2019








দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে কী করতে হবে?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’।

জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।

আপনার জিজ্ঞাসার ১৯৭৪তম পর্বে দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার কোনো উপায় আছে কি না, সে সম্পর্কে মাগুরা থেকে চিঠিতে জানতে চেয়েছেন মোসা. মরিয়ম সুলতানা। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।

প্রশ্ন : এই যে ঝড়-বৃষ্টি, বিদ্যুৎ চমকানো, বজ্রপাত, গাড়ির অ্যাক্সিডেন্ট ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের বিপদ মানুষের ওপর দিয়ে যায়, আর তাতে মানুষ আহত বা নিহত হয়। এর থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর কাছে কী করলে এগুলো থেকে মাফ করে দেবেন?

উত্তর : আল্লাহর বান্দা যে কাজগুলো করতে পারবেন সেটি হচ্ছে, প্রথম আল্লাহতায়ালার কাছে দোয়া করা। দ্বিতীয় যেটি সেটি হলো, বান্দাদের হেফাজতের জন্য আল্লাহ সুবানাহুতায়ালা একটি বিষয় বান্দাদের ওপর বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। সেটি হলো, আল্লাহতায়ালার অধিকার যেগুলো আছে, সেগুলোকে হেফাজত করা।

এ জন্য আল্লাহ সুবানাহুতায়ালা এটা আমাদের একদম স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, রাসূল (সা.) থেকে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, এ হাদিসটি তিরমিজ বর্ণনা করেছেন, সনদের দিক থেকে বিশুদ্ধ। এটা আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাসকে লক্ষ্য করে আল্লাহর রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘হে যুবক! তোমাকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কালিমা শিক্ষা দেবো। আল্লাহতায়ালাকে হেফাজত করো, তাহলে আল্লাহতায়ালা তোমাকে হেফাজত করবে।’

এখানে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে হেফাজতের অর্থ হচ্ছে, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অধিকার যেগুলো রয়েছে, সেই অধিকারগুলো তোমাকে অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে। তাহলে আল্লাহতায়ালা তোমাকে হেফাজত করবে।

আল্লাহতায়ালাকে হেফাজত করবে না, তাহলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনও হেফাজত করবে না। এ জন্য এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ করণীয় বিষয় হচ্ছে, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে হেফাজত করা। আপনি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে হেফাজত করছেন কি না। বিপদের আগে আল্লাহ সুবানাহুতায়ালা তোমাকে সহযোগিতা করবে।

আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে সামনে পেয়ে যাবে। কিন্তু আমরা এ কাজ করি না। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের হুকুমগুলো হেফাজত করি না। যদি আমরা হেফাজত করতাম, তাহলে অবশ্যই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের এই সমস্ত বিপদ মুসিবতে হেফাজত করতেন।

তৃতীয়ত, সকাল-সন্ধ্যার যেসব দোয়া রয়েছে, এগুলোকে হেরজ বলা হয়ে থাকে। এগুলো মূলত বাঁচার জন্য শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। আপনি সকালের যে মৌলিক দোয়াগুলো রয়েছে, সেগুলো পড়বেন। আবার সন্ধ্যার যে মৌলিক দোয়াগুলো আছে, সেগুলো পড়বেন। তাহলে দেখতে পাবেন যে অবশ্যই আল্লাহ সুবানাহুতায়ালা আপনাকে হেফাজত করছেন এবং এই দোয়াগুলো জেনে নিলে আমরা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হব।

সূত্রঃএনটিভি

Don't Miss
© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
made with by SaHaLoM Pro