Showing posts with label অনলাইন আর্নিং. Show all posts
Showing posts with label অনলাইন আর্নিং. Show all posts

অনলাইনে উপার্জন শুরু করতে পারেন যেভাবে

No comments

Friday, 13 December 2019


অনলাইনে উপার্জন শুরু করতে পারেন যেভাবে

আমাদের প্রতিদিনের ব্যবহার্য ভাত-মাছের মত ইন্টারনেট তথা অনলাইন হল পৃথিবীর মত আরেকটি ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড। একে সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড বললেও ভুল হবে না। এখানে কোটি কোটি মানুষ বিচরন করে ভার্চুয়ালি। আর এই ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড ইন্টারনেট নিয়ে, আমাদের মধ্যে সবসময় নানা প্রশ্ন, জানার ইচ্ছা কাজ করে। আর সেই জানার ইচ্ছা অনেকসময় আমাদের টেনে নিয়ে ওয়্যারবিডিের মত ওয়েবসাইটে।

অনলাইনে অর্থ উপার্জন নিয়ে আমাদের সকলের একটা প্রশ্ন মাথায় থাকেই। অামরা অনেকে একে সহজ বিষয় মনে করে থাকি। তবে কম্পিউটার ইন্টারনেট থাকলে ইন্টারনেট থেকে আয় করা যায় না, আয় করতে আপনার কোনো স্পেসিফিক বিষয়ে স্কিলড হতে হয়। ক্লিক করে বা বসে বসে আয় করার স্বপ্ন সবসময় স্বপ্নই থেকে যায়। তবে নিজের একটু মেধা ও পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে এই ভার্চুয়াল জগত থেকে টাকা আয় করা সম্ভব। আজ অনলাইনে উপার্জনন করবেন কিভাবে আর্টিকেলের প্রথম পর্বে, জানাবো কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে, যেখান থেকে আপনি ভালো মানের উপার্জন করতে পারবেন। তো বন্ধুরা, তাহলে কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক…
এডসেন্স থেকে



Photo by pasja1000 on Pixabay.com

বর্তমানে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করার খুবই বড় একটি সুযোগ গুগল এর এডসেন্স । ব্যাক্তিগত ওয়েবসাইট বা ব্লগে রিলিভেন্ট বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করানোর মাধ্যমে, এডসেন্স হতে পাবলিশার বা ওয়েবসাইট মালিক উপার্জন করতে পারে। তবে এডসেন্স থেকে ভালো কিছু পেতে ভালো মানের কনটেন্ট নিয়ে কাজ করতে হয়। গুগল ব্লগার দিয়ে ফ্রী ব্লগ তৈরি করে, সেখানে ভালো কনটেন্ট লিখলে, সেখানেও এডসেন্স এর মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়। তবে নিজের ডোমেইন ও হোস্টিং কিনে ওয়ার্ডপ্রেসে বা নিজস্ব প্রোগ্রাম এর তৈরি ওয়েবসাইট এ গুগল এর এডসেন্স ব্যবহার করে ভালো মানের টাকা আয় করা যায়। এতদিন বাংলা ভাষায় অ্যাডসেন্স না থাকার ফলে বাংলা কনটেন্ট এর জন্য আয় তেমন আশা করা যেত না। তবে বর্তমানে বাংলা ভাষায় অ্যাডসেন্স উন্মুক্ত হয়ার ফলে অনলাইনে বাংলা টেক্সট কনটেন্ট তৈরিকারক দের জন্য অ্যাডসেন্স বড় সুযোগ হতে পারে। সঠিক পরিশ্রম আপনাকে অ্যাডসেন্স থেকে আপনার ক্যারিয়ার সেট করেও দিতে পারে।

ঠিক একইভাবে ইউটিউব চ্যানেলেও অ্যাডসেন্স প্রোগ্রাম এর সাথে যুক্ত হয়ে কনটেন্ট ক্রিয়েটর টাকা আয় করতে পারে। এখানে অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে তার নিজের ভিডিও মোনিটাইজেশন করার মধ্য দিয়ে কনটেন্ট ক্রিয়েটর উপার্জন করে থাকে। তবে এর যোগ্য হওয়া একটু কঠিন ব্যাপার বটে! আপনার চ্যানেল তৈরির পর থেকে তার ১ হাজার সাবস্কাইবার ও ৪ হাজার ঘণ্টা ওয়াচ টাইম না হলে আপনি এই সুবিধা পাবেন না। তবে আপনার চ্যানেল একবার অ্যাডসেন্স এর জন্য তৈরি হয়ে গেলে আপনার উপার্জন ভালো মানের হবে এটি নিশ্চিত। আর একটু ভালো মানের ভিডিও নিয়মিত বানালে এই লক্ষ মাত্রা পার করা কঠিন কিছু নয় ।

এফ কমার্স ও ইনস্টা কমার্স থেকে



Photo by Pexels

এফ কমার্স ও ইনস্টা কমার্স অর্থাত ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম এর মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাইট ব্যবহার করে আপনি অনলাইনে ব্যবসা করতে পারেন। এখানে ব্যবসা করবেন কিভাবে? তা হল আপনার বিভিন্ন পন্য এসব মাধ্যমের সাহায্যে বিক্রয় করে। অনেকে বাসায় বিভিন্ন কারুশিল্প তৈরি করে থালেন, তাদের জন্য এই সব বাসায় তৈরি শিল্পের বিক্রয়ের বড় মাধ্যম হতে পারে এই এফ/ইনস্টা কমার্স ; কেননা প্রতি মুহূর্তে কোটি কোটি ইউজার এসব সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করছে। বিজনেস পেজ তৈরি করে, নিজেদেরর পন্যের বিজ্ঞাপন পোস্ট আকারে দিয়ে তা বুস্ট করার মাধ্যমে, একজন ব্যবসায়ী এখানে তার পন্যের বিক্রয় বাড়িয়ে তুলতে পারেন।

তবে এসব সামাজিক মাধ্যমে পন্যের ব্যবসা করার ক্ষেত্রে, একটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে আপনি কি বিক্রয় করবেন সেটি নিয়ে। বাজারে সচরাচর যেসব জিনিস পাওয়া যায়, তা আপনি কখনও এসব মাধ্যম ব্যবহার করে বিক্রি করতে যাবেন না। আপনার নিজের তৈরি কারুশিল্প প্রকৃতির পন্য থাকলে বিক্রয় করতে পারেন ; অথবা আপনি আলিবাবার মত মার্কেট প্লেস থেকে কমদামে আকর্ষনীয় সব পন্য বিদেশ থেকে আমদানি করে দেশে ভালো মুনাফার সাথে তা সামাজিক মাধ্যম কমার্সে বিক্রয় করতে পারেন। আর সাধারনত এসব মাধ্যমে ইলেক্ট্রনিকস আকর্ষনীয় সব পন্য বিক্রয় করে মাস শেষে আপনি একটা মোটা অংকের টাকা আয় করতে পারবেন।

ছবি বিক্রয় করে



Photo by Min An from Expels

বিগত ১-২ বছর হল আমাদের দেশে ডিএসএলআর ক্যামেরা কেনা একটা ট্রেন্ড, এর সাথে সাথে বেড়েছে তথাকথিত অনেক ফটোগ্রাফার । তবে দিনশেষে এসব বেশির ভাগ ফটোগ্রাফার ছবি ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল এর ভেতরই সীমাবদ্ধ থাকছে। এর থেকে অনেকে কোনো আর্থিক লাভ আনতে পারছেন না। বেশিরভাগ ডিএসএলআর ধারী ফটোগ্রাফার শেষমেষ ঝুঁকে পড়েন ওয়েডিং ফটোগ্রাফীর দিকে, যাই হোক। আমার চাইতে যারা ফটোগ্রাফী নিয়ে আয়ের পথ খুঁজছেন, তারা ফটোগ্রাফী সম্পর্কে বেশি জানেন। তাদের জন্য এর থেকে আয়ের একটি বড় পথ হল এসব ছবি অনলাইনে বিক্রয় করা।

সাটারস্টক, আইস্টক, ড্রিমসটাইম এর মত ওয়েবসাইটে একজন ফটোগ্রাফার তার তোলা অসাধারন বিভিন্ন ছবি বিক্রয় করতে পারেন। আর যেহেতু বাংলাদেশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অভাব নেই, অসাধারন নানা ছবি তুলে এসব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রতি সেলে (বিক্রয়ে) একজন আপলোড কারী ৫০-২০০০ টাকা আয় করতে পারেন, অর্থাত ১০০ জন তার ছবি এসব ওয়েবসাইট থেকে কিনলে তিনি পাবেন ৫০০০-২০০০০০ টাকা। সুতরাং একজন স্কিলড ফটোগ্রাফার তার ছবির মাধ্যমে অনলাইন থেকে অনেক ভালো আয় করতে পারবে।



Photo by Negative Space on Pixels

গ্রাফিক্স ডিজাইনারঃ কেবল ফটোগ্রাফার নয়, কম্পিউটার অন স্ক্রীন গ্রাফিক্স ডিজাইনার তাদের বিভিন্ন ব্যানার,বিজনেস কার্ড, ভেক্টর ডিজাইন তৈরি করে সাটারস্টক এর মত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রয় করে, অনলাইনে আয় করতে পারবে।

টি-সার্ট ডিজাইন করে



আপনার মাথায় কি অসাধারন একটি টি-সার্টের ডিজাইন ঘুরঘুর করছে? তবে সুযোগ তা টাকায় পরিনত করার। অনলাইনে টিস্প্রিং এর মত ওয়েবসাইটে টি-সার্ট ডিজাইন বিক্রয় করে আপনি হাজার ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন। যারা গ্রাফিক্স/ভেক্টর/টাইপোগ্রাফি ডিজাইনার তাদের জন্য এটি একটি প্লাস পয়েন্ট। তবে যারা এসব জানেননা, তবে রং তুলিতে ক্যানভাসে অসাধারন ডিজাইন করতে পারেন ; তারা তাদের ডিজাইন সহজেই কম্পিউটারে স্ক্যান করে ডিজাইন বিক্রয় করতে পারবেন।

এখানে আপনার ডিজাইন ক্রিয়েটিভিটি এবং ট্রেন্ড টপিক ক্যাপচার করার ক্ষমতা যত বেশি আপনার আয় তত বেশি। সাটারস্টক এর মতই এখানে আপনার ডিজাইন টিস্প্রিং এ যত বেশি বিক্রয় হবে, আপনার আয় হবে তত বেশি। সুতরাং চিত্রাংকন প্রেমী ও গ্রাফিক্স ডিজাইনার দুশ্রেনীর মানুষের জন্যই অনলাইনে উপার্জন করার এটি একটি বড় প্লাটফর্ম।

এই ছিল অনলাইনে উপার্জন করার কয়েকটি কার্যকর উপায়। আর এই পর্বে এইকটি নিয়েই আলোচনা করলাম। অনলাইনে উপার্জন বিষয়ে পরবর্তী পর্ব চান কিনা তা আপনি অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। এখানে এই বিষয়গুলোকে সহজ বলে কখনই উড়িয়ে দিবেন না, সবগুলোই পরিশ্রম ও আপনাকে কিছু সময় দিতে হবে। এখানে আরও কিছু জানার থাকলে অবশ্যই নিচে কমেন্টে জানাবেন। পরবর্তীতে আমরা এডসেন্স, ইউটিউব, ওয়েব হোস্টিং ব্যবসা, ই কমার্স, অ্যাফিলিয়েট ইত্যাদি বিষয়ে জানব। আর সে পর্যন্ত সাথেই থাকবেন, নিয়মিত ওয়্যারবিডি এর পাশে থাকবেন।

How to sell cars online / অনলাইনে গাড়ি বিক্রি করবেন যেভাবে

No comments

Thursday, 14 November 2019


অনলাইনে গাড়ি বিক্রি করবেন যেভাবে
How to sell cars online





হাটে বা সরাসরি ক্রেতার কাছে বিক্রির পাশাপাশি অনলাইনেও গাড়ি বেচাকেনা করা যায়। অনলাইনে বিক্রি করার আগে কিছু বিষয় জেনে রাখলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।  

দ্রুত বিক্রির জন্য গাড়ির বাজার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। গাড়ির বাজারের বর্তমান অবস্থা বিষয়ে জ্ঞান আপনার গাড়িটির ভালো দাম পাইয়ে দিতে পারে।

দাম নির্ধারণ: দাম ঠিক করার আগে গাড়ির ব্র্যান্ড, মডেল, মাইলেজ, গাড়ির ভেতর ও বাইরের অবস্থা বিবেচনা করতে হবে। যেমন ধরা যাক, গাড়িটি টয়োটা করোলা এক্স, ২০০৪ মডেল, রেজিস্ট্রেশন ২০০৮, শোরুম কন্ডিশন। তখন এটি কেনার সময় দাম ছিল ১৬ লাখ টাকা। ছয় বছর পর এসে এই গাড়ির দাম হতে পারে ১০ লাখ টাকা। যদিও গাড়ির মডেল ও অবস্থা অনুযায়ী দামের হেরফের হতে পারে। আর গাড়িতে বিল্ট-ইন নেভিগেশন সিস্টেম, মোবাইল ইলেক্ট্রনিকস, যেমন-ডিভিডি ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম, সানরুফ, ইন্টেলিজেন্ট চাবি অথবা গাড়ির সজ্জাসামগ্রী, যেমন-বেড লাইনার, গ্রিল, রানিং বোর্ড, স্টেপ বার, ফগ লাইট, টেইল লাইট ট্রিটমেন্ট, আইনগতভাবে জানালা টিন্টিংয়ের মতো জিনিসের পেছনে যদি বিনিয়োগ করে থাকেন, তাহলে দাম হবে বেশি। কারণ এসব বাড়তি সুবিধার জন্য দামও গাড়ির রি-সেল মূল্যের সঙ্গে যোগ করতে হবে।

উপস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ : এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে আপনার গাড়িটি দেখতে যেন টিপটপ হয়। এ জন্য নিচের বিষয়গুলো একটু মাথায় রাখুন।

* অনলাইনে গাড়ির ছবি দেয়ার আগে ধোঁয়ামোছা করে নিন। এ ক্ষেত্রে ‘কার ওয়াশ’ সেন্টার থেকে কাজ করালে ভালো। এরপর ছবি তুলে অনলাইনে আপ করুন। এ ক্ষেত্রে হাই রেজল্যুশন বা উচ্চ মানের ছবি দিন। অন্তত চারটি উচ্চমানের ছবি দিয়ে ক্রেতার কাছে আপনার গাড়িটি ভালোভাবে উপস্থাপন করুন।

* গাড়ির বর্ণনা লেখার সময় যতটা সম্ভব বিস্তারিত লিখুন এবং বর্ণনামূলক শব্দ ব্যবহার করুন, যাতে ক্রেতারা স্পষ্ট ও নির্ভুল তথ্য পান। গাড়ির জরুরি সব কাগজপত্র সম্পর্কে তথ্য দিন। যানবাহনের প্রকার, আকার, মডেল, সাল, সিরিজ, সংস্করণ, অবস্থা, মাইলেজ, রং, দাম প্রভৃতি উল্লেখ করুন। টয়োটা করোলা জি ২০০৬, সিলভার, ২৫ হাজার কিলোমিটার মাইলেজ, ভালো কন্ডিশন, ১৪ লাখ টাকা। যদি শুধু ব্র্যান্ড ও ধরন উল্লেখ করেন, তাহলে তথ্য সম্পূর্ণ হবে না।

* কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করুন।

যেমন-শুধু গাড়িটি ‘সবুজ’ না লিখে উল্লেখ করুন সেটি কি ‘ম্যাট’, ‘মেটালিক’ নাকি ‘অ্যাক্রিইলিক’ সবুজ। ওভাবেই যদি গাড়ির সিটগুলো সোয়েড

নিয়মিত আপডেট থাকুন: সাইটে বিজ্ঞাপন দিয়েই মনে করবেন না যে আপনার কাজ শেষ। নিয়মিত খোঁজখবর রাখুন। ক্রেতার কৌতূহল মেটানোর চেষ্টা করুন। যত তাড়াতাড়ি আগ্রহী ক্রেতাদের প্রশ্নের জবাব দেয়া যাবে, তত দ্রুত বাড়বে আপনার গাড়ি বিক্রির সম্ভাবনা।

যোগাযোগ তথ্য দিন: আপনার নাম, এলাকা, শহর, ই-মেইল ঠিকানা, ফোন নম্বর উল্লেখ করুন যোগাযোগের জন্য। কোনো ক্রেতা যোগাযোগ করলে তৎক্ষণাৎ তার উত্তর দিন।

বিটকয়েন সম্পর্কে ৫ টি ভুল ধারণা : এগুলো বিশ্বাস করা বন্ধ করুণ !

No comments

Wednesday, 13 February 2019







বিটকয়েন সম্পর্কে ৫ টি ভুল ধারণা


১. এসব ভুল ধারণার বিষয়টি শুরু করতে হলে প্রথমেই বলতে হয় বিটকয়েন সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষের সবথেকে বড় ভুল ধারণার কথা। এখনও অধিকাংশ মানুষ যারা বিটকয়েন সম্পর্কে কম-বেশি জানেন, তাদের মধ্যে অনেকেরই ধারণা হচ্ছে, তারা কখনো বিটকয়েন কিনতে পারবেনা। কারণ, বিটকয়েন কিনতে হলে আপনাকে সর্বনিম্ন ১ বিটকয়েন কিনতে হবে। যার বর্তমান বাজারমূল্য ১৫,০০০ ডলার এরও বেশি। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ একটি ভুল ধারণা। হ্যাঁ, আপনি বিটকয়েন কিনতে চাইলে আপনি চাইলে ১ বিটকয়েন এবং ১০ বিটকয়েন বা ২০ বিটকয়েন যত ইচ্ছা কিনতে পারেন। কিন্তু সর্বনিম্ন আপনাকে ১ বিটকয়েনই কিনতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। আপনি চাইলে ০.১ বিটকয়েনও কিনতে পারবেন এবং চাইলে ০.০১ বা ০.০০১ পরিমাণ বিটকয়েনও কিনতে পারবেন। আপনি যদি ১ টি বিটকয়েন এর সমান দাম দিয়ে সম্পূর্ণ একটি বিটকয়েন কিনতে না পারেন, তাহলেও আপনি চাইলেই ১০০ ডলার বা এমনকি ১০-১৫ ডলার খরচ করে ০.১ বা ০.০০১ পরিমান বিটকয়েনও কিনতে পারবেন।
২. এবার আসি দ্বিতীয় ভুল ধারণার বিষয়ে। এই ভুল ধারণাটিও অনেকেই বিশ্বাস করেন। বিশেষ করে যাদের বিটকয়েন এবং এই সম্পূর্ণ ক্রিপটোকারেন্সি ইন্ডাসট্রি সম্পর্কে খুব বেশি ধারণা নেই, তারাই এই ভুল ধারণাটি বিশ্বাস করে থাকেন। তাদের মধ্যে অনেকেই মনে করে থাকেন যে বিটকয়েনের দাম দিনদিন বাড়তেই থাকবে। কখনোই কমে যাবে না। কিন্তু এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। বিটকয়েনের প্রাইস প্রত্যেক মিনিট এবং অ্যাকিউরেটলি বলতে হলে প্রত্যেক ১/২ সেকেন্ডে চেঞ্জ হতেই থাকে। কিন্তু চেঞ্জ হয় মানেই যে দাম বেড়ে যায় এমনটা নয়। বিটকয়েনের দাম আগামীকালকে বেড়ে অনেক বেশিও হয়ে যেতে পারে এবং দাম কমে একেবারে সামান্যও হয়ে যেতে পারে। বিটকয়েনের দামের বিষয়টা অনেকটা স্টক মার্কেটের মত। বিটকয়েনের গত কয়েক মাসের প্রাইজ এর আপ-ডাউন দেখলেই বুঝবেন যে এই ধারণাটি আসলে কতটা ভুল। শুধুমাত্র ৩-৪ মাসের মধ্যেই বিটকয়েনের প্রাইস বেড়ে গিয়ে ২০ হাজার ডলারের কাছাকাছিও গিয়েছে এবং আবার ১ মাসের মধ্যে কমে গিয়ে ১১ হাজার ডলারও হয়ে গিয়েছে। তাই বিটকয়েনের দাম শুধুমাত্র বাড়তেই থাকবে এমন ভাবার কোন কারণ নেই।

৩. বার আসি তৃতীয় ভুল ধারণার বিষয়ে। এটি সম্ভবত বিটকয়েন সম্পর্কে সবথেকে ভুল বড় ভুল ধারণা যেটি প্রায় ৮০% মানুষই বিশ্বাস করে এবং এখনো করছে। ভুল ধারণাটি হচ্ছে, বিটকয়েন ট্র্যানজেকশন কেউ কখনো ট্র্যাক করতে পারেনা। প্রায় ৮০% মানুষ যারা বিটকয়েন এবং ক্রিপটোকারেন্সি সম্পর্কে জানেন, তারা বিশ্বাস করেন যে, বিটকয়েনের সবথেকে মজার ব্যাপার হচ্ছে এটি কবে কখন কে কার সাথে লেনদেন করছে তা অন্য কেউ কখনো ট্র্যাক করতে পারেনা বা জানতে পারেনা। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ সত্যি নয়। অনেকেই হয়ত একটি বিষয় জানেন না যে, বিটকয়েন এর প্রত্যেকটি লেন-দেন হচ্ছে পাবলিক। একজন যখন অন্য আরেকজনকে বিটকয়েন সেন্ড করে বা কেউ যখন বিটকয়েন রিসিভ করে, তখন এই সম্পূর্ণ ট্র্যানজেকশনটি ব্লকচেইনে ইন্টার করা হয় এবং ইন্টারনেটে সংযুক্ত  যেকোনো ব্যাক্তি এই ট্র্যানজেকশনগুলো দেখতে পারবে, যদিও সেখানে যারা বিটকয়েন লেন-দেন করেছে তাদের কোন নাম বা কন্টাক্ট ইনফরমেশন থাকবেনা। থাকবে শুধু যে দুটি বিটকয়েন ওয়ালেট ব্যাবহার করে তারা লেন-দেন করেছে সেই দুটি ওয়ালেট এর অ্যাড্রেস এবং তাতে থাকা বিটকয়েনের পরিমাণ। এই ইনফরমেশনগুলো সবসময়ই পাবলিক। কিন্তু, এদের মধ্যে কেউ একজন যদি তার বিটকয়েন ওয়ালেট ব্যাবহার করে অন্য কোথাও পণ্য কিনে থাকে বা বিটকয়েন ব্যাবহার করে কোথাও কোন স্টোরে পেমেন্ট করে থাকে, তাহলে তাকে অবশ্যই ট্র্যাক করা সম্ভব হবে। কোন দেশের সরকার যদি চায় কোন একটি বিটকয়েন ট্র্যানজেকশন ট্র্যাক করতে, তাহলে তারা শুধুমাত্র সাস্পেক্টদের বিটকয়েন ওয়ালেট অ্যাড্রেস নিয়ে ওই স্টোরে গিয়ে জানতে চাইতে পারে যে এই বিটকয়েন ওয়ালেট অ্যাড্রেস ব্যাবহার করে কে তাদের কাছ থেকে পণ্য কিনেছে। এটা জানতে চাইলেই স্টোরের ক্যাশিয়ার তাদের রেকর্ড চেক করে বলে দিতে পারবে যে কে এই পণ্যটি কিনেছে। বিষয়টি যদিও একটি কমপ্লিকেটেড, তবুও বিটকয়েন ট্র্যানজেকশন ট্র্যাক করা সরকারের কাছে খুবই সম্ভব, যদি তারা এই বিষয়ে যথেষ্ট রিসার্চ করে।
৪. এবার আসি বিটকয়েন সম্পর্কে মানুষের চতুর্থ ভুল ধারণার বিষয়ে। এই ভুল ধারণাটিও এখনো অনেকের মনেই আছে। এই ভুল ধারণাটি হচ্ছে বিটকয়েন মাইনিং নিয়ে। অনেকেই মনে করেন যে যেকোনো পিসিতেই বিটকয়েন মাইন করা যাবে এবং এটা লাভজনক হবে। কিন্তু এই ধারণাটিও ভুল। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে, আপনি চাইলে যেকোনো পিসিতেই বিটকয়েন মাইন করতে পারবেন। কিন্তু সমস্যাটি হচ্ছে প্রোফিটেবলিটি নিয়ে। যেমন, আপনি যদি লো এন্ড সিপিইউ বা জিপিইউ ব্যাবহার করে বিটকয়েন মাইন করেন, তাহলে আপনি মাইনিং ঠিকই করতে পারবেন কিন্তু তা একেবারেই লাভজনক হবেনা। যেমন, আমাকে অনেকেই মেসেজ করে জিজ্ঞেস করে যে, ভাইয়া আমি কি ইন্টেল জিপিইউ ব্যাবহার করে বিটকয়েন মাইন করতে পারবো? উত্তরটা হচ্ছে, হ্যাঁ পারবেন কিন্তু দেখা যাবে যে মাস শেষে পিসির জন্য আপনাকে ৫০০ টাকা বেশি বিদ্যুৎ বিল দিতে হচ্ছে, কিন্তু আপনি যেটুকু বিটকয়েন মাইনিং করছেন তার থেকে আপনি পাচ্ছেন ২০০ টাকা। সেখানে আপনার প্রায় ৩০০ টাকার মত লস হয়ে যাবে (উদাহরণস্বরূপ)। ঠিক এই কারনে অধিকাংশ পপুলার মাইনিং প্রোগ্রাম যেমন, NiceHash Miner তাদের প্রোগ্রামটি শুধুমাত্র হাই এন্ড জিপিইউ ব্যাবহারকারিদের জন্য লিমিটেড করে দিয়েছে।  তাই, যেকোনো সিপিইউ জিপিইউ ব্যাবহার করেই বিটকয়েন মাইন করতে পারবেন এবং সেটি লাভজনক হবে, এই সম্পূর্ণ বিষয়টি একটি ভুল ধারণা ছাড়া আর কিছুই না।

৫. এবার বলি আজকের লিস্ট এর পঞ্চম ভুল ধারণার বিষয়ে। আমার মনে হয় বাংলাদেশের প্রায় ৯০% মানুষ যারা বিটকয়েন সম্পর্কে জানেন তাদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষের এই ভুল ধারণাটি আছে। বাংলাদেশের অনেক মানুষ মনে করেন যে, ক্রিপটোকারেন্সি মানেই বিটকয়েন। আপনার যদি এমন ধারণা না থেকে থাকে, তাহলে আপনি বাকি ১০% এর মধ্যে। কিন্তু যদি এখনো এই ধারণা থেকে থাকে, তাহলে বলি, বিটকয়েন মানেই একমাত্র ক্রিপটোকারেন্সি নয়। বিটকয়েনের মত এমন অনেক অনেক ক্রিপটোকারেন্সি আছে যেগুলোর হয়ত নামও শোনেন নি কখনো। পৃথিবীতে বর্তমানে বিটকয়েনের মত এমন হাজারো রকমের ক্রিপটোকারেন্সি আছে। অবশ্যই এগুলোর মধ্যে বিটকয়েন সবথেকে বড় এবং সবথেকে জনপ্রিয়। তবে বিটকয়েন ছাড়াও আরও কয়েকটি জনপ্রিয় ক্রিপটোকারেন্সি রয়েছে। যেমন- ইথিরিয়াম, লাইটকয়েন, ডোজকয়েন, ড্যাশ ইত্যাদি। এগুলো ছাড়াও আরও অনেক অনেক ক্রিপটোকারেন্সি রয়েছে। অনেক ধরনের ক্রিপটোকারেন্সি রয়েছে যেগুলো কেউ কখনো কিনবেনা বা সংগ্রহ করবেনা বা কোন ভ্যালুও নেই, কিন্তু তবুও সেগুলোও বিটকয়েনের মতই ক্রিপটোকারেন্সি এবং সেগুলোর অস্তিত্ব রয়েছে।


সবশেষে বলতে চাই, এই আর্টিকেলটি এবং টেকহাবসে লেখা বিটকয়েন বিষয়ক অন্য সকল আর্টিকেল শুধুমাত্র শিক্ষামুলক উদ্দেশ্যে ব্যাবহার করুণ। বিটকয়েনকে বাংলাদেশ সরকার সমর্থন করেনা। তাই বিটকয়েন সম্পর্কিত সব ধরনের লেন-দেন করতে চাইলে শুধুমাত্র নিজ দায়িত্বে করুণ। কোন ধরনের আইনি জটিলতায় জড়ালে তার জন্য টেকহাবস কোনভাবেই দায়ী থাকবেনা।


Don't Miss
© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
made with by SaHaLoM Pro