Showing posts with label আনক্যাটেগরি. Show all posts
Showing posts with label আনক্যাটেগরি. Show all posts

ভূতের গল্প কালো কুকুর (অবাস্তব ভূতের বাস্তব কাহিনী)

No comments

Sunday, 15 December 2019


ভূতের গল্প কালো কুকুর (অবাস্তব ভূতের বাস্তব কাহিনী)
Ghost stories black dog (finally ghost story)

দেশ স্বাধীন হবার কয়েক বছর পরের ঘটনা। ভাদ্র মাসের শেষ সময়। পুরো এলাকা তখনও বন্যার পানিতে তলানো। পানির উপরে ধান গাছ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকায় পুরো মাঠ ধনক্ষেত বোঝা গেলেও পানির পরিমাণ বোঝা যায় না। দিগন্তজোড়া সবুজের সমারোহ হলেও সবুজ ধান গছের নিচেই এক বুক, এক গলা পরিমাণ পানি। পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমার কারণে প্রচুর মাছ ধরা পড়ছে। আমরাও মাছ ধরার জন্য ধান ক্ষেতের আইলে চাঁই পেতেছি।
আমাদের বাড়ির পিছনে ছোট নালার মত আছে। খুব গভীর নয় আবার সমতলও নয়। নালাটি উঁচু জমি থেকে এক হাঁটু পরিমাণ নিচু। বর্ষা শেষে এই নিচু জমি দিয়ে উজানের পানি নেমে যায়। বাড়ি থেকে তিন চারশ’ গজ দক্ষিণে এবং রাস্তা থেকে পঞ্চাশ গজ পশ্চিমেই বড়ই গাছ। এই বড়ই গাছের তলেই কয়েক বছর আগে আয়তন নেছা সন্ধ্যা রাতে জ্ঞান হারিয়েছিল। যে কারণে এই বড়ই গাছকে সবাই ভূতুড়ে বড়ই গাছ হিসাবে জানে। বড়ই গাছ থেকে পশ্চিমে নালার অপর প্রান্ত পর্যন্ত পুরো নালাটিই বাঁশের বানা দিয়ে ঘের দেয়া হয়েছে।
প্রায় দুই থেকে আড়াইশ গজ বাঁশের বানার মাঝে মাঝে দশ পনরো হাত পরপর চার ছয় ইঞ্চি ফাঁক রেখে সেই ফাঁকের মুখে একটি করে চাঁই বসানো আছে। ভাদ্র মাসের শেষ সময়ে চাঁইয়ে প্রচুর মাছ ধরা পড়ছে। বড় বড় রুই কাতলা চাঁইয়ের ভিতর আটকা পড়লে বের হওয়ার জন্য দাপাদাপি করে চাঁই ভেঙ্গে ফেলে। দিনে বড় মাছের শব্দ শুনলে তাড়াতাড়ি গিয়ে চাঁই ভাঙ্গার আগেই মাছ উঠানো যায়। কিন্তু রাতে পাহাড়া না দিয়ে ঘুমিয়ে থাকলে অনেক সময় মাছ চাঁই ভেঙ্গে বের হয়ে যায়।
সন্ধ্যার সময় বাড়ির চাকর নাদু বলল. চাচা আইজ রাইতে আমাগো চাই পাহাড়া দেওয়া লাগবো। আইজ অনেক মাছ পড়বার পারে।
আমি নাদুকে জিজ্ঞেস করলাম, আজ এতো মাছ পড়ার কারন কি?
নাদু বলল, আইজ সারা দিন অনেক চড়া রোদ গ্যাছে। বানের পানি অনেক শুকাইছে। পানির খুব টান ধরছে তো, যে কারণে মাছ ধরা পড়বো। মাছ পাহাড়া না দিলে বড় বড় মাছগুলা চাঁই ভাইঙ্গা বাইর হইয়া যাইবো। আমি নাদুর কথায় সায় দিয়ে বললাম, ঠিক আছে।
রাত আটটা নয়টার দিকে দু’জনেই ভাত খেয়ে দু’টা বালিশ একটা চাটাই আর দু’জনে দু’টা বাঁশের লাঠি নিয়ে চাঁইয়ের কাছাকাছি রাস্তায় চলে এলাম। রাস্তাটি পানি থেকে অনেক উঁচু। রাস্তার উপরে মাঝখানে চাটাই পেতে বসে আছি। ফটফটা চাঁদনী রাত। অনেক দুর পর্যন্ত দেখা যায়। মাঝে মাঝে রাত চোরা পাখির ফুরুৎ ফুরুৎ শব্দ কানে আসে। মশার উৎপাতও কম নয়। নাদু মশার উৎপাত সহ্য করতে না পেরে ধানের খড় দিয়ে ভূতি বানিয়ে তাতে আগুন জ্বালিয়ে রেখেছে। ভূতির ধোয়া দিলে মশার উপদ্রব কিছুটা কমে। নাদু বাতাসের উজানে ভূতি রেখে দেয়ায় মশার উপদ্রব কিছুটা কম। অনেক রাত হলে আমি খালি চাটাইয়ের উপর বালিশে মাথা রেখে শুয়ে আছি। নাদুও তার বালিশে মাথা রেখে চিৎ হয়ে শুয়ে গুনগুন করে গান গাইছে।
রাত এগারোটা বারোটার সময় দুই জনে পানিতে নেমে চাঁই উঠিয়ে কিছু মাছ তুলে এনেছি। মাছগুলো রাস্তার কাছাকাছি বড় একটি চাঁইয়ের মধ্যে ঢেলে অর্ধেক পানিতে ডুবিয়ে রেখেছি। চাঁই অর্ধেক পানিতে ডুবিয়ে রাখার কারণে মাছ মরবে না, কয়েক দিন পর্যন্ত তাজা থাকবে। মাছগুলো চাঁইয়ের ভিতর রাখার পর বন্দী অবস্থায় কিছুক্ষণ লাফালাফি করে ক্লান্ত হয়ে আস্তে আস্তে নিরব হয়েছে।
রাত একটা দেড়টার দিকে দুইচোখে ঘুম চেপে এসেছে। আকাশে মেঘ বিহীন পুরো চাঁদ। হঠাৎ পশ্চিম দিক থেকে পানির উপর দিয়ে কোনও চারপায়া প্রাণী হেঁটে আসার শব্দ কানে আসল। আমরা দুইজনেই এই শব্দের তেমন কোন গুরুত্ব না দিয়ে চুপচাপ শুয়ে আছি। পানির উপর হেঁটে আসার শব্দ ক্রমে বাড়ছে। বোঝা যাচেছ প্রাণীটি পানির উপর দিয়ে আমাদের দিকেই আসছে। মাথা তুলে পশ্চিম দিকে তাকিয়ে দেখি কালো কুকুরের মত দেখা যায়। কুকুরটি পশ্চিম দিক থেকে আমাদের পাতানো চাঁইয়ের ঠিক কাছাকাছি এসেছে। আমি নাদুকে বললাম, কুত্তা কি চাঁইয়ের মাছ খাইবো নাকি?
নাদু বলল, কেন চাচা, কুত্তা তো কাঁচা মাছ খায় না। তাইলে পশ্চিম দিক থেকে ওইটা কি আইসে?
একথা শুনে নাদু শোয়া থেকে লাফ দিয়ে উঠে বসল। পশ্চিম দিকে তাকিয়ে বলল, দেখতে তো কুত্তার মতই মনে হয়। ধান গাছের উপর দিয়া হাইটা আসতেছে।

নাদুর কথা শুনে আমিও উঠে বসলাম। পশ্চিম দিকে মুখ করে বসে তাকিয়ে দেখি সত্যিই ধান গাছের উপর দিয়ে চার পা ফেলে কালো কুকুর আমাদের দিকেই আসছে।
নাদু হাতের লাঠি উঁচিয়ে বলল, এই কুত্তা, এদিকে আসবি তো পিটন দিয়া মাজা ভাইঙ্গা ফালামু।
নাদু একথা বলার পরও একই ভাবে পানির উপর দিয়ে ছোপ ছোপ শব্দ করে কুকুর হেঁটে আসছে।
আমি বললাম, এটা কোন বাড়ির কুত্তা, এতো রাইতে পশ্চিমে গেছিলো কি করতে?
নাদুও আমার কথার সাথে সাথে সায় দিয়ে বলল, হ চাচা, আমিও তো তাই ভাবতেছি। এক বুক পানি ভাইঙ্গা পশ্চিমে কার বাড়ি গেছিল?
নাদুর মুখে একবুক পানির কথা শোনার সাথে সাথে আমার সম্বিৎ ফিরে এলো। কুকুর তো কখনও এক বুক পানির উপর দিয়ে হেঁটে আসতে পারে না? এক হাঁটু পানিতেই যেখানে কুকুরের সাঁতার হয় সেখানে একবুক পানি তো অনেক। নিশ্চয় এটা কুকুর নয় অন্য কিছু। এ কথা মনে হতেই ভয়ে শরীর ঝাঁকি দিয়ে উঠল। সাথে সাথে লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম। নাদুকে উদ্দেশ্য করে বললাম, নাদু চাচা, তাড়াতাড়ি লাঠি নিয়া খাড়া হন। এ শালা তো কুত্তা না। এক বুক পানির উপর দিয়া কুত্তা আবার হাইটা আসে কেমনে?
আমার কথা শুনে নাদু সায় দিয়ে বলল, হ চাচা, ঠিকই তো! এক হাঁটু পানিতে যেহানে কুত্তার সাঁতার হয় সেইহানে এক বুক পানির উপর দিয়া কুত্তা আবার হাইটা আসে কেমনে? বলেই নাদু লুঙ্গি মালকোছা দিতে দিতে বলল, চাচা লুঙ্গি কাছা মাইরা রেডি হন। এইডা কুত্তা না, অন্য কিছু! বলেই সে বলে উঠল, এই কুত্তা, আর এক পা সামনে আসবি তো ঠ্যাং ভাইংগা ফালামু।

কিন্তু কুকুর সেই আগের মতই একই গতিতে এগিয়ে আসছে। চাঁদের আলোতে কালো লম্বা চারটি ঠ্যাং ঠিক কুকুরের মতই মনে হচ্ছে। আমিও নাদুর দেখাদেখি জোরে জোরে ধমক দিয়ে বললাম, এই কুত্তা, আর এক পা সামনে আসবি তো লাঠি দিয়া পিটাইয়া মাথা ছেঁইচা ফালামু।

আমরা যত ধমকই দেই না কেন, কোন কিছুতেই কুকুর থামছে না। কুকুর একই গতিতে আমদের দিকে হেঁটে আসছে। মুখে জোরে জোরে যাই বলি না কেন এদিকে ভয়ে আমাদের হাত পা থর থর করে কাঁপছে। ওদিকে কুকুর প্রায় একশ’ গজের মধ্যে চলে এসেছে। আমাদের থেকে পঞ্চাশ গজ দুরে সেই ভুতুরে বড়ই গাছ। যে গাছের নিচে আট দশ বছর আগে আয়তন নেছা নামের সদ্য বিবাহিতা মহিলা রাতে দুই দুইবার চিৎ হয়ে পড়ে জ্ঞান হারিয়েছিল। ওই ঘটনার পরে আরো অনেকেই ভয় পেয়েছে।
 আমরাও মাঝে মাঝে গভীর রাতে এই বড়ই গাছের নিচে আলোর নাচানাচি দেখেছি। কুকুরটি ঠিক ঐ বড়ই গাছের দিকেই চলে আসতেছে। ভয়ে শরীর কাঁটা দিয়ে উঠল। মনে মনে ভাবছি আরেকটু সামনে আসলেই চাঁটাই বালিশ ফেলেই বাড়ির দিকে দৌড় দিব। নাদু একটু ফাঁকে ছিল, ভয়ে আমার কাছে এসে দাঁড়ালো। দু’জনে মিলেই খুব ধমক ধামক দিচ্ছি কিন্তু কোন কিছুতেই বাঁধা মানছে না।
বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, মাঠে এক বুক এক গলা পরিমাণ পানি তার উপরে ধান গাছ, ধান গাছও এক কোমর পরিমাণ উঁচু, তার উপর দিয়ে কুকুর হেঁটে আসছে অথচ চার, ছয় ইঞ্চি পানিতে কুকুর হাঁটলে যে রকম ছোপ ছোপ শব্দ করে সেই রকম পানিতে হেঁটে আসার শব্দ হচ্ছে। এই ভৌতিক দৃশ্য দেখে ভয়ে কাঁপতে লাগলাম। শরীরের লোম খাড়া হয়ে উঠল। কুকুর প্রায় বড়ই গাছের কাছাকাছি এসেছে। নাদু আমকে উদ্দেশ্য করে বলল, চাচা আর থাকা ঠিক হইবো না। এবার বাড়ির দিকে দৌড় দ্যান।
দৌড় দিতে যাবো এমন সময় আমাদের বাড়ির সামনে থেকে বাবার কণ্ঠ শোনা গেল। বাবা নাদুকে ডাক দিয়ে বলল, এই নাদু কি হইছেরে?

নাদু জবাব দিল, দাদা একটা কুত্তা পানির উপর দিয়া আমাগো দিকে আইতেছে। ধমক দিলেও থামে না।
এ কথা শুনে বাবা ডাক দিয়ে বলল, তোরা দুইজন ঐহানেই থাক, আমি আইতেছি।
বাবা কিছুদুর এসে বলল, এই নাদু, কুত্তা কি এহনও আইতেছে রে?
নাদু বলল, হ দাদা, এহনও আইতেই আছে। থামে নাই।

নাদুর কথা শুনে বাবা কুকুরকে উদ্দেশ্য করে বলল, কি- রে-- পোলাপানে মাছ ধরবার আইছে তর সহ্য হইল না, না-- হ ? ভয় দেহাইবার আইছস। যেহান থাইকা আইছস সেইহানে ফিরা যা, নইলে কিন্তু লাঠির পেটন খায়া মরবি। মনে করছোস আমি ঘুমাইয়া গেছি না-- হ? বলেই জোরে জোরে তিনটা গলা খাকারী দিতেই কুকুর থেমে গেল।

কুকুর থেমে যাওয়ায় পানির উপর দিয়ে হেঁটে বেড়ানোর ছোপ ছোপ শব্দও বন্ধ হয়ে গেল। বাবা আবার নাদুকে জিজ্ঞেস করল, কিরে নাদু, কুত্তা কি এহনও আইতেছে না থামছে?
নাদু বলল, দাদা কুত্তা থামছে।

বাবা বলল, খালি থামলে তো হইবো না। যেহান থাইকা আইছে হেইহানে যাইবার ক--। বলেই বাবা কুকুরকে উদ্দেশ্য করে বলল, কিরে ফিরা যাবি, না আমার হাতের পিটন খাবি? একথা বলেই বাবা আবার জোরে গলা খাঁকারি দিলো। বাবার গলা খাঁকারী শুনে কুকুর বাবার দিকে ফিরে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থকল এরপর আস্তে আস্তে যে দিক থেকে এসেছিল সেদিকেই চলে গেল।
বাবা ইতমধ্যেই আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছেন। কুকুর পিছন ফিরে কিছুদুর যাওয়ার পরেই আর কোন সাড়া শব্দ নেই। ভাল করে তাকিয়ে দেখি কুকুরের কোন চিহ্নই আর দেখা যায় না।
বাবা আবার কুকুরকে উদ্দেশ্য করে বলল, কই গিয়া মিশা গেলিরে? এই এলাকায় আর যেন না দেহি। সোজা ঠাকুরের ভিটায় চইলা যা।
ঠাকুরের ভিটা মাঠের পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত। ভিটাটি সম্পূর্ণ পোড়ো ভিটা। আগাছা এবং নানা ধরনের গাছগাছালিতে ভরা। রাতের আঁধারে মাঝে মাঝে ভুতের আলো জ্বলে উঠে। ঠাকুরের ভিটায় আলো জ্বলে এক জায়গায় থাকে না, মাঝে মাঝে সোজা গাছের উপরে উঠে যায় আবার সরাৎ করে নিচে নেমে আসে। যে কারণে এই ভিটাকে সবাই ভুতুরে ভিটা হিসাবে জানে। সন্ধ্যার পরে ঐ ভিটায় কেউ মরে গেলেও একা যায় না।
কুকুরকে ধমক দিয়ে বাবা আমাদের বলল, চাটাই আর বালিশ নিয়া বাড়ি যা। বাকী রাত আর থাকার দরকার নাই। ওই হারামজাদা মাছ খাইতে আইছিল, আবার আইতে পারে।
নাদু মাছসহ চাঁইটি পানি থেকে উঠিয়ে আনল। চাই পানির উপরে উঠাতেই অনেক মাছ একসাথে ফরফর শব্দ করে লাফাতে লাগল। আমি বালিশ দু’টি দু’হাতের বগলতলায় নিয়ে নিলাম। বাবা চাটাই গুছিয়ে হাতে নিয়ে নিলে তিনজনই বাড়ির দিকে রওনা হলাম।
ঐ ঘটনার পর আর কখনও এমন দৃশ্য চোখে পড়েনি। তবে অবাস্তব ভুতের বাস্তব চেহারায় এই অবিশ্বাস্য ঘটনাটি দেখার পরে, ভুত বলে কিছু নেই এটা বিশ্বাস করলেও ভৌতিক দৃশ্যটি ভুলতে পারছি না। কারণ এক বুক পানিতে এক কোমর পরিমাণ উঁচু ধান গাছের উপর দিয়ে এই কুকুর কিভাবে হেঁটে আসলো আবার কিছুদুর গিয়ে কিভাবে স্বশরীরে মিলিয়ে গেল এই প্রশ্নের উত্তর আজো খুঁজে পাইনি। তবে বাস্তব ঘটনাটি আমার মনে দাগ কেটে আছে।

ছোলা ভিজাতে ভুলে গেলেও ৩০মিনিটে নরম ছোলা ভুনা

No comments

Monday, 9 December 2019



ছোলা ভিজাতে ভুলে গেলেও ৩০মিনিটে নরম ছোলা 

যত কিছুই থাক না কেন ছোলা বা বুট ছাড়া যেন সব অপূর্ণ থেকে যায়। তবে নরম ছোলা ভুনা খেতে চাইলে ছোলাটা ভিজিয়ে রাখতে হয় আগের রাতে, কমপক্ষে সেহেরির সময় বা সকাল বেলা। ৬/৭ ঘণ্টা না ভিজিয়ে রাখলে ছোলা ফোলে না, ফলে সিদ্ধ করার সময় নরমও হতে চায় না। 

তাই কোনো কারণে ছোলা ভিজিয়ে রাখতে মনে না থাকলে অনেকে বাজারে গিয়ে কিনেন। কিন্তু এখন ভিজিয়ে রাখা ছাড়াই নরম ও সুস্বাদু ছোলা ভুনা করতে পারবেন। তাও আবার মাত্র ৩০ মিনিটে। তবে চলুন জেনে নিই একটি জাদুকরী উপায়।


যা লাগবে :–
ছোলা ২৫০ গ্রাম, ফুটন্ত গরম পানি দেড় থেকে ২ লিটার, সেদ্ধ করার জন্য প্রেসার কুকার।

প্রণালি :
ছোলা ভালো করে ধুয়ে একটি বড় পাত্রে নিন। তারপর ফুটন্ত গরম পানি ছোলার মাঝে দিয়ে দিন। পাত্র ঢাকনা দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন।

# এবার প্রেসার কুকারে ছোলাগুলো পানি সহ দিয়ে দিন। এমনভাবে পানি দেবেন যেন ছোলা ভালো মত ডুবে থাকে পানিতে।

# প্রেসার কুকার চুলায় বসিয়ে দিন বেশী আঁচে। সিটি বাজা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ৩ থেকে ৫ টি সিটি বাজলেই চুলা নিভিয়ে দিন।

প্রেসার কুকার থেকে সমস্ত বাষ্প নিজে নিজে বের হয়ে যেতে দিন। তারপর খুলে দেখুন, আপনার ছোলা সিদ্ধ তৈরি। এবার এই ছোলাকে পছন্দমত রান্না করে নিন।

জরুরি টিপস –
অনেক ছোলা প্রেসার কুকারেও ফুলতে বা সিদ্ধ হতে সময় লাগে। যদি দেখেন যে ছোলা ফোলেনি বা সিদ্ধ হয়নি, সেক্ষেত্রে প্রেসার কুকারের ঢাকনা আটকে আরো কয়েকটি সিটি দিন।

# ছোলা ২০ মিনিটের জায়গায় ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে সবচাইতে ভালো। তবে ২০ মিনিটেও কাজ চলবে।

বিকেলের নাস্তায় সুস্বাদু ডিম-আলুর কাটলেট

No comments

বিকেলের নাস্তায় সুস্বাদু ডিম-আলুর কাটলেট

বাসায় অতিথি আসলে ঝটপট তৈরি করে ফেলতে পারেন সুস্বাদু ডিম-আলুর কাটলেট। স্বাস্থ্যকর ও মজাদার এই আইটেমটি শিশুরাও পছন্দ করবে। মেঘলা মেঘলা আবহাওয়ায় বিকেলের নাস্তায় মজাদার এই কাটলেটের জুড়ি নেই। তৈরী করাটাও সোজা। চলুন জেনে নেয়া যাক রেসিপি-

# উপকরণ
সেদ্ধ ডিম- ৪টি
আলু- ২৫০ গ্রাম (সেদ্ধ করে চটকে নেওয়া)
ধনেপাতা কুচি- মুঠো ভর্তি
পেঁয়াজ- ১টি (কুচি)
মরিচ গুঁড়া- ১ চা চামচ
লবণ- আধা চা চামচ
তেল- ১ কাপ
বিস্কুটের গুঁড়া- পরিমাণ মতো
ফেটানো ডিম- ১টি (ম্যারিনেট করার জন্য)

# প্রস্তুত প্রণালি
চটকে রাখা আলু, পেঁয়াজ কুচি, মরিচ গুঁড়া, লবণ ও ধনেপাতা কুচি একসঙ্গে মেশান। সেদ্ধ ডিম দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন। মিশ্রণ থেকে ছোট বল তৈরি করে সামান্য চ্যাপ্টা করে নিন। ফেটিয়ে রাখা ডিমে ডুবিয়ে বিস্কুটের গুঁড়ায় গড়িয়ে ডুবো তেলে ভেজে নিন কাটলেট। টমেটো সসের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন মচমচে কাটলেট। 

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

জিভে জল আনা করমচা আচারের রেসিপি

No comments

জিভে জল আনা করমচা আচারের রেসিপি

করমচা টক জাতীয়, বেশ জনপ্রিয় একটি ফল। করমচায় রয়েছে ভিটামিন ‘সি’। যা দাঁত, দাঁতের মাড়ি, অকাল বার্ধক্য রোধে ও ফুসফুস ভালো রাখতে সাহায্য করে। এতে আরো রয়েছে প্রোটিন, ফ্যাট, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, মিনারেল, ফসফরাস, আয়রন এবং ভিটামিন-এ যা আমাদের শরীরের জন্য জরুরি।

এক কথায়, কাচা করমচা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। পাশাপাশি আচার হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। করমচার আচার মুখরোচক ও রুচিবর্ধক। চলুন ঝটপট জেনে নিই করমচার আচারের রেসিপি-

উপকরণ :
করমচা ১ কেজি, পাঁচফোড়ন গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, লবণ পরিমাণ মতো, চিনি ২ টেবিল চামচ, লঙ্কার গুড়ো গুঁড়ো ২ টেবিল চামচ, মেথি গুঁড়ো, ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ, সিরকা ১ টেবিল চামচ, ধনে গুঁড়ো ১ চা চামচ, সর্ষের তেল ২ কাপ, রসুন বাটা হাফ কাপ।

প্রণালি :
করমচা ধুয়ে কেটে বিচি বের করে নিতে হবে। কড়াইয়ে তেল দিয়ে সব মসলা দিয়ে কষিয়ে নিন এবং করমচা দিয়ে দিন। একটু পরে সিরকা ও লবণ চিনি দিয়ে ১০ মিনিট রান্না করতে হবে। আচারের উপরে তেল উঠে আসলে আচার নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে সংরক্ষণ করে রাখুন কাঁচের বোয়ামে। ভালোভাবে সংরক্ষণ করলে দীর্ঘদিন রেখে খাওয়া যাবে।

সাজেক ভ্যালী-কিভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, কি খাবেন?

No comments

Saturday, 7 December 2019



সাজেক ভ্যালী-কিভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, কি খাবেন?


প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের আঁধার আমাদের মাতৃভূমি রূপসী বাংলা । রূপের অপার সৌন্দর্যের সাঁজে সেজে আছে বাংলা মা । আমরা সৌন্দর্যের খোঁজে ছুটে বেড়াই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে । কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছি আমাদের দেশের সৌন্দর্য তাদের চেয়ে কোন অংশে কম নয় ।চারপাশে মনোরম পরিবেশ আর পাহাড়ি সারি তুলোর মত মেঘের ভ্যালি আপনাকে করবে মুগ্ধ।সাজেকে এমনই আশ্চর্য্য জনক জায়গা খোনে একই দিনে প্রকৃতির তিন রকম রুপের সান্নিধ্যে আপনি হতে পারেন চমৎকৃত।যা আপনার সুন্দর একটি স্মৃতি হয়ে কল্পনায় গেঁথে থাকবে ।সাজেকে সর্বত্র মেঘ, পাহাড় আর সবুজের দারুণ মিতালী চোখে পড়ে ।

 বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার অন্তর্গত সাজেক ইউনিয়নের একটি বিখ্যাত পর্যটন আকর্ষণ। সাজেক ভ্যালি রাঙামাটি জেলার সর্বউত্তরের মিজোরাম সীমান্তে অবস্থিত। সাজেকের উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা, দক্ষিণে রাঙামাটির লংগদু, পূর্বে ভারতের মিজোরাম, পশ্চিমে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা অবস্থিত। সাজেক হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন; যার আয়তন ৭০২ বর্গমাইল। খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে সাজেকের দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার।


যেভাবে যাবেন সাজেক ভ্যালীঃ
ঢাকা থেকে সেন্টমার্টিন পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন, হানিফ পরিবহন ও অন্যান্য পরিবহনের বাসে খাগড়াছড়ি (Khagrachari) যেতে পারবেন। ভাড়া পড়বে ৫২০ টাকা। এ ছাড়া সরাসরি দীঘিনালা যেতে চাইলে শান্তি পরিবহনের বাস যায়।সর্বনিম্ন ভাড়া ৫৮০ টাকা হতে পারে এবং সর্বোচ্চ ভাড়া ১১০০ টাকা হতে পারে। আর এগুলো দুটি-ই এসি-নন এসি সার্ভিস চালু আছে এছাড়াও বিআরটিসি (BRTC) ও সেন্টমার্টিন পরিবহনের এসি বাস খাগড়াছড়ি যায়।

সম্ভাব্য পরিবহন এর যোগাযোগ ফোন নাম্বারঃ

সেন্টমার্টিন পরিবহন (Saint Martin Paribahan)

আরামবাগ ০১৭৬২৬৯১৩৪১ , ০১৭৬২৬৯১৩৪০ ।

খাগড়াছড়ি ০১৭৬২৬৯১৩৫৮ ।

শ্যামলী পরিবহন – আরামবাগঃ ০২-৭১৯৪২৯১ ।

কল্যাণপুরঃ ৯০০৩৩৩১ , ৮০৩৪২৭৫ ।

আসাদগেটঃ ৮১২৪৮৮১ , ৯১২৪৫৪ ।

দামপাড়া (চট্টগ্রাম) ০১৭১১৩৭১৪০৫ , ০১৭১১৩৭৭২৪৯ ।

শান্তি পরিবহন – আরামবাগ ( ঢাকা ) – ০১১৯০৯৯৪০০৭ । অক্সিজেন(চট্টগ্রাম) ০১৮১৭৭১৫৫৫২ ।

চট্টগ্রাম থেকেও খাগড়াছড়ি যেতে পারবেন। 

BRTC এসি বাস (চট্টগ্রাম) 

কদমতলীঃ ০১৬৮২৩৮৫১২৫ । 
খাগড়াছড়িঃ ০১৫৫৭৪০২৫০৭ ।

খাগড়াছড়ি থেকে জীপ গাড়ি (লোকাল নাম চান্দের গাড়ি) রিজার্ভ নিয়ে একদিনে সাজেক ভ্যালী ঘুরে আসতে পারবেন। ভাড়া নিবে ৮৫০০-১০০০০ টাকা। এক গাড়িতে ১৫ জন বসতে পারবেন। লোক কম হলে শহর থেকে সিএনজি নিয়েও যেতে পারবেন। ভাড়া ৪০০০-৫০০০ টাকার মতো নিবে।

এবার কোথায় খাবেনঃ

খাগড়াছড়ি শহরের কাছেই পানখাই পাড়ায় ঐতিহ্যবাহী সিস্টেম রেস্তোরার (System Restaurant) অবস্থান রয়েছে যেখানে আপনার পছন্দ মত বেছে নিতে পারেন।। এবং খাগড়াছড়ির ঐতিহ্যবাহী খাবার খেতে পারবেন পছন্দ মত।তাছাড়া আপনি সাজেকের খেতে হলে রুন্ময় রিসোর্ট খেতে পারবেন।এবং সেখানে সাজেক রিসোর্টে থাকলে ওখানেও খাওয়া যায়। এবং তা ছাড়া রুইলুই ও কংলক পাড়াতে আদিবাসিদের সাথে খাওয়া যায়। এ জন্যে অবশ্য আপনাকে আগে থেকে বলে দিতে হবে কজন খাবেন, কি খেতে চান এসব।এজন্য আপনকে আগে থেকে বলে রাখতে হবে।

এবার কোথায় থাকভেনঃ

১) সাজেক সাজেক রিসোর্ট

এটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত রিসোর্ট।যোগাযোগঃ ০১৮৫৯০২৫৬৯৪ / ০১৮৪৭০৭০৩৯৫।


এছাড়াও রয়েছেঃ


রুন্ময় রিসোর্ট – এটি সাজেকে অবস্থিত।

যোগাযোগঃ ০১৮৬২০১১৮৫২।

আলো রিসোর্ট – এটি সাজেকের একটু আগে রুইলুই পাড়াতে অবস্থিত।

যোগাযোগঃ ০১৮৬৩৬০৬৯০৬ ও ০৩৭১-৬২০৬৭।

আদিবাসীদের ঘরে – এ ছাড়া চাইলে আদিবাসীদের ঘরেও থাকতে পারবেন। 

যোগাযোগঃ মাখুমা – ০১৫৫৩০২৯৬১৭।


ইমানুয়েল রিসোর্ট – এটিতে ৮ টি রুম আছে। সবগুলো কমনবাথ। 
যোগাযোগ: ০১৮৬৫৩৪৯১৩০, ০১৮৬৯৪৯০৮৬৮।

মেয়ে বা পরিবারের জন্য একটি আদর্শ রিসোর্ট নয়।

২) দীঘিনালা দীঘিনালা গেস্ট হাউজঃ

এটি দীঘিনালা শহরের বাস স্ট্যান্ডের উল্টো পাশে অবস্থিত। এটি দীঘিনালার আবাসিক হোটেল গুলোর মধ্যে একটু মানসম্মত।

যোগাযোগঃ নূর মোহাম্মদ(ম্যানেজার) – ০১৮২৭৪৬৮৩৭৭।

৩) খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেল

এটি শহরে ঢুকতেই চেঙ্গী নদী পার হলেই পরবে। যোগাযোগঃ ০৩৭১-৬২০৮৪৮৫ ।

এছাড়াও রয়েছেঃ
হোটেল ইকো ছড়ি ইন – খাগড়াপুর ক্যান্টর্মেন্ট এর পাশে পাহাড়ী পরিবেশে অবস্থিত। যোগাযোগঃ ০৩৭১-৬২৬২৫ , ৩৭৪৩২২৫।

হোটেল শৈল সুবর্ন – ০৩৭১-৬১৪৩৬ , ০১১৯০৭৭৬৮১২ ।

হোটেল জেরিন – ০৩৭১-৬১০৭১ ।

হোটেল লবিয়ত – ০৩৭১-৬১২২০ , ০১৫৫৬৫৭৫৭৪৬ , ০১১৯৯২৪৪৭৩০ ।

হোটেল শিল্পী – ০৩৭১-৬১৭৯৫ ।

চাঁদের গাড়ির জন্যে যোগাযোগঃ

গাড়ির ড্রাইভার যোগাযোগঃ

নূর আলম – ০১৮২০৭৩২০৪৩,

রাজ – ০১৮২০৭৪১৬৬২, ০১৮৪৯৮৭৮৬৪৯,

হানিফ – ০১৮২৮৮২৯৯০৮,

মিধল – ০১৮৬৭১৩৫২১৪,


শিবু- ০১৮২০৭৪৬৭৪৪ ।

সুস্বাদু বিফ কিমা পোলাও।

No comments

Tuesday, 3 December 2019



সুস্বাদু বিফ কিমা পোলাও।


উৎসব-পার্বণ মানেই স্পেশাল সব খাবারের আয়োজন। আর এসব সুস্বাদু খাবারই উৎসবের আমেজ বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। তাই আমেজ বাড়াতে মেন্যুতে রাখতে পারেন জিভে জল আনা বিফ কিমা পোলাও।

উপকরণ :
পোলাওয়ের চাল ১ কেজি, গরুর কিমা ৫০০ গ্রাম, পেঁয়াজ বাটা ১ কাপ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, পেয়াজ কুচি আধা কাপ।

এলাচ ৪-৫ টি, দারুচিনি ৩-৪টি, ঘি ২ টেবিল চামচ, তেল ৩ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদ মতো, তেজপাতা ২টি, কাঁচামরিচ আস্ত ৫-৬টি, গরম পানি ৮ কাপ।

প্রণালি :
পোলাওয়ের চাল ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে ১ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। একটি পাত্রে পেঁয়াজ বেরেস্তা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে।


লবণ আর সব উপকরণ এক সঙ্গে মেখে কড়াইতে তেল দিয়ে কষাতে হবে। এরপর মাংসের কিমা ঢেলে দিয়ে রান্না করতে হবে। মাংসের কিমার পানি শুকিয়ে গেলে পোলাওয়ের চাল ঢেলে দিয়ে ভাজতে হবে।

এরপর গরম পানি, কাঁচামরিচ টুকরা দিয়ে বেশি আঁচে রান্না করতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে অল্প আঁচে দমে রেখে দিয়ে কিছুক্ষণ পর ঘি দিয়ে একটু নেড়ে নিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।

সুস্বাদু চিলি চিকেন রান্নার সহজ রেসিপি।

No comments


সুস্বাদু চিলি চিকেন রান্নার সহজ রেসিপি।

চিলি চিকেন খাবারটি অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও দারুন জনপ্রিয়। চাইনিজ খাবারের কথা মনে হলেই চিলি চিকেনের অসাধারণ স্বাদের কথা সবার আগে মনে পড়ে।  

ফ্রাইড রাইসের পাশাপাশি পোলাও, পরোটা ও লুচির সাথেও চিলি চিকেন অনায়াসেই খাওয়া যায়। আর তৈরি করাও খুব সহজ। জেনে নিন চিলি চিকেন তৈরির রেসিপি।

উপকরণ:
মুরগির মাংস ২ কাপ (কিউব করে কাটা), পিয়াজ বড় মোটা করে কাটা ২ কাপ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, ডিম ১ টা, ময়দা ৩ টেবিল-চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, চিলি সস ১ কাপ, গুরো লংকা ২ চা চামচ, আদা ও রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, জিরা ও ধনে গুরো ১ টেবিল চামচ, সয়াসস ৪ টেবিল চামচ, ক্যাপ্সিকাম কিউব ১ টেবিল চামচ, টেস্টিং সল্ট হাফ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল পরিমাণমতো।

প্রস্তুত প্রনালী:
মুরগির মাংস সয়াসস, আদা, রসুন, জিরা ও ধনে গুড়ো, লেবুর রস, ময়দা, ডিম ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে ২০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন।

প্যানে তেল গরম হলে মাংস দিয়ে ৫ মিনিট নাড়াচাড়া করে ভাজুন। ভাজা হয়ে গেলে পেয়াজ কুচি দিয়ে, মরিচের গুরো ও ১ কাপ জল দিয়ে ঢেকে দিন ৫ মিনিটের জন্য।

৫ মিনিট পর ১ কাপ নরমাল জলে সস ও কর্নফ্লাওয়ার গুলিয়ে চিকেনের সাথে ভাল করে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে দিন । ঢেকে দিয়ে কিছুক্ষন রান্না করুন। ঘন হয়ে এলে নেড়ে নামিয়ে নিন।

ডিশে ঢেলে ক্যাপ্সিকাম কিউব ছিটিয়ে দিন। ফ্রাইড রাইসের সাথে অথবা লুচি দিয়ে পরিবেশন করুন ।

সৌন্দর্যচর্চায় নারকেল তেলের চমকপ্রদ গুনাবলি।

No comments



সৌন্দর্যচর্চায় নারকেল তেলের চমকপ্রদ গুনাবলি।

সৌন্দর্যচর্চায় নারকেল তেল প্রাচীন কাল হতেই ব্যবহার হয়ে আসছে। নারকেল তেল দিয়ে নিয়মিত মাসাজ করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। পিগমেন্টেশনের সমস্যা দূর করে। এছাড়া চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়। নারকেল তেল ত্বককে আর্দ্র রাখে। ত্বকের শুষ্কতা দূর করার জন্য নারকেল তেল বেশ উপকারী।


মেকআপ রিমুভার: প্রায় সকল নারীই তাদের মেকআপ তোলা নিয়ে অনেক যন্ত্রণায় থাকেন। মেকআপ রিমুভারে যে স্পিরিট ব্যবহার করা হয়, তা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এর বিকল্প হিসেবে নারকেল তেল ব্যবহার করা যায়। এক টুকরো তুলায় হালকা করে তেল লাগিয়ে মুখে ঘোষলে দ্রুতই মেকআপ উঠে যাবে।
টুতপেস্ট: নারকেল তেলের সাথে একচিমটি বেকিং পাওডার মিশিয়ে দাঁত মাজলে আপনার দাঁত হবে ঝক ঝকে সাদা। আপনি দিতে পারবেন প্রাঞ্জল হাসি।
শ্বাস বিশুদ্ধিকারক: নারকেল তেল anti fungal এবং antibacterial বৈশিষ্ট্য আছে। এক চামচ তেল নিয়ে কুলকুচি করলে শ্বাস বিশুদ্ধ হবে ও মুখের জীবাণু পরিষ্কার হবে। এছাড়াও মাড়ি স্বস্থ্যকর হবে ও দাঁত সাদা হবে।
বডি লোশন: বডি ময়েশ্চারাইজার লোশন হিসেবে নারিকেল তেল অত্যন্ত উপকারী। বিশেষ করে শীতে কালে যখন ত্বক শুষ্ক থাকে তখন গোসলের পর সামান্য নারিকেল তেল ম্যাসাজ করে নিন পুরো শরীরে। ত্বক থাকবে কোমল আর মসৃণ।
ম্যাসাজ অয়েল: ম্যাসাজ অয়েল হিসেবেও নারিকেল তেল অসাধারণ। পুরো শরীরকে শিথিল করতে এবং রক্তচলাচল বৃদ্ধি করার জন্য নারিকেল তেল দিয়ে শরীরটাকে ম্যাসাজ করিয়ে শরীর হয়ে উঠবে ঝরঝরা এবং ক্লান্তিহীন।
কন্ডিশনার: নারকেল তেল খুব সহজে ত্বকের ভেতরে প্রবেশ করে বলে এটি ভালো কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। চুলের যত্নে নানা ধরনের কন্ডিশনার বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু প্রাকৃতিক এ কন্ডিশনার চুলের জন্য অনেক উপকারী। চুল পড়া রোধ, খুশকি দূর করাসহ চুলের নানা সমস্যা দূর হয় এ তেলে।
লিপ বাম: ঠোঁটের পরিচর্যায়ও নারকেল তেলের ব্যবহার অনন্য। অল্প পরিমাণ নারিকেল তেল একটি ছোট কৌটায় করে ফ্রিজে রেখে দিন। ঠান্ডায় নারিকেল তেল জমে গেলে, ঠোঁটের শুষ্কতা অনুভূত হলেই নারিকেল তেল লাগিয়ে নিন। এতে ঠোঁট থাকবে সুন্দর ও মোলায়েম।
বডি স্ক্রাব: নারকেল তেল ত্বককে আর্দ্র রাখে। ত্বকের শুষ্কতা দূর করার জন্য নারকেল তেল বেশ উপকারী। কয়েক ফোঁটা তেল হাতের তালুতে নিয়ে তা পুরো শরীরে মাখালে ত্বক অনেক বেশি উজ্জ্বল দেখাবে এবং নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের শুষ্কতা দূর হবে। ময়লা দূর করতে স্ক্রাব হিসেবে এ তেল বেশ উপকারী। তাই মসৃণ ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য নারকেল তেল বিশেষ কার্যকর ভূমিকা রাখে।
খুসকি রোধে: নারিকেল তেলের আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। ফলে খুসকির উপদ্রব থেকে বাঁচতে চাইলেই নারিকেল তেলের ব্যবহার অনন্য। নারিকেল তেল হালকা গরম করে মাথায় ম্যাসাজ করে ঘন্টা খানেক রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহারে মাথার ত্বকের খুসকি দূর হয়ে যাবে।
পা ফাটা রোধে: যাদের পা ফেটে যাওয়ার সমস্যা আছে তারা প্রথমে হালকা গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পায়ের গোড়ালিতে নারিকেল তেল ম্যাসাজ করে নিন। এরপর একটি মোজা পরে রাতে ঘুমিয়ে যান। এভাবে নিয়মিত ব্যবহারে পা ফাটার সমস্যা পুরোপুরি চলে যাবে।
নাইট ক্রিম: সর্বাধিক ময়শ্চারাইজিং বেনিফিটের জন্য রাতে নারিকেল তেল ব্যাবহার করুন। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহের আপনার শরীরের ত্বককে মসৃণ ও সুন্দর করবে।
এর অনেক গুণের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নারকেল তেল আপনার বুড়িয়ে যাওয়ার গতিকে কমিয়ে দেয়। এটি শরীরের কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। নারকেল তেলের এন্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগের সমস্যাও দূর করে। নারকেল তেল শুধু ত্বকের সজীবতাই ধরে রাখে না, এটি ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষায়ও অত্যন্ত কার্যকর। এ তেল হৃদরোগের জন্যও যথেষ্ট উপকারী। নারকেল তেল কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভূমিকা রাখে।
 সূত্র: আলিউরি

শীতে ঠোঁট ফাটা রোধের উপায় জেনে নিন

No comments

শীতে ঠোঁট ফাটা রোধের উপায় জেনে নিন

কুয়াশার চাঁদর গায়ে জড়িয়ে প্রকৃতিতে এসেছে শীতকাল। ঠাণ্ডা হিমেল হাওয়ার আনন্দে মেতে উঠতে না উঠতেই দুশ্চিন্তায় হয় ত্বক নিয়ে। শুষ্কতার থাবায় নিষ্প্রাণ ঠোঁট- আর ফাটা বিপর্যস্ত ঠোঁট নিয়ে বিব্রত হতে হয়। তাই নামী দামী পণ্যের দ্বারস্থ হতে হয় শীতের শুরু থেকেই। তবে হাতের নাগালেই রয়েছে ঠােঁট ফাটা রোধে কিছু ঘরোয়া সমাধান।
মূলত, শরীরের ডিহাইড্রেশনের ফলে ঠোঁট ফাটে।


এ সময় এমনিতেই পানি কম খাওয়ার প্রবণতা থাকে। তাই বেশি করে পানি খেলে ঠোঁট ফাটা কমতে পারে। এছাড়া ঠোঁট পরিষ্কার রাখাটাও খুব জরুরি। জেনে নিন কিছু ঘরোয়া সমাধান যাতে শুষ্ক শীতেও ঠোঁট থাকবে নরম, সুন্দর ও কমনীয়।

# প্রথমেই দেহের ভেতর থেকে ঠোঁটের পুষ্টি জোগাতে হবে। দেহের ত্বকের মতো ঠোঁটেরও হাইড্রেশন দরকার। অর্থাৎ দেহে যথেষ্ট পানি থাকতে হবে। তাই শীতের অলসতায় পানি খাওয়া কমিয়ে দেবেন না। বেশি পরিমাণ পানি, ফল ও সবজি খেতে থাকুন। এতে ঠোঁট এমনিতেই ময়েশ্চারসমৃদ্ধ থাকবে।

# মধু ও লেবু ব্যবহার করতে পারেন। এই বিশেষ প্যাকটি ঠোঁটের ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। তাছাড়া লিপবাম মোটা করে ঠোঁটে লাগিয়ে তুলো দিয়ে আলতো করে মরা কোষ তুলে ফেলুন, পাবেন কমনীয় সুন্দর ঠোঁট।

# পেট্রোলিয়াম জেলির ব্যবহার নতুন কিছু নয়। এটি ঠোঁটের কোমলতা ও গোলাপি রং ধরে রাখে। তাই নিয়মিত ব্যবহার করুন। তবে ভালো মানের পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করবেন।

# বাইরে বেরোনোর আগে ঠোঁট জোড়াকে এসপিএফ ফর্মুলায় রক্ষা করুন। ঠোঁটও কিন্তু ত্বকের মতোই। শীতের শুষ্ক মৌসুমে ঠোঁটও শুষ্ক হয়ে পড়ে। এসপিএফ ব্যবহারে ভেজা ভাব হারায় না ঠোঁট। শেয়া বাটার বেছে নিতে পারেন, এতে এসপিএফ উপাদান রয়েছে। ঠোঁটে তাৎক্ষণিক পুষ্টির জন্য শেয়া বাটার অনন্য উপাদান।

# ঠোঁট ফেটে রোধে দারুণ কাজ দেয় গ্লিসারিন। এটি ত্বক ফাটার কাজেও বহুল ব্যবহৃত উপকরণ। চোখ ও ঠোঁটের চারদিকে গ্লিসারিন লাগিয়ে নিতে পারেন।

# যদি ঠোঁট ফেটে যায়, তবে ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার থেকে সাবধান হয়ে যান। পরিবর্তে আরো ক্রিমপূর্ণ এবং পিচ্ছিল লিপস্টিক লাগাতে হবে। এতে ঠোঁটে শীতের চেহারা থাকবে না।

# গোটা শীতে প্রতিদিনই নারকেল তেল লাগাতে পারেন ঠোঁটে। এতে কখনো ফাটা ভাব আসবে না। এতে ঠোঁট ময়েশ্চারাইজার পাবে।

# ভিটামিন ‘ই’ রয়েছে এমন লিপ বাম ব্যবহার করুন। এটা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের দারুণ উৎস। ঠোঁটের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ভিটামিন ‘ই’-সমৃদ্ধ লিপ বাম বেশ কাজের।

# ফেটে যাওয়া ঠোঁটের যত্নে মধু ও চিনির মিশ্রণ জাদুর মতো কাজ করে। এটা ঠোঁটের যত্নের পুষ্টিকর উপায়। এতে ঠোঁট হবে কোমল ও মসৃণ।

মেকআপ তোলার কিছু ভুল পদ্ধতি।

No comments


মেকআপ তোলার কিছু ভুল পদ্ধতি

শীতের এই সময়টাকে উৎসবের মৌসুমও বলা যায়। আর এ সময় ঘেমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। তাই মেকআপে চলে নানা রঙের ব্যবহার। শীতে মনের মতো সাজে তো সাজা যায়ই, কিন্তু সাজ শেষে মেকআপ তোলাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেককেই দেখা যায়, রাতে কোনো অনুষ্ঠান থেকে ফিরে ঠান্ডার ভয়ে মেকআপ না তুলেই ঘুমিয়ে পড়েন এতে করে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এছাড়া আমরা প্রায়ই মেকআপ তোলার সময় কিছু ভুল করে থাকি-

# অনেকেই মনে করেন মেকআপ ওয়াইপ ব্যবহার করার পর আর ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার দরকার নেই। কিন্তু আসলে এটি একটি ভুল ধারণা। মেকআপ ওয়াইপ ব্যবহার করার পর অন্য ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিস্কার করতে হবে এবং সবশেষে পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে পরিস্কার করতে হবে।

# অনেকেই মেকআপ তোলার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হিসেবে তেল ব্যবহার করেন৷ শুধু শুষ্ক ও মিশ্র ত্বকের মেকআপ তুলতে তেল ব্যবহার করুন। তৈলাক্ত ত্বকে মেকআপ তুলতে কখনোই তেল ব্যবহার করবেন না৷ এতে ত্বকে ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

# তৈলাক্ত ত্বকে মেকআপ তুলতে ওয়াটার বেজ ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন৷ এখন বাজারে অনেক ভালো মানের মেকআপ ক্লিনজার টিস্যু পাওয়া যায়। মেকআপ তুলতে এগুলো বেশ কাজে দেয়৷ এই টিস্যুগুলো মেকআপ তোলার পাশাপাশি ত্বককে ভেতর থেকে কন্ডিশনিং করে তোলে৷

# পারলার থেকে বেঁধে আসা চুল খোলার জন্য অনেকেই তেল ব্যবহার করেন৷ এতে কিন্তু চুলে দেওয়া ম্যুজ, স্প্রের মতো উপকরণগুলো আরও ঘন হয়ে বসে যায় চুলে৷ এ জন্য চুল খুলতে প্রথমেই কন্ডিশনিং লাগিয়ে নিন৷ ১০ মিনিট রাখার পর চুলে শ্যাম্পু লাগিয়ে তা ভালো করে ধুয়ে নিন৷ শ্যাম্পু শেষে প্রয়োজন মনে করলে আবার চুলে কন্ডিশনিং করতে পারেন৷

# একটি  মেকআপ ওয়াইপ আপনার সব মেকআপ পরিষ্কার করার জন্য মোটেই যথেষ্ট নয়। আলাদা আলাদা মেকআপ ওয়াইপ নিয়ে মুখ, চোখ, ঠোট আলাদাভাবে পরিষ্কার করাই মেকআপ তোলার যথোপযুক্ত পদ্ধতি।

# অনেকেই মনে করেন চোখের মেকআপ পুরোপুরি পরিষ্কার না করলেও চলে। চোখের ত্বক অতি স্পর্শকাতর বিধায় চোখের মেকআপ ভালভাবে তুলে ফেলা উচতি।

# চোখ, মুখ, ঠোট এর মেকআপ তোলার জন্য আলাদা আলাদা রিমুভার রয়েছে। তাই একই রিমুভার দিয়ে সব মেকআপ না তুলে সঠিকভাবে আলাদা আলাদা মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করুন।

# মেকআপ তোলার জন্য কখনোই গরম পানি ব্যবহার করবেন না। গরম পানির ব্যবহার আপনার ত্বককে শুষ্ক করে ফেলবে বা ত্বকের চামড়া ক্রমান্বয়ে কুচকে ফেলবে।

# যার যার ত্বকের ধরণ অনুযায়ী পরিষ্কার করা জরুরি। আমরা সবাই জানি তৈলাক্ত ত্বকের আর শুষ্ক  ত্বকের ক্লিনজার কখনোই এক হতে পারেনা। তাই মেকআপ রিমুভার কেনার সময় আপনার ত্বকের ধরণটা মাথাই রেখেই রিমুভার কিনবেন।

# সাধারণত ৫.৫ মাত্রার পিএইচ লেভেলের ক্লিনজার বা মেকাপ রিমুভার ব্যবহার করা উচিত।  অনেকেই রিমুভার বা ক্লিনজার কেনার সময় বিষয়টি ভুলে যান। সঠিক মাত্রার পিএইচ লেভেলে না থাকার কারণে আপনার ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।

# আমাদের মুখের ত্বক অতিশয় স্পর্শকাতর। এজন্য কখনোই মুখের ত্বকের উপর টাওয়েল দিয়ে ঘষে ঘষে মুখ পরিষ্কার করবেন না। নরম টাওয়েল দিয়ে হালকাভাবে চেপে চেপে মুখের পানি শুকিয়ে নিবেন। আর মুখের জন্য সবসময় আলাদা নরম পরিষ্কার টাওয়েল ব্যবহার করবেন।

মেছতা চিরবিদায় করতে গোলমরিচ।

No comments



মেছতা চিরবিদায় করতে গোলমরিচ


গোলমরিচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে, যা চেহারার বয়সের ছাপ দূর করতে কার্যকর। এছাড়া এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস মেছতা দূর করে ত্বক রাখে দাগমুক্ত। শুধু তাই না, ত্বকের মরা কোষ ও দূষিত পদার্থ দূর করতেও প্রাকৃতিক এই উপাদানটি সাহায্য করে।


অন্যদিকে গোলমরিচের প্রদাহবিরোধী উপাদান ব্রণের জীবাণু ধ্বংস করে ত্বককে ব্রণমুক্ত রাখে। কীভাবে ত্বকে গোলমরিচের গুঁড়ো ব্যবহার করবেন লাইকবিডি পাঠকদের জন্য সে সম্বন্ধে কিছু পরামর্শ দেয়া হলো।


প্রথমে আধা চা চামচ গোলমরিচ নিন। এবার এগুলো শিলপাটায় বেটে ভালো করে গুঁড়ো করে রাখুন। একটি বাটিতে এক চা চামচ টকদই নিন। একটি কাঁটা চামচ দিয়ে টকদই ভালো করে ফেটিয়ে নিন।


এই টকদইয়ের মধ্যে গোলমরিচের গুঁড়ো ও আধা চা চামচ মধু দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে চাইলে এই প্যাকের মধ্যে কয়েক ফোঁটা আমন্ড অয়েল দিতে পারেন। মুখ পানি দিয়ে ভালো ক
রে ধুয়ে পরিষ্কার করে এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।


মুখে মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভিজিয়ে হালকাভাবে পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এবার কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে কিছুক্ষণ পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলবেন।


ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে মুখ ভালো করে মুছে ময়েশ্চারাইজার লাগান। ভালো ফল পেতে সপ্তাহে অন্তত দুদিন গোলমরিচের এই প্যাক লাগান।

দৌড়ানোর সময় শ্বাস নেওয়ার কৌশল।

No comments

দৌড়ানোর সময় শ্বাস নেওয়ার কৌশল

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অনেকেই সারা বছর শরীরচর্চা করেন। অনেকেই আবার ব্যায়ামের জন্য শীতকালকেই বেছে নেন। এ সময় খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে তারা বেরিয়ে পড়েন মর্নিং ওয়ার্কে। কেউ আবার ট্রাকস্যুট, স্নিকার পরে খানিকটা দৌড়েও নেন। 

তবে আচমকা অত্যধিক শরীরের প্রতি যত্নশীল হয়ে পড়াটা মুশকিল। এক ঝটকায় এতটা যত্ন শরীর মানিয়ে নাও নিতে পারে। এতে আপনি আরও অসুস্থ হতে পারেন। তাই শরীরচর্চার আগেই কিছু কৌশল জেনে রাখা জরুরি। এতে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পাশাপাশি বিপদের হাত থেকেও বাঁচবেন।

দৌড়নোর সময় শুধু বুকের ছাতিই নয়, আপনার পাকস্থলীও প্রসারিত হওয়া জরুরি। একইভাবে শ্বাস ত্যাগের সময় মধ্যচ্ছদা পর্দা যাতে ঠিকঠাক সংকোচন হয় তাও খেয়াল রাখবেন।
মাথা উপরের দিকে রাখুন এবং কাঁধ পিছনের দিকে। এই সময় সঠিক অঙ্গভঙ্গী দেহে প্রয়োজনীয় মাত্রার অক্সিজেন পৌঁছে দিতে সাহায্য করে।

দৌড়ানোর সময় শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় নাক এবং মুখ একইসঙ্গে ব্যবহার করুন। নাক দিয়ে শ্বাস গ্রহণ করে মুখ দিয়ে শ্বাস ত্যাগ করুন। এতে ফুসফুসের উপরে চাপ কম পড়বে।

নারীরা কি কবর জিয়ারত করতে পারবে?

No comments

Monday, 2 December 2019


নারীরা কি কবর জিয়ারত করতে পারবে?


প্রশ্ন : নারীরা কি নবীদের কবর জিয়ারত করতে পারবে? জিয়ারতের উত্তম পদ্ধতি কী?

উত্তর : না, নারীদের কবর জিয়ারত হারাম, নিষিদ্ধ। এই মাসয়ালা নিয়ে আলেমদের মধ্যে দ্বিমত আছে। কিন্তু বিশুদ্ধ বক্তব্য হচ্ছে, রাসুল (সা.) সহিহ হাদিসের মধ্যে বলেছেন, ‘আল্লাহতায়ালার অভিশাপ যারা কবর জিয়ারত করে, যেসব নারী তাদের ওপর।’ অভিশপ্ত কাজ কেন আপনি করতে যাবেন?’

সুতরাং কোনোভাবেই নারীদের জন্য উচিত নয় যে তারা কবর জিয়ারতের জন্য বেরিয়ে যাবে অথবা কবর জিয়ারত করবে। তারা কবর জিয়ারত না করে যে কাজটি করতে পারে সেটা হচ্ছে, কবরস্থ ব্যক্তির জন্য, আত্মীয়র জন্য তারা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করবে, ঘরে বসে দোয়া করা এবং কবরস্থানে গিয়ে দোয়া করা দুইটাই সমান কাজ। তাই তারা কবর জিয়ারতের জন্য কবরস্থানে যাবে না।

একইভাবে রাসুল (সা.)-এর কবরও তারা জিয়ারত করতে যাবে না। কারণ হচ্ছে, রাসুল (সা.)-এর কবরে জিয়ারত করতে গেলে তারা সেখানে হয়তো অস্থির হয়ে যেতে পারে এবং কোনো কারণে হয়তো তাদের স্বাভাবিক অবস্থ না-ও থাকতে পারে।

ফলে সীমালঙ্ঘনও করে ফেলতে পারে, এলোমেলো বক্তব্যও দিতে পারে। এজন্য তাদের নিষেধ করা হয়েছে। ফলে আল্লাহর নবী (সা.)-এর নারী সাহাবিয়াত, তাঁদের কাছে থেকে এটা প্রমাণিত হয় নাই যে রাসুল (সা.)-এর কবরে এসে বারবার জিয়ারত করেছেন। এটির প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

সূত্রঃ আপনার জিঙ্গাসা, এনটিভি অনলাইন

সমকামিতা নিয়ে ইসলাম যা বলে।

No comments


সমকামিতা নিয়ে ইসলাম যা বলে।



একটা পুরুষের সাথে পুরুষের বা একটি মেয়ের সাথে মেয়ের মানসিক ও শারীরিক আকর্ষণবোধকেই সাধারণ অর্থে সমকামীতা হিসেবে ধরা হয়।অনেকেই সমকামিতা নিয়ে বেজায় বিব্রত থাকেন। নাম শুনলেই আঁতকে উঠেন।

কাঠমোল্লারা তো গালি দিয়ে খালাস- সমকামিরা হচ্ছে খচ্চর স্বভাবের, কুৎসিৎ রুচিপূর্ন, মানসিক বিকারগ্রস্ত। এমনকি প্রগতিশীলদের মধ্যেও রয়েছে নানা রকম ওজর আপত্তি। যারা শিক্ষিত, ‘আধুনিক’ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছেন, গে লেজবিয়ন ইত্যকার তথাকথিত ‘পশ্চিমা’ শব্দের সাথে কমবেশি পরিচিত হয়েছেন, তারাও খুব কমই ব্যাপারটিকে মন থেকে ‘স্বাভাবিক’ বলে মেনে নিতে পারেন। তাদের অনেকেই এখনো ব্যাপারটিকে ‘প্রকৃতি বিরুদ্ধ’ মনে করেন, আর নয়ত ভাবেন – পুরো ব্যাপারটি উৎকট ধরনের ব্যাতিক্রমধর্মী কিছু, এ নিয়ে ‘ভদ্র সমাজে’ যত কম আলোচনা করা যায় ততই মঙ্গল।

তবে কোন পুরুষ বা নারী সমকামী হয়, তা নিয়ে বাংলাদেশে বিতর্ক রয়েছে। নারী ও পুরুষের মধ্যে প্রচলিত যে সম্পর্ক তার বাইরে এই ধরনের আকাঙ্ক্ষা কি একটি মানুষের বয়ঃসন্ধিকাল থেকে শুরু হয়, না তারা জন্মগত ভাবে এই বৈশিষ্ট্য নিয়েই জন্মায়?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের শিক্ষক শাহনুর হোসেন বলেন, একটা বয়সের পর যখন তারা দেখে তাদের অন্য বন্ধুরা মেয়েদের ব্যাপারে আগ্রহ বোধ করছে, তখন তাদের ক্ষেত্রে হয় উল্টোটা। তারা ছেলেদের ব্যাপারে আগ্রহ বোধ করে। “এটা জন্মগত, না হরমোনাল, না মানসিক সেটা বলা কঠিন”

মানুষ সামাজিব জীব। সমাজ বদ্ধ হয়ে পরিবারসহ বসবাস করে মানুষ। পরিবার মানুষের সমাজবব্ধ জীবন যাপনের একটি সুস্থ প্রক্রিয়া। সাভাবিক নিয়মে মানুষ বিয়ে করে, সন্তান-সন্তুতি গ্রহণ করে এবং সাভাবিক নিয়মে ইনতিকাল করে পৃথিবী নামক জগত থেকে বিদায় নেয়। মানুষের এই জাগতিক জীবনে পরিবার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। পরিবারহীন মানব জীবন একটি অর্ন্তসারশূন্য জীবন। আর এই পারিবারিক জীবনের সুস্থ ভিত্তি হলো বিবাহ বা ম্যারেজ। পরকালীন ও ইহকালীর শান্তি ও কামিয়াবি অর্জনের জন্যই মানুষ নিজেদেরকে বৈধ ও অবৈধতার সীমারেখায় আবদ্ধ রাখে।
আর এ গুণটিই মানুষকে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা দিয়েছে। দিয়েছে আশরাফুল মাখলুকাত উপাধি। কিন্তু একজন মানুষও যখন লাগামহীন হয়ে যায়, তার শ্রেষ্ঠত্ব কি আর থাকে তখন?

মানবজাতির পরিবার গঠনের সাভাবিক নিয়ম হলো- একজন নারীকে বৈধভাবে বিবাহ করবে এবং পুরুষ এবং এই নারী ও পুরুষের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার ফলাফল স্বরূপ বংশ বিস্তার ঘটবে। একজন নারী গর্ভধারীনী হবে এবং বাবা মা-সন্তানের পরিপালনের দায়িত্বভার কাধে তুলে নিবেন- এই তো একটি সুন্দর মানবজীবন। একটি সুন্দর পরিবার। একটি আদর্শ সংসার। এই সংসারটি একদিক থেকে যেমন সামাজিক পরিবেশবান্ধব, অপরদিক থেকে মানুষের যৌন চাহিদা পুরণের উত্তম ব্যবস্থাপনা। এটাই সুস্থ বিবেকের দাবি।

বর্তমান সময় সমকামিতার নামে বিশ্বব্যাপি কুপ্রথা চালু হয়েছে। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো- বন্য জন্তু-জানোয়ারও তাদের যৌন চাহিদা মিটানোর জন্য স্বাভাবিক নিয়মে বিপরীত লিঙ্গের দ্বারস্থ হয়। কুকুর-বিড়ালও সমলিঙ্গের কারো সঙ্গে যৌন চাহিদা পূরণে সামান্যতম আগ্রহী নয়। সেখানে আশরাফুল মাখলুকাত সমকামিতার অপরাধের মতো ঘৃণ্য কাজটিকেই ‘আধুনিকতা’ এবং ‘অধিকারের’ কথা বলে অব্যাহতভাবে পাপাচারকে প্রসারিত করছে! এই ধরনের মানুষকে উদ্দেশ্য করেই পবিত্র কুরআনে আল্লাহ মহান ইরশাদ করেছেন, তারা চতুষ্পদ জন্তু-জানোয়ারের মতো, বরং তার চেয়েও নিকৃষ্ট (সুরা আরাফ- ১৭৯)।

ইতিহাস সাক্ষী- অভিষপ্ত গোষ্ঠি কওমে লুত সমকামের অপরাধে ধ্বংস হয়েছিল। হজরত লুত তাদেরকে বার বার হালাল পন্থায় নারীদের সঙ্গে যৌন চাহিদা পূরণ করার অনুরোধ করেছেন। কিন্তু কওমবাসী তার কথা শুনেনি। ফলাফল কী হয়েছিলো? আল্লাহ মহান হজরত জিবরাইলকে (আ.) পাঠিয়ে কওম লুতকে আজাব দিলেন। ধ্বংস করে দিলেন একটি জনপদকে। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে, অতপর যখন আমার হুকুম এসে পৌঁছল, এরপর যখন আমার সিদ্ধান্ত কার্যকর হলো, তখন আমি জনপদের উপরিভাগ নিচে এবং নিম্নভাগ উপরে উঠালাম এবং তার উপর স্তরে স্তরে কাঁকর-পাথর বর্ষণ করলাম। (সুরা হুদ: ৮২)।

কওমে লুতের বস্তির ধ্বংসপ্রাপ্ত রূপই আজকের ‘ডেডসি’ বা মৃত সাগর। এইটাই মর্মান্তিক আজাব দিয়েছিলেন আল্লাহ মহান- আজো সে জনপদে কোনো প্রাণির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না।
ইসলামে সমকাম ব্যভিচারের চেয়েও জঘন্য পাপ। মহাঅপরাধ। জঘন্য পাপ। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যাদেরকে তোমরা লুতের সম্প্রদায়ের কাজে (সমকামে) লিপ্ত দেখবে তাদের উভয়কেই হত্যা করো। (তিরমিজি: ৪/৫৭; আবু দাউদ: ৪/২৬৯; ইবনে মাজা: ২/৮৫৬)।

হজরত আবু মুসা আশআরী (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল (সা.) বলেছেন, যে পুরুষ পুরুষের সাথে নোংরা কাজে লিপ্ত হয়, উভয়ে ব্যভিচারকারী হিসেবে সাব্যস্ত হবে। তেমনি যে নারী আরেক নারীর সঙ্গে কুকর্মে লিপ্ত হয় উভয়ে ব্যভিচারকারী হিসেবে সাব্যস্ত হবে। (শুয়াবুল ঈমান)
ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা যদি কাউকে পাও যে লুতের সম্প্রদায় যা করত তা করছে, তবে হত্যা করো। যে করছে তাঁকে আর যাকে করা হচ্ছে তাকেও। (আবু দাউদ ৩৮:৪৪৪৭)

হজরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, আমি আমার উম্মতের জন্য সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটা আশঙ্কা করি সেটা হলো লুতের উম্মত যা করত সেটার অনুসরণ করা। (তিরমিজি)
এছাড়া আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- সমাকামিতা ও অবাধ যৌনতাই এইডসের মতো প্রাণঘাতি রোগ বিস্তারের মূল কারণ। তাবরানী ও বায়হাকি শরিফের হাদিসে এসেছে, চার ব্যক্তি সকাল-সন্ধা আল্লাহর গজব ও আক্রোশে পতিত হয়।

মহিলার বেশধারী পুরুষ, পুরুষ বেশধারী মহিলা, পশু মৈথুনকারী এবং সমকামী।
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যখন কোনো জাতির মধ্যে অশ্লীলতা এমনভাবে ছড়িয়ে পড়ে যে, তারা প্রকাশ্যে অশ্লীলতায় লিপ্ত হতে থাকে- তখন তাদের মধ্যে এমন রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ে যা তাদের পুর্বপুরুষদের মধ্যে ছিল না। (ইবনে মাজা: ২/১৩৩২)।
ইসলাম সমকামিতার ব্যাপারে এত কঠোর কেন? ‘এইডস’ নামক মরণব্যাধির বিস্তার ও ভয়াবহতার দিকে দৃষ্টিপাত করলেই এর উত্তর খুঁজে পাওয়া সহজ হয়ে যায় । এইডস মানবদেহের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ধ্বংস করে দেয়। এর ওষুধ আবিষ্কারের কথা একাধিকবার শুনা গেলেও বাস্তবতা ভিন্ন। সুতরাং এইডস মানেই নির্ঘাত মৃত্যু। এই রোগটি ১৯৮১ সালে সমকামীদের মধ্যে প্রথম ধরা পরে। (উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সংকলন, পুষ্ঠা- ৯৮)।

সুতরাং একটু ভেবে দেখুন প্লিজ- যারা সমকামিতাকে বৈধতা দিতে চায়, প্রকারান্তরে তারা কি এইডসের মতো মহামারির উত্থানে সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করছেন না?

মাদ্রাসায় না পড়ে কি কাউকে ইসলামী শিক্ষা দেওয়া যাবে?

No comments


মাদ্রাসায় না পড়ে কি কাউকে ইসলামী শিক্ষা দেওয়া যাবে?




নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’

জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।

বিশেষ আপনার জিজ্ঞাসার ৫০০তম পর্বে মাদ্রাসায় পড়াশোনা না করে শুধু হাদিস পড়ে মানুষকে ধর্মের জ্ঞান দেওয়া যাবে কি না, সে সম্পর্কে টেলিফোনে রাজশাহী থেকে জানতে চেয়েছেন লায়লা। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।


প্রশ্ন : আমি বুখারি শরিফ পড়ার চেষ্টা করি। সহিহ হাদিসগুলো জানার চেষ্টা করি। কেউ প্রশ্ন করলে বা ভুল করলে আমি যে সহিহ হাদিসগুলো জানি, তার আলোকে তাদের বলার চেষ্টা করি, এটা এভাবে করেন, ওভাবে বোধ হয় ঠিক না, হাদিসে এ রকম আছে। আমার তো আসলে এ রকম পড়াশোনা নেই যে আমি আলেম ডিগ্রি নিয়েছি বা মাদ্রাসায় পড়েছি। আমি নিজে পড়াশোনা করেই জানার চেষ্টা করি। আমাকে কেউ কখনো যদি প্রশ্ন করে, সে বিষয়ে উত্তর দেওয়া কি আমার জন্য সঠিক হবে?


উত্তর : কোনো বিষয় সম্পর্কে যখন আপনার জানা আছে, আপনি হাদিসের আলোকে জানতে পেরেছেন, তখন আপনার জন্য জায়েজ রয়েছে ওই সুনির্দিষ্ট বিষয়ে। যেহেতু আপনার জানা আছে, সেহেতু ওই সুনির্দিষ্ট বিষয়ে আপনি কাউকে দিকনির্দেশনা দিতে পারেন।


সে ক্ষেত্রে আপনি তো নিজের কথা বলছেন না, সহিহ হাদিস থেকে উদ্ধৃতি দিচ্ছেন। সুতরাং এটা আপনার জন্য জায়েজ আছে, নাজায়েজ নয়। এর জন্য শর্ত নয় যে সমস্ত বিষয়ে জ্ঞানী হতে হবে।


যে বিষয়ে আপনি জানলেন, সে বিষয়ে আপনি জ্ঞান দিতে পারেন। একটি আয়াত বা হাদিস জানলে সেটাও অন্যের কাছে পৌঁছানোর বিষয়টি হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত হয়েছে। মোটকথা, যেহেতু আপনি জানেন, আপনি বলতে পারেন। এতে কোনো অসুবিধা নেই।
সূত্রঃ এনটিভি

পবিত্র কোরআন নাজিলের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও পরিচিতি

No comments

পবিত্র কোরআন নাজিলের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও পরিচিতি

মানুষের ইহলৌকিক কল্যাণ ও পারলৌকিক মুক্তির দিগদর্শণ মুসলিম উম্মাহর জন্য শ্রেষ্ঠতম নিয়ামত আল্লাহর বাণী পবিত্র ‘আল-কোরআন’।

এটি বিশ্বমানবতার মুক্তিদূত মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা:) এর প্রতি আল্লাহর কাছ থেকে জিবরাইল ফেরেশতা মারফত সুদীর্ঘ ২৩ বছরে অবতীর্ণ হয়।
কোরআন মানবজাতির সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ ও মুক্তির দিশারি বা পথপ্রদর্শক। পবিত্র কোরআনকে সর্বকালের, সর্বদেশের, সর্বলোকের জীবনবিধান ও মুক্তির সনদ হিসেবে আল্লাহ তাআলা ওহীর মাধ্যমে নাজিল করেছেন।
পবিত্র কোরআন নাজিলের ছয় মাস আগে থেকেই আল্লাহ তাআলা উনার পেয়ারে হাবিব হযরত মুহম্মদ (সা:) কে স্বপ্নের মাধ্যমে এ মহান কাজের জন্য প্রস্তুত করে নিচ্ছিলেন।
হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (আ:) হতে বর্ণিত আছে, প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সা:) এর উপর ওহী নাজিলের সূচনা হয়েছিল স্বপ্নের মাধ্যমে। তিনি স্বপ্নে যা দেখতেন তা দিনের আলোর মতো তাঁর জীবনে প্রতিভাত হতো।
হযরত জিবরাইল (আ:) এর মাধ্যমে ওহী প্রাপ্তির আগে আস্তে আস্তে তিনি নির্জনতা প্রিয় হয়ে ওঠেন, হেরা গুহায় নিভৃতে আল্লাহ তাআলার ধ্যানে তিনি মশগুল হয়ে পড়েন এবং বিশাল সৃষ্টি ও তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে গভীর চিন্তা ভাবনা করতে থাকেন।
খাবার পানি শেষ হয়ে গেলে সেসব নেয়ার জন্যেই তিনি শুধু বাড়ি যেতেন। মাঝে মাঝে উনার অতি প্রিয় সহধর্মিণী হযরত বিবি খাদিজা (আ:) উনাকে হেরা গুহায় খাবার দিয়ে আসতেন।
একদিন জিবরাইল (আ:) হযরত মুহম্মদ (সা:) এর কাছে এসে গভীর কণ্ঠে তাঁকে বলেন ‘ইকরা‘ পড়ুন। প্রিয় নবী (সা:) বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলেন। উদ্বেলিত কণ্ঠে তাকে বললেন ‘আমি তো পড়তে জানি না’।
জিবরাইল (আ:) তখন হুজুরে পাক হযরত মুহম্মদ (সা;) কে বুকে চেপে ধরে আবার বলেন, পড়ুন। তৃতীয় বার যখন জিবরাইল (আ:) তাঁকে বুকে আলিংগন করে ছেড়ে দিয়ে বলেন, পড়ুন!
তখন হুজুরে পাক (সা:) ওহীর প্রথম পাঁচটি আয়াত [পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্তপিন্ড থেকে। পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু, যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন, শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না। -সূরা আলাক্ব: প্রথম পাঁচ (১ - ৫) আয়াত।] পড়লেন। তারপর সাথ সাথে হযরত জীবরাঈল (আ:) সেখান থেকে চলে গেলেন। এই হল পবিত্র কোরআন নাজিলের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।
এখন আমরা জানবো পবিত্র কোরআনের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি-
* ৬১০ খ্রিস্টাব্দ ও রমজান মাসের কদরের রজনীতে হেরা পর্বতের গুহায় সর্বপ্রথম কোরআন অবতীর্ণ হয়।
* অবতীর্ণের মোট সময়কাল ২২ বছর পাঁচ মাস ১৪ দিন।
* প্রথম নাজিলকৃত পূর্ণ সুরা হলো সুরা ফাতিহা।
* সর্বপ্রথম নাজিলকৃত কোরআনের আয়াত হলো সুরা আলাকের প্রথম পাঁচ আয়াত।
* কোরআনের প্রথম শব্দ হলো ‘ইকরা’—তুমি পড়ো।
* কোরআনের সর্বশেষ নাজিলকৃত সুরা হলো সুরা আন-নসর এবং সর্বশেষ নাজিলকৃত আয়াত হলো সুরা বাকারার ২৮১ নম্বর আয়াত।
* কোরআন নাজিল শেষ হয় হিজরি ১১ সালের সফর মাসে।
* কোরআনের সর্ববৃহৎ সুরা হলো সুরা বাকারা। এর আয়াত সংখ্যা ২৮৬।
* কোরআনের সবচেয়ে ছোট সুরা হলো সুরা কাওসার। এর আয়াত সংখ্যা ৩।
* পবিত্র কোরআনের মোট সুরা ১১৪টি। এর মধ্যে মাক্কি সুরা (হিজরতের আগে বর্ণিত) ৯২টি, মাদানি সুরা (হিজরতের পরে বর্ণিত) ২২টি।
* কোরআনে মোট ৫৪০টি রুকু আছে।
* প্রসিদ্ধ অভিমত অনুযায়ী কোরআনের মোট আয়াত ছয় হাজার ৬৬৬টি। কিন্তু গবেষকদের দৃষ্টিতে মোট ছয় হাজার ২৩৬টি।
* কোরআনের আয়াতের ধরন—আদেশসূচক আয়াত এক হাজার, নিষেধসূচক এক হাজার, সুসংবাদসূচক এক হাজার, ভীতি প্রদর্শনসূচক এক হাজার, কাহিনীমূলক এক হাজার, দৃষ্টান্তমূলক এক হাজার, হালালসংক্রান্ত ২৫০, হারামসংক্রান্ত ২৫০, দোয়া, জিকির ও তাসবিহসংক্রান্ত ১০০টি।
* কোরআনের মোট শব্দ ৮৬ হাজার ৪৩০টি।
* কোরআনের মোট অক্ষর তিন লাখ ৪৭ হাজার ৮৩৩টি, মতান্তরে তিন লাখ ৪৯ হাজার ৩৭০টি, মতান্তরে তিন লাখ ৫১ হাজার ২৫২টি।
* কোরআনের মোট মনজিল সাতটি এবং পারা ৩০টি।
* কোরআনের মোট হরকত—জের ৩৯ হাজার ৫৮২, জবর ৫২ হাজার ২৩৪, পেশ হলো আট হাজার ৮০৪, জজম এক হাজার ৭৭১, নুকতা এক লাখ পাঁচ হাজার ৬৮১, তাশদিদ এক হাজার ৪৫৩, ওয়াকফ্ ১০ হাজার ৫৬৪, মাদ এক হাজার ১৭১ ও আলিফ মামদুদাহ ২৪০টি।
* কোরআনে হরফের সংখ্যা—আলিফ ৪৮ হাজার ৪৭৬ বা ১১ হাজার ৪৪২, তা ১০ হাজার ১৯৯, ছা এক হাজার ২৭৬, জিম তিন হাজার ২৭৩, হা তিন হাজার ৯৭৩, খা দুই হাজার ৪৪৬, দাল পাঁচ হাজার ৬৪২, জাল চার হাজার ৬৭৭, রা ১১ হাজার ৭৯৩, জা এক হাজার ৫৯৩, সিন এক হাজার ৮৯১, শিন দুই হাজার ২৫৩, ছোয়াদ দুই হাজার ১৩, দোয়াদ এক হাজার ৬০৭, তোয়া এক হাজার ২৭৭, জোয়া ৮৪২, আইন ৯ হাজার ২২০, গাইন দুই হাজার ১০৮, ফা আট হাজার ৪৯৯, ক্বাফ ছয় হাজার ৮১৩, কাফ ৯ হাজার ৫০২, লাম ৩৩ হাজার ৪৩২, মিম ২৬ হাজার ৫৬০, নুন ৪৫ হাজার ১৯০, ওয়াও ২৫ হাজার ৫৩৬, হা ১৯ হাজার ৭০, লাম আলিফ চার হাজার ৭২০, ইয়া ৪৫ হাজার ৯১৯টি।
* সর্বপ্রথম কোরআনে নুকতা ও হরকত প্রবর্তন করেন আবুল আসওয়াদ দুয়াইলি, মতান্তরে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ।
* হানাফি মাজহাব মতে, কোরআনে তিলাওয়াতে সিজদা ১৪টি এবং সাকতার সংখ্যা চারটি।
* কোরআনে নবী ও রাসুলের নাম এসেছে ২৫ জনের। ফেরেশতার নাম এসেছে চারজনের। শয়তান শব্দটি এসেছে ৮৫ বার, ইবলিস এসেছে ১১ বার। জিনজাতির প্রসঙ্গ এসেছে ৩২ বার।
* নবীদের মধ্যে পবিত্র কোরআনে সবচেয়ে বেশি এসেছে মুসা (আ.)-এর নাম। তার নাম এসেছে ১৩৫ বার।
* কোরআনে ছয়জন কাফিরের নাম আছে।
* কোরআনে বিসমিল্লাহ নেই সুরা তওবায়।
* কোরআনে বিসমিল্লাহ দুইবার এসেছে সুরা নামলে।
* কোরআনে বর্ণিত একজন সাহাবি হজরত জায়েদ (রা.)।
* কোরআনে বর্ণিত একজন নারী মারইয়াম বিনতে ইমরান।
* কোরআনের প্রথম ওহি লেখক জায়েদ বিন সাবেত (রা.)।
* কোরআনের মুখপাত্র হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস।
* কোরআনকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেন হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) ৬৩৩ খ্রিস্টাব্দে।
* কোরআনের প্রথম সংকলক হজরত ওসমান (রা.)।
* কোরআনের প্রথম ও প্রধান তাফসিরবিদ আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)।

Don't Miss
© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
made with by SaHaLoM Pro