Showing posts with label নেটওয়ার্ক ডিভাইস রিভিউ. Show all posts
Showing posts with label নেটওয়ার্ক ডিভাইস রিভিউ. Show all posts

ওয়াইফাই এন্টেনা | রাউটারে এন্টেনার কাজ কি? এন্টেনা সত্যিই কতোটা প্রয়োজনীয়?

1 comment

Sunday, 28 June 2020



Wifi antenna

ওয়াইফাই এন্টেনা | রাউটারে এন্টেনার কাজ কি? এন্টেনা সত্যিই কতোটা প্রয়োজনীয়? বিস্তারিত!

শু
ধু ওয়াইফাই নয়, যেকোনো রেডিও বা ওয়্যারলেস টেকনোলজি বিশেষ এক অংশের উপর নির্ভরশীল, যার নাম এন্টেনা। যেকোনো ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেমে দুই টাইপের এন্টেনা দেখতে পাওয়া যায়, এক টাইপ এন্টেনা সিগন্যাল সেন্ড করে তাই একে ট্র্যান্সমিটার এবং আরেক টাইপ এন্টেনা সিগন্যাল রিসিভ করে তাই একে রিসিভার এন্টেনা বলা হয়ে থাকে। 

আবার অনেক টাইপ এন্টেনা রয়েছে যারা একসাথে সিগন্যাল রিসিভ এবং ট্র্যান্সমিট উভয়ই করতে পারে। যাই হোক, এন্টেনা এবং ট্র্যান্সমিটার কীভাবে কাজ করে — এই আর্টিকেল থেকে এন্টেনা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে পাড়বেন। এই আর্টিকেলে বিশেষ করে ওয়াইফাই এন্টেনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো, রাউটারে এন্টেনার সত্যিই কতোটা প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এবং সাথে বিভিন্ন টাইপের ওয়াইফাই এন্টেনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।


ওয়াইফাই এন্টেনা

যেকোনো রেডিও টেকনোলজি, আর ওয়াইফাই হুবহু একই স্টাইলে কাজ করে, ওয়াইফাই রাউটার বিশেষ রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে সিগন্যাল ট্র্যান্সমিট করে এবং আপনার ফোন, ল্যাপটপ, বা যেকোনো ডিভাইজ সেই সিগন্যাল রিসিভ করে নেটওয়ার্কের সাথে কানেক্টেড হতে পারে। 


তো একটি সম্পূর্ণ সফল ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক তৈরি করতে কি প্রয়োজনীয় হচ্ছে, ওয়াইফাই রাউটার, আপনার ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, যেকোনো যেকোনো ডিভাইজ যেটা ওয়াইফাই সমর্থন করে কাজ করে — কিন্তু এখানে ওয়াইফাই ওয়্যারলেস এন্টেনা ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সিগন্যাল সেন্ড বা রিসিভ করার জন্য এই এন্টেনায় সবচাইতে প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে।

এখন আপনি হয়তো ভাবছেন, আপনার স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ উভয়ই তো ওয়াইফাই সমর্থন করে, কিন্তু সেখানে তো কোন এন্টেনা দেখতে পাওয়া যায় না। 

তাহলে রাউটারে তিনটা-চারটা লম্বা লম্বা এন্টেনা কেন লাগানো থাকে, এগুলো লাগানো না থাকলে কি হতো? অনেকে আবার সিগন্যাল বৃদ্ধি করার জন্য আলাদা এন্টেনা লাগিয়ে থাকে, আসলে এগুলো করার কি সত্যিই প্রয়োজনীয়তা রয়েছে? — ওয়েল, আপনার ফোন বা ল্যাপটপে লম্বা এন্টেনা না দেখা গেলেও সেখানে ভেতরে কিন্তু এন্টেনা লাগানো থাকে, কেনোনা ওয়্যারলেস প্রযুক্তি এন্টেনা ছাড়া কাজ করতে পারে না। 

আর কিছু টাইপের এন্টেনা ডিভাইজের বাইরে লাগানো থাকে, যেমন আপনার রাউটার বা পিসির ওয়াইফাই অ্যাডাপটার এন্টেনা ডিভাইজের বাইরে লাগানো দেখতে পাওয়া যায়।

আর এন্টেনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কেনোনা ওয়্যারলেস টেকনোলজিতে আপনি কোন ইনফরমেশন কতো দ্রুত সেন্ড বা রিসিভ করতে পাড়বেন সেটার অনেকখানি নির্ভর করে, আপনি কোন টাইপ এন্টেনা ব্যবহার করছেন এবং আপনার সিগন্যাল কতোটা শক্তিশালী তার উপরে।


ওয়াইফাই ওয়্যারলেস এন্টেনার প্রকারভেদ


আপনার ওয়াইফাই এন্টেনা থেকে ঠিক কতোটা রেঞ্জ এবং সিগন্যাল কোয়ালিটি পেতে পাড়বেন সেটা নির্ভর করে এন্টেনার পাওয়ার গেইনের উপরে। এন্টেনার গেইন কোয়ালিটিকে সাধারণত ডেসিবেল(Decibels) বা ডিবি (dB) দ্বারা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। 


তবে ডিভাইজ প্রস্তুতকারী কোম্পানিগন আরো দুইটি আলাদা আলাদা স্ট্যান্ডার্ড ব্যবহার করে এন্টেনা গুলোকে রেটিং করে থাকে। 

একটি ডিবিআই (dBi) এবং আরেকটি ডিবিডি (dBd) — তবে বেশিরভাগ কোম্পানি গেইন পরিমাপক হিসেবে ডিবিআই স্ট্যান্ডার্ড ব্যবহার করে থাকে, যেখানে ২.১৪ ডিবিআই থেকে কোন এন্টেনা কাজ করতে শুরু করে দেয়। 

এখানে পরিমাপ করে সংখ্যা যতোবেশি হবে, সিগন্যাল কোয়ালিটি এবং সিগন্যাল রেঞ্জ ততোবেশি হবে, সাথে ততোবেশি পাওয়ারও প্রয়োজনীয় হবে। ওয়্যারলেস রাউটার বা সেলুলার প্রোডাক্ট গুলোতে মূলত দুই টাইপের এন্টেনা যায়, অমনি-ডিরেকশনাল (Directional) ওয়াইফাই এন্টেনা এবং ডিরেকশনাল (Directional) ওয়াইফাই এন্টেনা।

অমনি-ডিরেকশনাল


এই টাইপ এন্টেনার নাম শুনেই নিশ্চয় বুঝতে পাড়ছেন, এটি সকল দিকে সমানভাবে সিগন্যাল ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই এন্টেনা যেকোনো দিকে একই কোয়ালিটির সিগন্যাল বীম ছুঁড়ে মারে, আজকের বেশিরভাগ ওয়াইফাই বা মোবাইল রাউটার গুলোতে অমনি-ডিরেকশনাল টাইপ এন্টেনাই লাগানো থাকে। স্বাভাবিকভাবে এই টাইপ এন্টেনা আপনার ঘরের যেকোনো প্রান্তে রাখলে, অ্যাক্সেস পয়েন্ট থেকে চারিদিকে সমানভাবে সিগন্যাল ছড়িয়ে দেয়।


ডিরেকশনাল এন্টেনা


অমনি-ডিরেকশনাল টাইপ এন্টেনাতে যতোই গেইন পাওয়ার থাকুক না কেন, সেটা যদি কেবল এক দিকে মাপা হয় তো সিগন্যাল কোয়ালিটি তেমন উন্নত হয় না, কেনোনা এটি ৩৬০ ডিগ্রিতে সমস্থ শক্তি ছড়িয়ে দেয়। কিন্তু চিন্তা করুণ যদি সমস্ত গেইন পাওয়ার চারিদিকে না ছড়িয়ে কেবল নির্দিষ্ট একদিকে ছুঁড়ে মারা হয়, সেটা অনেক বেশি শক্তিশালী সিগন্যাল তৈরি করতে সক্ষম হবে।

ডিরেকশনাল এন্টেনা, তার সমস্ত সিগন্যাল গেইন যেকোনো নির্দিষ্ট দিকে ছুঁড়ে মারতে পারে, এতে একদিকে অনেক শক্তিশালী সিগন্যাল কোয়ালিটি পাওয়া যায়।

যদি আপনি সম্পূর্ণ বাড়ি জুড়ে সিগন্যাল পেতে চান বা সম্পূর্ণ অফিস সিগন্যাল দ্বারা কভার করতে চান, সেক্ষেত্রে অবশ্যই অমনি-ডিরেকশনাল প্রয়োজনীয় হবে, কিন্তু চিন্তা করে দেখুন অফিসের এমন রুমের কথা যেখানে সিগন্যাল খুব অল্প পৌছাতে পারে, সেদিকে ডিরেকশনাল টাইপ এন্টেনা অনেক কাজে আসবে। 


ডিরেকশনাল এন্টেনার একটি ব্র্যান্ড নেম হচ্ছে ক্যান্টেনা (Cantenna) — এটি ২.৪ গিগাহার্জ ফ্রিকোয়েন্সি সমর্থন করে এবং 12 dBi সিগন্যাল বীম ৩০ ডিগ্রী কোণে যেকোনো নির্দিষ্ট দিকে ছুঁড়ে মারতে পারে। অনেক এন্টেনা ডুয়াল ব্যান্ড সমর্থন করে, এগুলো ২.৪ গিগাহার্জ থেকে ২.৫ গিগাহার্জ এবং ৫.১ গিগাহার্জ থেকে ৫.৯ গিগাহার্জ ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করতে পারে। 

আবার কিছু এন্টেনা শুধু ৫.১ গিগাহার্জ থেকে ৫.৯ গিগাহার্জ ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করে। আরেক টাইপের ডিরেকশনাল এন্টেনা হচ্ছে ইয়াগি (Yagi) এন্টেনা, যেটা অনেক দূরত্ব পর্যন্ত ওয়াইফাই সিগন্যাল পাঠাতে পারে, মূলত এটি 12 dBi বা আরো হাই গেইন তৈরি করে ছুঁড়ে মারে।
এন্টেনা আপগ্রেড

ওয়াইফাই বা যেকোনো ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কে ব্যান্ডউইথ রেট খারাপ হয়ে যাওয়ার পেছনে মূল কারণ হচ্ছে খারাপ বা দুর্বল সিগন্যাল কোয়ালিটি। অনেক সময় হাই গেইন এন্টেনা লাগিয়ে সিগন্যাল কোয়ালিটি উন্নত করা সম্ভব হতে পারে। তবে এন্টেনা আপগ্রেড করার সময় প্রয়োজনের কথা খেয়াল রাখা ভালো, যদি সমস্ত বাড়ি বা অফিস জুড়ে সিগন্যাল দরকারি না হয়, সেক্ষেত্রে ডিরেকশনাল টাইপ এন্টেনা বেস্ট হবে, এতে একদিকে হাই গেইন সিগন্যাল পাওয়া যাবে। এন্টেনা আপগ্রেড করার আগে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে আপনার ওয়াইফাই গিয়ার আলাদা এন্টেনা সাপোর্ট করে কিনা, অবশ্যই ম্যানুয়াল বই দেখে বা অনলাইন থেকে নিশ্চিত হতে হবে। যদি সম্পূর্ণ বাড়ি জুড়ে সিগন্যাল প্রয়োজনীয় হয়, সেক্ষেত্রে আগের চেয়ে বেটার গেইনের অমনি-ডিরেকশনাল টাইপ এন্টেনা ইন্সটল করার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।

এন্টেনা আপগ্রেড করার মাধ্যমে আউটডোর এবং ইনডোর উভয় পরিবেশেই বেটার সিগন্যাল কোয়ালিটি পাওয়া সম্ভব। এন্টেনা হয়তো সিগন্যাল রেঞ্জিং এ অনেকটা সাহায্য করে দেবে, কিন্তু মূল সিগন্যাল ক্ষমতা রেডিও ট্র্যান্সমিটারের উপর নির্ভরশীল, তাই অনেক বেশি জায়গা জুড়ে সিগন্যাল কভার করার জন্য সিগন্যাল বুস্টার বা সিগন্যাল অ্যামপ্লিফায়ার ব্যবহার করতে হতে পারে। অনেক সময় সিগন্যাল রিপিটার গ্রেট সিগন্যাল কোয়ালিটি ক্যাচ করতে সাহায্য করে থাকে।

আশা করছি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি থেকে আপনি সহজেই বুঝতে পেড়ে গেছেন, ওয়াইফাই বা যেকোনো ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে এন্টেনা কতোটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যদি আপনি এন্টেনা আপগ্রেড করার চিন্তা করে থাকেন, সেক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুসারে এন্টেনা টাইপ, সিগন্যাল ব্যান্ড, গেইন, রেঞ্জ ইত্যাদি বিষয় গুলো মাথায় রাখতে হবে। তবে সিম্পলভাবে জাস্ট রিপিটার ব্যবহার করেও সিগন্যাল সমস্যা দুর করা যেতে পারে।



মাইক্রোটিক রাউটার কি? কিভাবে MikroTik রাউটার ব্যবহার করবেন?

No comments

Saturday, 14 December 2019


মাইক্রোটিক রাউটার কি? কিভাবে MikroTik রাউটার ব্যবহার করবেন?

MikroTik রাউটার অন্যান্য রাউটারের চেয়ে বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন ডিভাইস, যা ব্যবহার করে ইন্টারনেট শেয়ারিং ও ব্যান্ডউইডথ কন্ট্রোলসহ প্রচুর সুবিধা পাওয়া যায়। এটি সুইচ/রাউটারের মতো একটি ডিভাইস, যার আকার ছোট একটি বক্সের মতো থেকে শুরু করে বড় বক্স আকারের হয়ে থাকে। এর মধ্যে কিছু ডিভাইসে ওয়্যারলেস সুবিধাও যুক্ত রয়েছে। 


যারা এই ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করতে চান না, তাদের জন্যও রয়েছে অন্য পদ্ধতি- মাইক্রোটিক আইএসও। এটি একটি অপারেটিং সিস্টেম, যা দিয়ে কমপিউটারে এই অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করে কমপিউটারকেই রাউটার হিসেবে কাজ করানো যাবে। এই দুটি পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আগে জেনে নেই মাইক্রোটিক রাউটার ব্যবহার করে কী কী সুবিধা পাওয়া সম্ভব।

MikroTik রাউটারের সুবিধা

মাইক্রোটিক একটি শক্তিশালী রাউটার, যা ব্যবহার করে যেসব সুবিধা পাবেন তা হলো:
১. ব্যান্ডউইডথ কন্ট্রোল ও ডিস্ট্রিবিউশন,
২. শক্তিশালী QoS কন্ট্রোল,
৩. অটো সিস্টেম ব্যাকআপ,
৪. আইপি-ম্যাক অ্যাড্রেস বন্ডিং সিস্টেম,
৫. ফিল্টারিং,
৬. ফায়ারওয়্যাল,
৭. HotSpot,
৮. RIP, OSPF, BGP, MPLS রাউটিং,
৯. রিমোট উইনবক্স গ্রাফিকেল ইন্টারফেস,
১০. টেলনেট/ম্যাক-টেলনেট/এসএসএইচ সার্ভিস
১১. ভিপিএন,
১২. লোড ব্যালান্সিংসহ নানা ধরনের সুবিধা।

মাইক্রোটিকের এসব সুবিধা ডিভাইস ও অপারেটিং সিস্টেমের দুটিতেই পাবেন। নিচে পদ্ধতি দুটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

মাইক্রোটিক ডিভাইস বা রাউটার বোর্ড: 

মাইক্রোটিক রাউটার বোর্ডটি দেখতে অনেকটা অন্যান্য রাউটার বা সুইচের মতোই। এই ডিভাইসে ইন্টারনেটের সংযোগ দেয়ার জন্য ওয়ান পোর্ট ও লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের জন্য রয়েছে ল্যান পোর্ট। তবে একাধিক পোর্টও থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে আপনাকে কনফিগার করে নিতে হবে কোন পোর্ট কোন কাজে ব্যবহার করবেন। 

এই রাউটারটি ইন্টারনেট শেয়ারিং সার্ভার হিসেবেই কাজ করবে এবং এই ডিভাইস ব্যবহার করে একাধিক ইন্টারনেটকে একই নেটওয়ার্কে ব্যবহার করা সম্ভব। আপনার প্রয়োজনীয় ফিচারগুলো সঠিকভাবে কনফিগার করে নিতে হবে। মাইক্রোটিক রাউটার বোর্ডের দাম ৬ হাজার থেকে শুরু করে লাখ টাকার ওপর আছে। তবে দাম নির্ভর করবে ডিভাইসের ফিচার, লাইসেন্সের ধরন ও রাউটারের সাইজের ওপর। 

ইন্টারনেট থেকে রাউটার বোর্ডেও মডেল অনুযায়ী ফিচারগুলো দেখে নিতে পারেন। মডেল অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের রাউটার বোর্ড রয়েছে। যেমন: RB 750, RB 750G, RB 751 (wireless), RB 951 (wireless), RB 450G , RB 1100, RB 1100AH X2 ইত্যাদি।

মাইক্রোটিক অপারেটিং সিস্টেম (আইএসও): 

মাইক্রোটিক রাউটার প্রস্ত্ততকারকেরা এটি অপারেটিং সিস্টেম হিসেবেও তৈরি করেছেন। একে ব্যবহার করার জন্য একটি কমপিউটার প্রয়োজন হবে এবং রাউটার অপারেটিং সিস্টেমটি উক্ত কমপিউটারে ইনস্টল করে ব্যবহার করতে হবে। তখন কমপিউটারটিই একটি রাউটার হিসেবে কাজ করবে। এর জন্য দুটি ল্যানকার্ড প্রয়োজন হবে। একটি ওয়ান পোর্ট ও একটি ল্যান পোর্ট হিসেবে ব্যবহার হবে। ৪ হাজার থেকে ২১ হাজার টাকার মধ্যে রাউটার অপারেটিং সিস্টেমটি পেতে পারেন। লাইসেন্স ও রাউটারের লেভেল অনুযায়ী দামের তারতম্য হতে পারে। 

তাই অপারেটিং সিস্টেমটি কেনার আগে সব কিছু জেনে নিন। মাইক্রোটিক ওয়েবসাইট থেকে ২৪ ঘণ্টার একটি ফ্রি আইওএস অপারেটিং সিস্টেম ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন। প্রয়োজনে এর লাইসেন্স কিনে একে ফুল ভার্সনে কনভার্ট করে ব্যবহার করতে পারেন। লাইসেন্স ভার্সনের আইএসওগুলোর কোনো টাইম লিমিট থাকে না।

মাইক্রোটিক রাউটার যেভাবে ব্যবহার করবেন:

MikroTik রাউটার হিসেবে রাউটার বোর্ড বা অপারেটিং সিস্টেম যা-ই ব্যবহার করেন না কেন, এর বেসিক কনফিগারেশন বিক্রয় প্রতিনিধি আপনার জন্য সেট করে দেবেন। বিক্রয় প্রতিনিধি আপনাকে এ বিষয়ে সুবিধা দেবে কি না তা কেনার আগে জেনে নিন।মাইক্রোটিক ট্রেনিং ও সার্টিফিকেশন: ঢাকা ও অন্যান্য শহরে বিভিন্ন আইটি ট্রেনিং প্রতিষ্ঠান মাইক্রোটিকের ওপর ট্রেনিং চালু করেছে। এছাড়া মাইক্রোটিকের ওপর বিভিন্ন ধরনের ভেন্ডর সার্টিফিকেশন রয়েছে। 

যেমন: MTCNA- MikroTik Certified Network Associate, MTCRE- MikroTik Certified Routing Engineer, MTCWE- MikroTik Certified Wireless Engineer, MTCTCE- MikroTik Certified Traffic Control Engineer, MTCUME- MikroTik Certified User Management Engineer, MTCINE- MikroTik Certified Inter-networking Engineer। 

যেসব ট্রেনিং প্রতিষ্ঠান থেকে ট্রেনিং করবেন তাদের মাধ্যমেই জানতে পারবেন কারা ভেন্ডর সার্টিফিকেশন কোথা থেকে নিতে পারবেন অথবা গুগলে এ বিষয়ে সার্চ করলে জানতে পারবেন কারা সার্টিফিকেশন পরীক্ষার আয়োজন করে থাকে তাদের নাম ও ঠিকানা।

আইপি ক্যামেরা কি? কেন ব্যবহার করবেন ?

No comments


আইপি ক্যামেরা কি? আইপি ক্যামেরা রিভিউ!


ইন্টারনেট প্রোটোকল ক্যামেরা বা আইপি ক্যামেরা বর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপী সার্ভিলেন্স তথা নজরদারি,মনিটরিং এর কাজে ব্যবহৃত অনেক বেশি ব্যবহৃত ও জনপ্রিয় ক্যামেরা। ১৯৯৬ সালে এক্সিস নেটওয়ে নামক একটি প্রতিষ্ঠান বানিজ্যিকভাবে আইপি ক্যামেরা প্রযুক্তি উন্মুক্ত করে। বর্তমানে সিকিউরিটি,সার্ভিলেন্স,মনিটরিং এর কাজে মানুষের এর এই আইপি ক্যামেরার প্রতি ঝোক বেশি।

কেন আইপি ক্যামেরা?


আইপি ক্যামেরা বা ইন্টারনেট প্রটোকল ক্যামেরা এর নাম থেকেই কাজের ধরন আন্দাজ করা যায়। এখানে আইপি ক্যামেরা ছবি, ফুটেজ,অডিও এসব এসব ট্রান্সফারিং করে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট এর মাধ্যমে।এখানে একাধিক আইপি ক্যামেরার জন্য একটি নেটওয়ার্ক ভিডিও রেকর্ডার বা NVR এর এসব ক্যামেরা থেকে প্রাপ্ত ডাটা রেকর্ড করে। NVR হল একটি ডিজিটাল এম্বেডেড সফটওয়্যার যেটি IP ক্যামেরা গুলো থেকে প্রাপ্ত ডাটা, 


যেমনঃ ছবি,ভিডিও ; এগুলো মেমোরি কার্ড, ফ্লাস ড্রাইভে স্ট্যান্ডার্ড ইমেজ ও ভিডিও ফরম্যাট আকারে সেইভ করে। IP বা ইন্টারনেট প্রোটোকল সার্ভিলেন্স সিস্টেমে NVR কাজ করে। আইপি ক্যামেরাগুলো রাউটার, নেটওয়ার্ক সুইচ এর মাধ্যমে এসব NVR এর সাথে যুক্ত হয়।এখানে রাউটার ব্যবহার করা হলে তারের ব্যবহার নেই বললেই চলে।

আবার যদি বহু আগে থেকে প্রচলিত CCTV ক্যমেরার দিকে তাকাই, তবে দেখা যায় যে এগুলো coax নির্ভর ক্যামেরা। এইসব ক্যামেরা প্রত্যেকটি coax ক্যাবলের মাধ্যমে একটি DVR বা ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার এর সাথে যুক্ত থাকে। এইসব DVR বক্সে ক্যামেরা থেকে প্রাপ্ত ফুটেজ ভিডিও আকারে সেইভ করার জন্য কিছু হার্ডওয়্যার থাকে, এর ফলে বক্সে থাকা একটি হার্ডড্রাইভে ভিডিও গুলি সেইভ হয়। প্রচলিত CCTV প্রযুক্তিতে ক্যামেরার ভিডিও ধারন করার জন্য এই আলাদা হার্ডওয়্যার বা DVR ব্যবহার করা হয়।


অন্যদিকে,আইপি ক্যামেরাগুলোর প্রত্যেকটিতে নিজস্ব ইনবিল্ট রেকর্ডিং ফিচার থাকে, অর্থাত এখানে ক্যামেরা থেকে ডাটা একপ্রকার ডিজিটাল মিডিয়া ফরম্যাটেই যায়, NVR কেবল তা সব ডিভাইসের জন্য বোধগম্য করে। আইপি ক্যামেরার ভেতর থাকা ট্রান্সমিটার এর কারনে তার ছাড়াই একে যেকোন জায়গায় ফুটেজ ক্যাপচারিং এর জন্য সেট করা যায়। এতে করে ক্যামেরাটিকে একটি ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করে দিলেই, যেকোন জায়গা থেকে ক্যামেরাটির জন্য তৈরি বিশেষায়িত সফটওয়্যার বা আমরা তাকে NVR বলতে পারি তার মাধ্যমে উক্ত ক্যামেরার ফুটেজ দেখা যাবে।

তবে, প্রচলিত ক্যাবল দিয়ে সংযুক্ত ক্যামেরার ভিডিও এভাবে যেকোন জায়গা থেকে ওয়্যারলেস ভাবে নিয়ন্ত্রন ও দেখা সম্ভব না। এক্ষেত্রে আমাদের DVR এর হার্ডডিস্ক ও এর সাথে লাগানো মনিটর এর ওপর নির্ভর করতে হয়। সুতরাং দূরে এবং যেকোন জায়গা থেকে নজরদারি ও ক্যামেরা নিয়ন্ত্রন এর ক্ষেত্রে আইপি ক্যামেরা এগিয়ে।

নিঃসন্দেহে আইপি ক্যামেরা ও সাধারন ক্যাবলে সংযুক্ত ক্যামেরার আকার আকৃতি একইরকম হলেও, আইপি ক্যামেরার ভিতরকার কমপোনেন্ট অনেক বেশি এবং হার্ডওয়্যার অনেক উন্নত। আর এই কারনে সার্ভিলেন্স এর কাজে ব্যবহৃত অন্যসব ক্যামেরা প্রযুক্তির চাইতে আইপি ক্যামেরা প্রযুক্তির দাম বেশি পড়ে।


শাওমি আইপি ক্যামেরাঃ
আশা করি আইপি ক্যামেরা কি এবং উপকারিতা, কার্যকারিতা সম্পর্কে ধারনা পেয়েছেন। তাই আপনাদের মাঝে রিভিউ করব একটি আইপি ক্যামেরা। এটির নাম হল শাওমি পোর্টেবল আইপি ক্যামেরা। ধন্যবাদ জানাই সোর্স অফ প্রোডাক্ট কে এই ক্যামেরা এর জন্য। এটি সাইজে ছোট খাট এবং খুবই কার্যকরি একটি স্মার্ট আইপি ক্যামেরা। এর দৈর্ঘ্য ৫.৭ সেন্টিমিটার এবং প্রস্হ ৪.৮ সেন্টিমিটার, সুতরাং বুঝতে পাচ্ছেন খুবই কমপ্যাক্ট একটি মিনি ডিভাইস। এই আপনি ক্যামেরাটি সম্পূর্ণ প্লাস্টিক বিল্ড এবং মান তুলনামূলক ভালো। 


এর নিচে একটি ফোল্ডিং স্ট্যান্ড রয়েছে,এটি একটি ম্যাগনেটিক স্ট্যান্ড আর সে কারনে যেকোনরকম মেটালিক সারফেসে এটি সহজে আটকে যায়। ক্যামেরাটি ৩৬০ ডিগ্রী ঘোরানো যায়।

পছন্দনীয় একটি সারফেসে মাউন্ট করে একে সুবিধামত দিকে ঘুরিয়ে রাখা যাবে।ক্যামেরার নিচের মাউন্টটি আনফোল্ড করলে নিচে একটি সেটাপ বাটন ও এসডিকার্ড স্লট দেখা যাবে। ডাটা ক্যামেরাটিতেই সেইভ করে রাখার ক্ষেত্রে এসডি কার্ড লাগিয়ে রাখা যাবে। আবার ঠিক পিছে ২.০ মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট পাওয়ার এর জন্য এবং তারওপর ২.০ ইউএসবি পোর্ট রয়েছে পেনড্রাইভ বা ফ্লাস ড্রাইভ ব্যবহারের জন্য। 


কেউ যদি মেমোরি কার্ড ব্যবহার না করতে চান, তবে মাইক্রো ইউএসবি পাওয়ার পোর্ট এর ওপরের ইউএসবি পোর্টে পেনড্রাইভ ব্যবহার করতে পারেন। তবে আপনি ইচ্ছা করে দুটির কোন টাই ব্যবহার নাও করতে পারেন। এর বিকল্প কি সেটা নিচে জানবেন।

ক্যামেরা টিকে নিয়ন্ত্রন করতে হবে শাওমির তৈরি Mi Home অ্যাপলিকেশন দিয়ে। এই অ্যাপলিকেশনটি ওপেন করে আগে রিজিওন সিলেক্ট করতে হবে চায়না, তারপর শাওমি একাউন্ট দিয়ে লগইন করে Add Device অপশনে যেতে হবে। 


আর ঠিক এইসময় ক্যামেরার নিচে থাকা সেটাপ বাটনটিকেও প্রেস করতে হবে, আর এতে করে অ্যাপটি এই ক্যামেরাকে ডিটেক্ট করে ফেলবে , এভাবে ছোট একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনার ফোনের Mi Home অ্যাপলিকেশন এবং এই পোর্টেবল আইপি ক্যামেরাটি পেয়ার হয়ে যাবে। এই সহজ সেটাপের পর থেকে আইপি ক্যামেরা থেকে প্রাপ্ত ইমেজ, ফুটেজ রেকর্ড এবং নিয়ন্ত্রন করা যাবে স্মার্টফোনের এই Mi Home অ্যাপলিকেশন দিয়েই, 

অর্থাত এখানে NVR বলা যেতে পারে Mi Home অ্যাপলিকেশনটিকে। আইওএস এবং এন্ড্রয়েড চালিত যেকোন ডিভাইস দিয়ে এই শাওমি আইপি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রন করা যাবে।এখান থেকে ছবি ক্যাপচার ও ভিডিও রেকর্ডিং করা যাবে যাবে আর এক্ষেত্রে এগুলো ফোন মেমোরিতে সেইভ হবে।

ক্যামেরাটির বক্সে পাওয়া যাবে স্বয়ং শাওমি আইপি ক্যামেরা এবং একটি খুবই লম্বা ইউএসবি-টু-মাইক্রো ইউএসবি ক্যাবল আর একটি স্ট্যান্ডার্ড এডাপ্টার। এই দুটি ব্যবহার করে ক্যামেরাটিকে পাওয়ার দেওয়া যাবে এবং দিতে হবে। তবে আমি শাওমির ১০ হাজার এমএএইচ পাওয়ারব্যাংক দিয়ে ক্যামেরাটিকে চালাতে পেরেছি।

সুবিধা এবং ব্যবহারঃ


আপনি অভিভাবক আপনার সারাদিন বাহিরে থাকেন,তাই সন্তান ঘরে কি করছে জানেন না, এবং নজরদারি করতে পারছেন না? আপনি এক্ষেত্রে শাওমি আইপি ক্যামেরা ব্যবহার করতে পারেন। ঘরের এককোনে ক্যামেরাটি ফিট করে রাখেন,ব্যাস! Mi Home অ্যাপলিকেশন দিয়ে যখন খুশি তখন দেখুন, আপনার সন্তানের ঘরে কি হচ্ছে, কি করছে আপনার সন্তান।একইভাবে আপনি যদি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা অফিসের নজরদারি করতে চান, সেক্ষেত্রে এটি সেটাপ করে রিমোটলি অফিস বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর নজরদারি করতে পারবেন।

যতই অন্ধকার থাকুক না কেন- শাওমি পোর্টেবল আইপি ক্যামেরার চোখ ফাকি দিতে পারবে না । ( সম্পূর্ণ অন্ধকার ঘরে ক্যাপচার করা ছবি )

আইপি ক্যামেরাটিতে থাকা মোশন ডিটেক্টর ফিচারটি অ্যাপের মাধ্যমে অন করে রাখলে, ক্যামেরাটি কোন নড়াচড়া বা মুভমেন্ট লক্ষ্য করলে সাথে সাথে স্মার্টফোনে বার্তা তথা নোটিফিকেশন প্রেরন করবে। একইভাবে এর স্মোক ডিটেকটর ফিচার আগুন বা ধোয়া জাতীয় কিছুর সংস্পর্শ পেলে তৎখনাৎ প্রতিক্রিয়াশীল হবে। অন্যসব সিসিটিভি ক্যামেরার মত এর নাইট ভিশন মোডটিও তুলনামূলক ভালো এবং দারুন কার্যকর। ব্যাক্তিগত ব্যবহারে আলোকিত ঘরে বাতি নিভানোর ৪ সেকেন্ড এর মধ্যেই এর নাইটভিশন মোড সয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যায়। এইসব ফিচার ছোট্ট এই ডিভাইসটিকে অনেক আকর্ষনীয় করে তুলেছে।


অসুবিধাঃ


যেহেতু এটি একটি ট্রিপিক্যাল আইপি ক্যামেরা, তাই ইন্টারনেট লাগবেই। আপনার বাসা,অফিস বা অন্য কোন জায়গা যেখানে এই ক্যামেরাটিকে সেটাপ করতে চাচ্ছেন – সেখানে অবশ্যই ওয়াইফাই ইন্টারনেটের ভালো কাভারেজ থাকতে হবে। কেননা Mi Home দিয়ে ডিভাইসটিকে পেয়ার করার সময় এই ডিভাইসের জন্য WiFi সংযোগ চালু করে দিতে হয়। ধরেন দূরে আছেন, অথচ আপনার ক্যামেরা যেখানে রয়েছে, সেখানে কারেন্ট নেই বা ইন্টারনেট নেই, তবে Mi Home অ্যাপে দেখাবে Device Offline সুতরাং ডিভাইস এর সাথে কানেক্টেড হতে পারবেন না। আবার আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, 


Mi Home অ্যাপলিকেশন ব্যবহার করতে এবং ফুটেজ দেখতে আপনার ডাটা খরচ হবে বা ফোনের ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজনীয় হবে। সুতরাং দুইদিকে পর্যাপ্ত ইন্টারনেটের প্রবাহ নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে নির্বিঘ্নে আপনি Mi Home ব্যবহার করে আইপি ক্যামেরাটির পর্যাপ্ত সেবা ও সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

পরিশেষেঃ


বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে প্রতিদিন নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কৃত এবং উৎভাবিত হচ্ছে। আইপি ক্যামেরাও বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফসল। আর দারুন এই আইপি ক্যামেরা প্রযুক্তির ধারায় তৈরি সুন্দর একটি পোর্টেবল ক্যামেরার সুবিধা ও রিভিউ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে তুলে ধরা হল। ভালো লাগলে শেয়ার করবেন, নিচে মতামত জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ

নিরাপদে থাকুক আপনার বাসা/বাড়ি কিংবা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান
সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশে যেমন জনসংখ্যা বেড়ে চলেছে তার সাথে সাথে নানানরকম অপরাধ। আর তাই সিকিউরিট ইকুইপমেন্ট এর উদ্ভাবন যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সিসি টিভি ক্যামেরা। আপনার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়ি, দোকান, গুদামঘর, পার্কিং সহ যে কোনো যায়গা নিরাপদে রাখতে ব্যাবহার করুন সিসি টিভি ক্যামেরা। 


নিরাপদ থাকুন আপনি নিজেও সাথে সাথে থাকুন টেনশন ফ্রী। বাজারে অনেক ধরনের ইকুইপমেন্ট পাওয়া যায় কিন্তু সিসি টিভি ক্যামেরার ক্ষেত্রে এটাকে খরচ না ভেবে বিনিয়োগ ভাবতে পারেন। তাই দেখে শুনে ভালো মানের ক্যামেরা এবং অনুসাংগিক জিনিসপত্র কেনাটাই হচ্ছে বুদ্ধিমানের কাজ।  সিসিটিভি বা সিকিউরিটি ক্যামেরার সম্পর্কে বেসিক কিছু বিষয় সম্পর্কে আলোকপাত করবো। পুরো লেখাটি পড়লে আপনার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হবে যে কোন ক্যামেরা কি জন্য দরকার এবং আপনার জন্য কোনটি উপযোগী।

সিসিটিভি সিষ্টেম কি?


আমাদের দেশে সিসিটিভি ক্যামেরা সিষ্টেম এর ব্যবহার দশ-পনের বছর আগে শুরু হলেও পশ্চিমা দেশগুলোতে আরো বহু আগে থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আগে সিসিটিভি ক্যামেরা সিষ্টেম তখন ছিল শুধু সাদা-কালো, 


এসব ক্যামেরায় অল্প আলোতেই পরিষ্কার ছবি দেখা যেত। কিন্তু পরবর্তিতে রঙ্গীন ক্যামেরা বাজারে আসলেও স্বচ্ছ ছবির জন্য প্রচুর আলোর প্রয়োজনীয়তার কারনে ব্যবহার সীমিত হয়ে পড়ে। বর্তমানে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে অনেক কম আলোতেই রঙ্গীন ক্যামেরায় পরিষ্কার ছবি দেখতে পাওয়া যায়। ফলে এখন আর সাদা-কালো সিসিটিভি ক্যামেরা বা সিষ্টেম উৎপাদন হচ্ছেনা। বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী কয়েক ধরনের রঙ্গীন সিসিটিভি মনিটরিং সিষ্টেম বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।

ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার (ষ্ট্যান্ড এ্যালোন এমবেডেড ডিভিআর)
নেটওয়ার্ক ভিডিও রেকর্ডার (আইপি এড্রেস সম্বলিত ষ্ট্যান্ড এ্যালোন এমবেডেড ডিভিআর)
পিসি এবং মোবাইল বেইজড সিসিটিভি মনিটরিং সিষ্টেম।

ব্যবহারের ভিন্নতার কারনে বর্তমানে রঙ্গীন সিসিটিভি ক্যামেরা বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে।
সাধারন ক্যামেরা

ডোম ক্যামেরা
হিডেন ক্যামেরা
স্পাই ক্যামেরা
স্পীড ডোম পিটিজেড ক্যামেরা
ডে-নাইট ক্যামেরা
জুম ক্যামেরা
ভেন্ডাল প্রুফ ক্যামেরা
আই পি ক্যামেরা ইত্যাদি
ডিভিআর/এনভিআর

কোন বড় ফ্যাক্টরী, দোকান বা স্থাপনার নিরাপত্তা বাড়াতে ব্যবহৃত হতে পারে এই ৮, ১৬, ৩২ বা ৬৪ চ্যানেলের ষ্ট্যান্ড এ্যালোন এমবেডেড ডিভিআর/এনভিআর। এসব সিষ্টেমে ৮-৬৪ টি ক্যামেরার ছবি একই পর্দায় একসাথে দেখা যায় আবার আলাদা আলাদা ভাবে হার্ডডিস্কেও রেকর্ড হয়। বিশেষ কোন প্রয়োজনীয় মুহুর্তের ছবি ডিভিডিতে রাইট করে ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষন করা যায়। এছাড়াও হাই স্পীড ইন্টারনেট সংযোগ এর মাধ্যমে বিশ্বের যেকোন জায়গা থেকে লগ ইন করে লাইভ সিসিটিভি মনিটরিং বা রেকর্ডিং করা যায়।

পিসি/মোবাইল বেইজড সিসিটিভি মনিটরিং এবং রেকর্ডিং সিষ্টেম


যারা একটু কম খরচে সিসিটিভি মনিটরিং বা রেকর্ডিং সিষ্টেম চান তাদের জন্য পিসি/মোবাইল বেইজড সিসিটিভি মনিটরিং এবং রেকর্ডিং সিষ্টেমই ভাল। আইপি ক্যামেরা কিংবা ওয়াইফাও আইপি ক্যামেরার জন্য শুধুমাত্র সফটওয়ার দিয়েই মোবাইল বা পিসি তে সিসি টিভি সিষ্টেম বানিয়ে ফেলা যায়। ক্যামেরা গুলো সংযুক্ত প্রদত্ত সফটওয়ার ইনষ্টল করে চালু করলেই পেয়ে যাবেন কম খরচে সিসিটিভি মনিটরিং এবং রেকর্ডিং সিষ্টেম।

সিসিটিভি ক্যামেরা কেনার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় বিবেচনা করতে হবে
কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আছে যা সিসিটিভি ক্যামেরা কেনার সময় বিবেচনা করতে হয়। এক বা একাধিক হার্ডওয়্যার কম্পোনেন্ট আছে যা না জানলেই নয়।

সঠিক লেন্স নির্বাচন করাঃ লেন্সের কাজ হচ্ছে সেন্সরের জন্য আলো সংগ্রহ করা। ব্যবহারকারী যা কিছু দেখে বা ডিভিআর এ যা কিছু রেকর্ড হয় সবই লেন্স মারফত হয়। কতটুকু দূরত্বে একটি গাড়ির নাম্বার প্লেট পরা যাবে ও কারও চেহারা চেনা যাবে যা লেন্স নির্ণয় করে কারন লেন্স 


ফোকাস নিয়ন্ত্রণ করে। অনেক ক্ষেত্রে হায়ার আউটপুট রেজোলিউশানের চেয়ে লেন্স বেশি কার্যকরী কারন আউটপুট সবসময় ইনপুট দ্বারা সীমাবদ্ধ এবং লেন্স হচ্ছে ইনপুট সিস্টেম। তাছাড়া বাজারে জুম লেন্সও পাওয়া যায়। কিছু কিছু সিসিটিভি ক্যামেরাতে ডিজিটাল জুম এবং বাকিগুলোতে অপটিক্যাল জুম আছে যা লেন্স দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। 

ক্রেতার যথাসম্ভব অপটিক্যাল জুমকে ডিজিটাল জুমের উপর গুরুত্ব দেয়া উচিত। ডিজিটাল জুমের সমস্যা হচ্ছে এটি মূল ইমেজের সাথে কোনও তত্ত্ব যোগ করতে পারেনা। অপটিক্যাল জুম মূল ইমেজের সাথে নতুন তত্ত্ব যোগ করতে পারে কারন লাইট সেন্সরে পৌঁছানোর সাথে সাথে ইমেজ পরিবর্তিত হয়।

সঠিক সেন্সর নির্বাচন করাঃ সব ধরনের ডিজিটাল সেন্সর এক রকম হয়না। সিসিটিভি ক্যামেরার সেন্সরের স্পেসিফিকেশন যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ২টি জিনিস বিবেচনা করতে হয়, তা হল সেন্সর টাইপ ও সেন্সর সাইজ। বেশিভাগ সেন্সর হয় সিএমওএস নয় সিসিডি। 


সিএমওএসের কর্মক্ষমতা ও সংবেদনশীলতা দুটোই সিসিডি থেকে অপেক্ষাকৃত কম। যার ফলে এটি পরিষ্কার ইমেজ ধারন করতে পারেনা। তাই পরিচয় শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে সিএমওএস ব্যবহার করা উচিত নয়। তবে সিএমওএসের সুবিধা হচ্ছে এর মূল্য সিসিডি থেকে কম। পরিষ্কার ইমেজ ধারনের জন্য সিএমওএস ভিত্তিক সেন্সরের অনেক বেশি সিগনাল প্রসেস করতে হয়। সেন্সরের সাইজ যত বড় হয় ততবেশি লাইট প্রসেস ও উন্নতমানের ইমেজ ধারন করতে পারে। 

বেশিভাগ সেন্সরের সাইজ ১/৪ ইঞ্চি বা ১/৩ ইঞ্চি হয়ে থাকে। ১/৪ ইঞ্চি দ্বারা ৩.২ বাই ২.৪৪ এমএম এবং ১/৩ ইঞ্চি দ্বারা ৪.৮ বাই ৩.৬ এমএম পরিমাপ করা যায়। বড় সেন্সর শুধু ব্যাপক লাইটই ধারন করেনা, ডিএসপিকে কাজ করার জন্য অতিরিক্ত তথ্য দেয় যা অপেক্ষাকৃত কম ক্ষমতাসম্পন্ন বাজেট ক্যামেরাগুলোর জন্য সহায়ক।

সঠিক আউটপুট রেজোলিউশান নির্বাচন করাঃ
সিসিটিভি ক্যামেরার একটি প্রচলিত স্পেসিফিকেশন হচ্ছে টিভি রেজোলিউশানের সমতল লাইনের সংখ্যা বা টিভিএল। এর রেঞ্জ ৭০০টিভিএল পর্যন্ত হয়ে থাকে। ৩৮০টিভিএল ও ৫৪০টিভিএলেরও বিভিন্ন ক্যামেরা পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা ৪২০টিভিএলকে সর্বনিম্ন হিসেবে ধরলেও সবক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়। আইটপুট নির্ভর করে ইনপুটের উপর। তাই লেন্স এবং সেন্সর যদি আউটপুট রেজোলিউশানের(ডিএসপি দ্বারা নির্ধারিত) সাথে ম্যাচ করতে না পারে তাহলে অতিরিক্ত রেজোলিউশানের পুরোটাই বৃথা যায়। তাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যথেষ্ট পরিমাণ রেজোলিউশান থাকা যা দ্বারা ক্যামেরায় ধারণকৃত ইমেজ স্পষ্টভাবে প্রদর্শন করা যায়।

বিভিন্ন ধরনের সিসিটিভি ক্যামেরা


সব সিসিটিভি ক্যামেরার সাইজ ও গঠন এক রকম নয়। প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে ক্যামেরাও বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। নিম্নে ৩ ধরনের বেসিক ক্যামেরার উদাহরণ দেওয়া হল

বুলেট ক্যামেরা: এই ছোট নলাকার ক্যামেরাগুলো সাধারণত এমন পারিপার্শ্বিক অবস্থায় ব্যবহৃত হয় যেখানে বিচক্ষণতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্য একে নিরাপত্তামূলক ডোমে স্থায়ীভাবে ইন্সটলের প্রয়োজন নেই। দোকান ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য এটি উপযুক্ত।

ডোম ক্যামেরা: নজরদারির জন্য ডোম ক্যামেরা অসাধারণ। এটি শুধু নৈমিত্তিক ক্ষতি থেকেই ক্যামেরাকে রক্ষা করেনা বরং অতিমাত্রায় নিরাপত্তা প্রদান করে। কারন ক্যামেরাটি কোন দিকে পয়েন্ট করে থাকে তা বোঝা প্রায় অসম্ভব।

আইআর ডে/নাইট ক্যামেরা:
লাইটিং এর অবস্থা যাই থাকুক না কেন, এই ক্যামেরাগুলো ২৪ ঘণ্টা আউটডোর কভারেজ দিয়ে থাকে। এগুলো দিনের বেলা একটি নির্দিষ্ট কালার ইমেজ দিয়ে থাকে এবং রাতে ইনফ্রারেড ভিউ এর জন্য সাদাকালোতে রূপান্তরিত হয়।

ব্যবহারকারীর উদ্দেশ্য ও চাহিদার উপর নির্ভর করে সে কোন ধরনের ক্যামেরা ব্যবহার করবে। চাহিদাগুলো নির্ণয় করতে পারলে ক্যামেরা নির্বাচন করা খুবই সহজ। এর পরেও যদি আপনি কনফিউজড থাকেন তাহলে আপনি আমাদের সাহায্য নিতে পারেন। আমাদের এক্সপার্ট টিম আপনাকে সাহায্য করবে কি ধরনের সিষ্টেম আপনার জন্য দরকার সেটা জানাতে। 


এছাড়াও আমরা গ্রাহকদের পছন্দমত কাস্টমাইজড প্যাকেজ করে দিতে পারি। কর্পোরেট গ্রাহকদের জন্য অফার লেটার ও কোটেশন এর ব্যাবস্থা আছে। যেকোনো সিকিউরিটি সমস্যায় সেরা হার্ডওয়ার কিংবা সফটওয়ার সলিউশনের জন্য যোগাযোগ করুন।

Don't Miss
© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
made with by SaHaLoM Pro