Showing posts with label কম্পিউটার টিপস. Show all posts
Showing posts with label কম্পিউটার টিপস. Show all posts

টেরাবাইট সাইজের SSD এখন বাজারে, কিন্তু দাম শুনলে নিজেকে সামালাতে পারবেন না!

No comments

Monday, 13 July 2020


যেখানে সবকিছু এখন অনলাইন আর ক্লাউড নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে, এই বাজারে হঠাৎ করেই ১০০ টেরাবাইট সাইজের সিঙ্গেল SSD ড্রাইভের দেখা পাওয়া খানিকটা অনাকাঙ্খিত ছিল। সিরিয়াসলি? ১০০ টেরাবাইট? এটা মারাত্মক পরিমাণে বড় স্টোরেজ সলিউশন!

আমি জানিনা পার্সোনাল কম্পিউটার এ কার এতো স্পেস প্রয়োজনীয় হতে পারে, যেখানে আমি ফটো স্টোরেজের জন্য গুগল ফটোস, ফাইলের জন্য গুগল ক্লাউড স্টোরেজ, মিউজিকের জন্য ডিজার (অফলাইন মিউজিকের যুগ আর নেই), মুভি/টিভি সিরিজের জন্য নেটফ্লিক্স ব্যাবহার করি। 


তো আমার জন্য ১০০ জিবি এর মতো ছোট লোকাল স্টোরেজ ই যথেষ্ট! যাইহোক, অনেকের ফাইল সাইজ হয়তো পাগলের মত বড় আকারের, তাদের উপরে টার্গেট করেই হয়তো এমন দৈত্যাকার ১০০ টেরাবাইট সাইজের SSD এর জন্ম!

নিম্বাস ডাটা নামক এক কোম্পানি বাজারে উন্মুক্ত করেছে এই ১০০ টেরাবাইট সাইজের SSD, যেটার রিটেইলার প্রাইস হচ্ছে ৪০,০০০ ইউএস ডলার বা প্রতি ৪০০ ডলার প্রতি টেরাবাইট। বাংলাদেশী টাকায় যেটা প্রায় ৩৪ লাখ টাকা! এখন বলুন, টাইটেল অনুসারে চোখের পানি ধরে রাখতে পারলেন কিনা?


তো এক কথায়, আপনার ইন্টারপ্রাইজ সলিউশন দরকার? কম জায়গার মধ্যে নিজস্ব ডাটা সেন্টার বানাতে চান? আপনার টাকার গাছ রয়েছে? হ্যাঁ, আপনি কিনতে পারেন এই ১০০ টেরাবাইট সাইজের মনস্টার ড্রাইভ। ৩.৫ ইঞ্চি সাইজের এই SATA ড্রাইভটি বর্তমানে দুনিয়ার সবচাইতে হাই ক্যাপাসিটি ড্রাইভ।


ড্রাইভটির ক্যাপাসিটি অনেক বেশি হলেও এর স্পীড আমাকে মোটেও বিস্মিত করতে পারে নি, এটা ফাস্ট বাট তেমন ফাস্টও না, এর থেকে বেশী ফাস্ট ড্রাইভ অলরেডি বাজারে রয়েছে। যাইহোক, আমি এখনো নিশ্চিত না কার এই ড্রাইভের দরকার লাগতে পারে, কিন্তু হেই, যদি দরকার লাগে তো জানলেন আপনার জন্য এমন সলিউশন রয়েছে!





ল্যাপটপ কেনার আগে যে ১২টি বিষয় জানা জরুরি / 12 things to know before buying a laptop

1 comment

Monday, 18 November 2019



ল্যাপটপ কেনার আগে যে ১২টি বিষয় জানা জরুরি






কসময় ল্যাপটপ বিলাসিতার পণ্য হলেও বর্তমানে ল্যাপটপ দৈন্দদিন ব্যবহার্য জিনিসে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন মানের ও কনফিগারেশনের ল্যাপটপ রয়েছে। বহন করার সুবিধা, নানা ধরনের ফিচার, উন্নত প্রযুক্তি ইত্যাদি কারণে ল্যাপটপ এখন অনেক জনপ্রিয়।

বর্তমানে অনেকেই ডেস্কটপ পিসির চাইতে ল্যাপটপের দিকেই বেশি ঝুঁকছে। এর পিছনে বেশ কিছু কারণও রয়েছে। তবে ল্যাপটপ কিনতে গিয়ে অনেকেই অনেক বিড়ম্বনার স্বীকার হোন বা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হন।

তাই আজকে ল্যাপটপ কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে সে বিষয়ে একটা গাইড লাইন দেয়ার চেষ্টা করাবো। ল্যাপটপ কেনার আগে যে সমস্ত বিষয় মাথায় রাখতে হবে নিম্নে তা বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।




ল্যাপটপ কেনার আগে যা জানা জরুরি





১. ব্রান্ড

বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ব্রান্ডের ল্যাপটপ রয়েছে। যেমন আসুস, ডেল, এইচপি, এসার, লেনোভো ইত্যাদি। আপনি যদি ভালো ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে কিনতে পারেন আসুস অথবা ডেল। ল্যাপটপ জগতে এই ব্র্যান্ড দুটি অত্যন্ত ভালো।

আপনি চাইলে এইচপিও নিতে পারেন, তবে এইচপির পারফর্মেন্স এখন আগের মতো নেই, তবুও ভালোই। এছাড়া মোটামোটি মানের ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ নিতে চাইলে নিতে পারেন লেনেভো কিংবা এসার।

এই দুটো ব্র্যান্ডের পারফর্মেন্স খুবই ভালো। এই ল্যাপটপগুলোর প্রাইস নির্ভর করবে আপনার কনফিগারেশনের উপর।





২. সাইজ

আপনি কি ধরনের ব্যবহারের জন্য ল্যাপটপটি কিনছেন সেটার উপর ভিত্তি করে আপনার ল্যাপটপের সাইজ ঠিক করতে হবে। আপনি যদি এজন্যই ল্যাপটপ কিনেতে চান যে আপনি তা সহজে বহন করতে পারবেন, তাহলে আপনার জন্য নোটবুক কেনাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

নোটবুক কেনার সময় আপনাকে কিছু বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখা উচিত। নোটবুকটির ওজন, এটি কতটা হালকা বা সরু ইত্যাদি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। আবার নোটবুকের মধ্যে অনেক নোটবুক রয়েছে যেগুলো আল্ট্রাবুক নামে পরিচিত। এগুলো বহনের জন্য সর্বাপেক্ষা উত্তম।

ল্যাপটপের স্ক্রিনের সাইজের উপর ল্যাপটপটির ওজন নির্ভর করে। ১১ থেকে ১২ ইঞ্চি ল্যাপটপ হলো সবচেয়ে হালকা বা সরু। এর ওজন ১.১-১.৫ কেজি। ১৩ থেকে ১৪ ইঞ্চি ল্যাপটপ বহনযোগ্যতা এবং ব্যবহারযোগ্যতার জন্য আদর্শ চয়েজ। এর ওজন ১.৮ কেজির নিচে হয়ে থাকে।

আপনি যদি ল্যাপটপ মূলত বাড়িতে ব্যবহার করতে চান বা মাঝে মাঝে বাইরে নিয়ে যাতে চান তাহলে আপনার জন্য ১৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে বিশিষ্ট ল্যাপটপ ভালো হবে।

এই ধরনের স্ক্রীন সাইজের ল্যাপটপগুলোর ওজন সাধারনত ২.৫ কেজি থেকে ৩ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। আপনি যদি আরো বড় ডিসপ্লে বিশিষ্ট ল্যাপটপ চান তাহলে ১৭ থেকে ১৮ ইঞ্চির ল্যাপটপ নিতে পারেন।


৩. ডিসপ্লে কোয়ালিটি


ল্যাপটপ কেনার আগে ডিসপ্লের কোয়ালিটি দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। কারণ ল্যাপটপের ডিসপ্লের দিকে তাকিয়েই আপনাকে কাজ করতে হবে। ল্যাপটপ কেনার সময় ল্যাপটপের রেজুলেশন কত তা দেখেও ল্যাপটপ কেনা উচিত।

আমি আপনাকে ১০৮০পি অর্থাৎ ফুল এইচডি ডিসপ্লে নিতে রিকমেন্ড করবো। এই রেজুলেশনের ডিসপ্লে সকল কাজের জন্যই আদর্শ। আপনি যদি কোন কারণে ফুল এইচডি স্ক্রিন নিতে না পারেন তাহলে অব্যশই অন্তত এইচডি অর্থাৎ ৭২০পি স্ক্রিনের ল্যাপটপ নিবেন। বাজেট ল্যাপটপগুলোতে সাধারণত ৭২০পি ডিসপ্লে থাকে।






৪. সিপিইউ বা প্রসেসর

প্রসসর হলো কম্পিউটারের ব্রেইন। তাই ল্যাপটপ কেনার সময় কোন প্রসেসরটি নিবেন এদিকে খেয়াল রাখা দরকার। আপনার ল্যাপটপের পারফরম্যান্স এটার উপরই নির্ভর করবে।

বর্তমানে বাজারে দুই ধরণের প্রসেসর পাওয়া যায়। ইন্টেল ও এএমডি। এএমডি ইউরোপ মার্কেট দখল করলেও এশিয়ার মার্কেট এখনো ইন্টেলের দখলেই রয়েছে।

এএমডি প্রসেসরগুলো ইন্টেল থেকে একটু বেশি গরম হয়ে থাকে বলে শোনা যায়। তবে এই কথাটা কতটা সত্য তা আমার জানা নেই। আপনি চাইলে এএমডি বা ইন্টেলের যেকোনো একটি প্রসেসর সিলেক্ট করতে পারেন। তবে আপনি যদি ইন্টেলের প্রসেসর নেন তাহলে কিছু সুবিধা বেশি পেতে পারেন।

বাজারে এখন ইন্টেলের কোর আই সিরিজের প্রসেসরগুলো শীর্ষে অবস্থান করছে। বর্তমানে বাজারে কোর আই ৭ ৯ম জেনারেশনের ল্যাপটপ পাওয়া যায়। আপনার বাজেট যদি উচ্চতর হয় তাহলে কোর আই ৭ বা কোর আই ৫ নিতে পারেন।

সাধারণ কোর আই ৭ বা কোর আই ৫ প্রেসেসর সম্বলিত ল্যাপটপগুলো উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে থাকে। আপনি এই ধরনের ল্যাপটপ দিয়ে সকল প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারবেন

বাজেট একটু কম হলে কোর আই ৩ প্রসেসরের ল্যাপটপও নিতে পারেন। তবে কখনো কোর আই ৩ প্রসেসরের নিচে কোনো প্রসেসর নেওয়ার চেষ্টা করবেন না। সম্প্রতি বাজারে কোর আই ৯ সম্বলিত ল্যাপটপ পাওয়া যাচ্ছে। তবে এর দাম আকাশ ছোঁয়া।


৫. জেনারেশন বা প্রজন্ম


জেনারেশন এর বাংলা অর্থ হলো প্রজন্ম। জেনারেশন দ্বারা সাধরণত ল্যাপটপটি কোন প্রজন্মের তা বুঝানো হয়।

ল্যাপটপ কেনার সময় ল্যাপটপটি কোন জেনারেশনের সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। কেননা জেনারেশনের উপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। সবসময় চেষ্টা করবেন লেটেস্ট জেনারেশনের ল্যাপটপটি নিতে।

বাজারে ৪র্থ জেনারেশন থেকে শুরু করে ৯ম জেনারেশনের ল্যাপটপ পাওয়া যায়। ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে ৭ম জেনারেশনের নিচের কোনো ল্যাপটপ নেয়া যাবে না। সবচেয়ে ভালো হবে ৮ম জেনারেশনের ল্যাপটপ নিলে।



৬. গ্রাফিক্স


ল্যাপটপে সাধারণত একটি বিল্ট-ইন গ্রাফিক্স কার্ড সংযুক্ত থাকে। তবে আপনি যদি গ্রাফিক্সের কাজ করেন বা ভিডিও এডিটিং এর কাজ করেন কিংবা হাই-এন্ড গেমস খেলতে চান তাহলে গ্রাফিক্স চিপের প্রয়োজন হবে।

বলে রাখা ভালো ল্যাপটপের কিছু পার্টস পরিবর্তন করা গেলেও গ্রাফিক্স কার্ড পরিবর্তন করা যাবে না। তাই ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স কার্ড/এক্সটর্নাল গ্রাফিক্স প্রয়োজন হলে তা কেনার সময়ই নিয়ে নিতে হবে। কারণ ল্যাপটপ ম্যানুফেকচারিং এর সময় গ্রাফিক্স সহ/ছাড়া ভিন্ন ভিন্ন ভাবে তৈরি হয়।

আপনি ডেস্কটপের মতো ল্যাপটপেও এনভিডিয়া এবং এএমডি সিরিজের গ্রাফিক্স কার্ড নিতে পারে। এনভিডিয়া গ্রাফিক্স কার্ড চাইলে জিটিএক্স বা আরটিএক্স সিরিজের কার্ডগুলো নিতে পারেন।

জিটিএক্স সিরিজের মধ্যে জিটিএক্স ১০৫০ থেকে শুরু করে জিটিএক্স ১০৮০ পর্যন্ত রয়েছে এবং আরটিএক্স সিরিজের মধ্যে আরটিএক্স ২০৫০ থেকে শুরু করে আরটিএক্স ২০৮০ পর্যন্ত রয়েছে। জিটিএক্সের তুলনায় আরটিএক্স সিরিজের ল্যাপটপগুলোর দাম অনেকটাই বেশি।




৭. র‌্যাম

ল্যাপটপ কেনার সময় র‌্যামের দিকেও লক্ষ্য রাখা উচিত। যদি আপনি ল্যাপটপে স্মুথ পারফরম্যান্স পেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ৪ জিবি অথবা তার থেকে বেশি র‌্যামের ল্যাপটপ কিনতে হবে।

আর যদি আপনি ল্যাপটপে গেমিং বা ভিডিও এডিটং এর মতো কাজগুলো করার চিন্তা করেন তাহলে আপনার ৮ জিবি বা ১৬ জিবি র‌্যামের প্রয়োজন পরবে। র‌্যামের ক্ষেত্রে ডিডিআর (Double Data Rate) এবং বাস স্পিড এর দিকে খেয়াল রাখতে হবে।



৮. হার্ডড্রাইভ


ল্যাপটপের হার্ডড্রাইভ বেশি দেখে কেনা উচিত যেন পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় ফাইল সংরক্ষণের জন্য স্পেসের অভাবে ভুগতে না হয়। চেষ্টা করবেন ২ টেরাবাইটের হার্ডড্রাইভ নিতে। যদি তা নিতে না পারেন তাহলে কমপক্ষে ১ টেরাবাইটের হার্ডড্রাইভ নিবেন।

প্রচলিত হার্ডডিস্ক সময়ের সাথে স্লো হয়ে যায়। আপনি যদি বাজেট একটু বৃদ্ধি করতে পারেন, তাহলে হার্ডডিস্কের বদলে এসএসডি স্টোরেজ নিতে পারেন।

২৫০জিবি এসএসডি স্টোরেজের দাম প্রায় ৫ থেকে ৮ হাজার টাকার মতো, যেখানে ১ টিবি হার্ডডিস্ক পড়বে সাড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকার মতো।

বাজারে ৫২০০ আরপিএম এবং ৭২০০ আরপিএম (Revolution per minute) স্পিডের হার্ডডিস্ক পাওয়া যায়। ল্যাপটপের ভালো স্পীডের জন্য ৭২০০ আরপিএম অপরিহার্য। তবে যারা নরমাল কাজের জন্য ল্যাপটপ নিতে চান তাদের ৫২০০ আরপিএমের হার্ডডিস্ক হলেও চলবে।

৯. ব্যাটারি


আপনি যদি বড় সাইজের কোন ল্যাপটপ শুধুমাত্র বাড়িতে ব্যবহারের জন্য কিনতে চান তাহলে আপনাকে ব্যাটারি নিয়ে এতো ভাবতে হবে না। কারণ বড় সাইজের ল্যাপটপগুলোতে ব্যাটারিও বড় থাকে।

কিন্তু আপনি যদি বাড়ির বাইরে ব্যবহারের জন্য কোন ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে চেষ্টা করবেন এমন ল্যাপটপ কিনতে যেটাই ৭ থেকে ৮ ঘন্টার মতো ব্যাকআপ পাওয়া যাবে। ল্যাপটপ কেনার সময় এর ব্যাটারিতে থাকা রেটিং দেখতে ভুলবেন না।

চেষ্টা করবেন ৪৪Wh থেকে ৫০Wh এর মধ্যে থাকা ব্যাটারি সম্বলিত ল্যাপটপগুলো নিতে। তাহলেই আপনি বেস্ট পারফরমেনস পাবেন। মনে রাখবেন ল্যাপটপের ব্যাটারি যত বড় হবে সেটা আপনার জন্য ততো ভালো।




১০. কিবোর্ড


ল্যাপটপ কেনার সময় কিবোর্ড ভালোভাবে কাজ করছে কিনা তা দেখে নিতে হবে। অনেক সময় ল্যাপটপে টাইপিং করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় যদি না কিবোর্ডর কী গুলোর মাঝে পর্যাপ্ত ফাঁকা জায়গা না থাকে।

আপনাকে এমন ল্যাপটপ সিলেক্ট করতে হবে যেটাতে কম্ফোর্টেবল কিবোর্ড রয়েছে যাতে আপনি সহজে টাইপিং করতে পারেন। আর ল্যাপটপের কিবোর্ডে ব্যাকলিট আছে কিনা সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। ব্যাকলিট থাকলে আপনার অন্ধকারে টাইপিং করতে তেমন অসুবিধা হবে না।



১১. পোর্ট


ল্যাপটপ কেনার সময় ল্যাপটপটিতে কি কি পোর্ট রয়েছে সেদিন খেয়াল রাখতে হবে। লক্ষ্য রখবেন ল্যাপটপে যেন একের অধিক ইউএসবি ৩ পোর্ট থাকে। এতে বাড়তি কিছু সুবিধা পাওয়া যাবে।

ইউএসবি ৩ ইউএসবি ২ এর তুলনায় ১০ গুণ বেশি তাড়াতাড়ি ডেটা ট্রান্সফার করতে সক্ষম। ফলে আপনার সময়ও অনেক কম লাগবে। আর ল্যাপটপে ইউএসবি ৩.১ পোর্ট থাকলে তো আরো ভালো। ল্যাপটপে অন্যান্য প্রয়োজনীয় পোর্ট আছে কিনা তাও ভালোভাবে চেক করে নিবেন।





১২. ওয়্যারলেস কানেকশন


ল্যাপটপ কেনার সময় ল্যাপটপটি কি ধরনের ওয়্যারলেস কানেকশন সাপোর্ট করে তা দেখে নিতে হবে। ল্যাপটপে ওয়াই ফাই অ্যাডাপ্টর আছে কিনা চেক করে নিবেন। ব্লুটুথের ক্ষেত্রে ব্লুটুথ ৩.o এখন পুরনো হয়ে গিয়েছে। তাই ব্লুটুথ ৪.o আছে কিনা তাও দেখে নিতে পারেন।
মতামত

বাজারে বর্তমানে ১৭ হাজার থেকে শুরু করে ৬ লাখ টাকার ল্যাপটপও রয়েছে। আপনার কেমন ল্যাপটপ চাই তা আপনার উপর নির্ভর করে। ল্যাপটপ কেনার সময় অবশ্যই উপরের উল্লেখিত বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন।

তাহলেই আপনি আপনার জন্য সঠিক ল্যাপটপটি কিনতে পারবেন। আপনার বাজেটে যে ল্যাপটপে সবচেয়ে ভালো ফিচার রয়েছে সেটি নেওয়ার চেষ্টা করবেন। এটাই হবে আপনার জন্য বেস্ট।

তথ্য সূত্রঃ- ইন্টারনেট

পিসির পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন ? যেকোনো উইন্ডোজ (৭, ৮.১, ১০) বা লিনাক্স পিসির পাসওয়ার্ড বাইপাস করে নিন

No comments

Wednesday, 13 February 2019





পিসির পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন ? যেকোনো উইন্ডোজ (৭, ৮.১, ১০) বা লিনাক্স পিসির পাসওয়ার্ড বাইপাস করে নিন









প্রথমেই বলে রাখছি, এটা কোন হ্যাকিং টিউটোরিয়াল নয়, আপনি কিভাবে ব্যবহার করবেন সেটার সম্পূর্ণ দায়িত্ব আপনার উপর। আমি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে শুধু তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি, যারা নিজের পিসির পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন আর নিজের পিসি থেকে নিজেই লক হয়ে রয়েছেন। তো আপনিই কি সেই, যিনি নিজের কম্পিউটারের পাসওয়ার্ড মনে রাখতে পারেন না? ঠিক আছে, নিজেকে অব্যস্তব কিছু ভাবার দরকার নেই, এমন কিছু আমাদের সকলের সাথেই ঘটে থাকে, কেনোনা জন্মগত ভাবেই, আমরা কোন কিছু ভুলে যাওয়াই ওস্তাদ! —চিন্তার কোন কারণ নেই—কেনোনা যেকোনো অপারেটিং সিস্টেমের পাসওয়ার্ড বাইপাস বা রিসেট করা সম্ভব। এক মিনিট! “যদি আমি আমার কম্পিউটারের পাসওয়ার্ড ভুলে গিয়ে বাইপাস বা রিসেট করে নিতে পারি, তাহলে তো যেকেউই আপনার কম্পিউটার পাসওয়ার্ড বাইপাস করে নেবে! তাহলে আমার নিরাপত্তা কোথায়?” —চিন্তার কোন কারণ নেই, আমি এই আর্টিকেলে দেখাবো কিভাবে যেকোনো উইন্ডোজ বা লিনাক্স পিসির পাসওয়ার্ড বাইপাস করা যায় এবং কিভাবে অন্যের হাত থেকে আপনার কম্পিউটারকে রক্ষা করবেন; তো চলুন ঝাঁপিয়ে পড়া যাক…

উইন্ডোজ পিসির পাসওয়ার্ড বাইপাস

বহু স্টাইলে বহুভাবে উইন্ডোজ কম্পিউটারের জন্য পাসওয়ার্ড বাইপাস বা রিসেট করা সম্ভব। উইন্ডোজ নিজে থেকেই পাসওয়ার্ড রিসেট করার ডিস্ক বা ইউএসবি তৈরি করতে দেয়, যদি আপনি পাসওয়ার্ড ভুলে যান, সেক্ষেত্রে ঐ ডিস্ক বা ইউএসবি ইনসার্ট করে সহজেই যতোখুশি ততোবার পাসওয়ার্ড রিসেট করে নিতে পারবেন। যদি কথা বলি, উইন্ডোজ ৮ থেকে উইন্ডোজ ১০ পর্যন্ত আর আপনি যদি আপনার কম্পিউটার’কে মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্ট দ্বারা লগইন করে রাখেন, তো জাস্ট মাইক্রোসফট ওয়েবসাইট থেকে মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্ট পাসওয়ার্ড রিসেট করে নিলেই আপনার কম্পিউটার পাসওয়ার্ড রিসেট হয়ে যাবে। এজন্যই উইন্ডোজ ১০ কম্পিউটারে লোকাল অ্যাকাউন্ট না ব্যবহার করে মাইক্রোসফট বা অনলাইন অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা বুদ্ধিমানে কাজ।
তো এগুলো ছিল উইন্ডোজ কম্পিউটারের পাসওয়ার্ড রিসেট করার অফিশিয়াল ম্যাথড। কিন্তু আপনি আন-অফিশিয়াল পদ্ধতি ব্যবহার করেও সহজেই যেকোনো উইন্ডোজের পাসওয়ার্ড বাইপাস করে নিতে পারবেন। অফলাইন এনটি পাসওয়ার্ড অ্যান্ড রেজিস্ট্রি এডিটর — টুলটি ব্যবহার করে যেকোনো উইন্ডোজ পাসওয়ার্ড নিমিষেই বাইপাস করে নিতে পারবেন। প্রথমে টুলটি ডাউনলোড করে একটি বুটেবল ডিস্ক বা ইউএসবি তৈরি করতে হবে, তারপরে আপনার কম্পিউটারে ডিস্ক বা ইউএসবি’টি বুট করাতে হবে। এই টুলটি আপনার কম্পিউটারের ইউজার অ্যাকাউন্ট পাসওয়ার্ড সম্পূর্ণ পরিষ্কার করে দিতে পারে। তারপরে আপনি নর্মাল ভাবে আপনার কম্পিউটারে বুট করবেন, অ্যাকাউন্ট লগইন করবেন, কিন্তু কোন পাসওয়ার্ড চাইবে না। এমনকি আপনি যদি উইন্ডোজ ৮ বা ১০ ব্যবহার করেন, আর যদি মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্ট দ্বারা লগইন করে রাখেন, সেক্ষেত্রেও ঐ পাসওয়ার্ড বাইপাস করেও আপনার কম্পিউটার অ্যাক্সেস করা সম্ভব হবে, এই টুল দ্বারা।

উইন্ডোজ পিসি সিকিউরিটি

এবার প্রশ্ন হচ্ছে, কিভাবে অন্য কাউকে আপনার কম্পিউটার পাসওয়ার্ড বাইপাস করে কম্পিউটার অ্যাক্সেস করা থেকে আটকাবেন? এই প্রশ্নের সহজ উত্তর হচ্ছে এনক্রিপশন, জি আপনার কম্পিউটারে সম্পূর্ণ ডিস্ক এনক্রিপটেড করার মাধ্যমে আপনি অন্যকে কম্পিউটার অ্যাক্সেস করা থেকে আটকাতে পারেন। আপনি যদি উইন্ডোজ প্রো ভার্সন ব্যবহার করেন, তো উইন্ডোজ ডিফল্ট বিট-লকার ব্যবহার করে সহজেই সম্পূর্ণ কম্পিউটার এনক্রিপটেড করাতে পারবেন। তবে সম্পূর্ণ কম্পিউটার হার্ড ড্রাইভ এনক্রিপশন করানোর জন্য বিট লকার ট্রাস্টেড প্ল্যাটফর্ম মডিউল হার্ডওয়্যারটি খুঁজবে, যদি সেটা না থাকে আপনার কম্পিউটারে তো আপনি ভেরাক্রিপ্ট ব্যবহার করেও আপনার সম্পূর্ণ কম্পিউটার হার্ড ড্রাইভকে এনক্রিপটেড করাতে পারবেন।
চিন্তা করার কোনই কারণ নেই, ভেরাক্রিপট সম্পূর্ণ ফ্রী একটি টুল যেটা বিট-লকারের মতোই কাজ করে। তবে হ্যাঁ, অবশ্যই এনক্রিপশন ডিক্রিপ্ট করার পাসওয়ার্ড বা কী ভুলে গেলে চলবে না। সেক্ষেত্রে আপনি নিজেই আপনার নিজের সিস্টেম থেকে ব্যান হয়ে যাবেন, আর উইন্ডোজ রি-ইন্সটল করা ছাড়া আর কোনই উপায় থাকবে না। (কিভাবে মনে রাখার মতো কিন্তু হ্যাকার প্রুফ পাসওয়ার্ড তৈরি করবেন?)

লিনাক্স পিসির পাসওয়ার্ড বাইপাস

লিনাক্সের ক্ষেত্রে এখানে আমি উবুন্টু ডিস্ট্র নিয়ে আলোচনা করবো, কেনোনা উবুন্টু ডেস্কটপ ইউজারদের জন্য। যাই হোক, আলাদা লিনাক্স ডিস্ট্রো গুলোকে একই পদ্ধতিতে বাইপাস করা সম্ভব। উবুন্টু’র ডিফল্ট বুট মেন্যু থেকে পাসওয়ার্ড রিকভারি করার অপশন পাওয়া যায়। বুট মেন্যু থেকে অ্যাডভানস অপশন সিলেক্ট করে সহজেই আপনি রিকভারি মুডে চলে যেতে পারবেন। যদি আপনার কম্পিউটার অন করার সময় বুট মেন্যু না দেখতে পান, সেক্ষেত্রে সিফট কী চেপে ধরে কম্পিউটার অন করলে বুট মেন্যু চলে আসবে। যদি ডুয়াল অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে কোন কী চাপতে হবে না, প্রতিবার কম্পিউটার বুট হওয়ার সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে লিনাক্স বুট স্ক্রীন পেয়ে যাবেন।
আপনি চাইলে বুট মেন্যু থেকে “e” প্রেস করে সরাসরি রুট সেল প্রমট মেনুতে চলে যেতে পারেন। এবার নিচের আর‍্যো কি চেপে জাস্ট কার্নেল অপশনে চলে আসুন,
এবার আপনি নিচের স্ক্রীনের মতো আপনার কম্পিউটারে দেখতে পাবেন;
এবার জাস্ট “ro quiet splash” অংশটি রিমুভ করে দিয়ে নিচের কম্যান্ডটি পেস্ট করে দিন;
 rw init=/bin/bash  
এবার এন্টার হিট করে কার্নেল লাইন অ্যাডজাস্ট করার পরে এবার আপনাকে B প্রেস করে বুট মেনুতে চলে যেতে হবে অপশন সিলেক্ট করার জন্য।
এবার সিস্টেম, খুব সহজেই কম্যান্ড প্রমট রান করে দেবে, এবার আপনাকে নিচের কম্যান্ড গুলো প্রবেশ করিয়ে পাসওয়ার্ড রিসেট করাতে হবে। তবে মনে রাখবেন, যদি সিস্টেম ইউজারনেম ভুলে যান সেটা কিন্তু কষ্টের ব্যাপার হয়ে যাবে। অন্তত ইউজারনেম তো মনে রাখতেই হবে।
 passwd <username> 
ইউজার নেমের জায়গায় আপনার ইউজার নেম বসাতে হবে, যেমন;
 passwd techubs  
পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে ফেলার পরে নিচের কম্যান্ডটি প্রবেশ করিয়ে জাস্ট আপনার সিস্টেমকে রিবুট করুণ;
sync
reboot –f
উইন্ডোজ কম্পিউটারের মতো লিনাক্সেও আপনার সিস্টেমকে অন্য কারো হতে পাসওয়ার্ড বাইপাস করে সিস্টেম অ্যাক্সেস করা থেকে রক্ষা করতে এনক্রিপশনের সাহায্য নিতে হবে। আপনি যদি উবুন্টু ব্যবহার করেন বা যেকোনো লিনাক্স ডিস্ট্রতে Grub থাকে, আর Grub পাসওয়ার্ড সেট করার মাধ্যমে আপনি যে কাউকে বুট মেন্যু এডিট করা থেকে আটকিয়ে দিতে পারেন।

হ্যাঁ, পাসওয়ার্ড বাইপাস করা সম্ভব, আর উপরের প্যারাগ্রাফ গুলো এই কথাটির জীবন্ত প্রমাণ, কিন্তু সবার দ্বারা পাসওয়ার্ড বাইপাস করা সম্ভব নয়, যতোক্ষণ সে এই ট্রিক গুলো না জানবে। কিন্তু কেউ যদি আপনার ডিভাইজ ফিজিক্যাল ভাবে অ্যাক্সেস করে এবং পাসওয়ার্ড বাইপাস করার চিন্তা করে তো কেউই তাকে আটকাতে পারবে না। শুধু মাত্র এনক্রিপশনই সেই ক্ষেত্রে আপনার ফাইল বা কাজের ডাটা গুলোকে প্রটেক্ট করতে পারবে। তাই সেটা ফোন হোক আর কম্পিউটার, অবশ্যই ডাটা গুলোকে এনক্রিপশন করিয়ে রাখুন!
আমি এই আর্টিকেলে এনটি পাসওয়ার্ড অ্যান্ড রেজিস্ট্রি এডিটর প্রাক্টিক্যাল টিউটোরিয়াল দেখালাম না, যদি প্রয়োজন হয় আপনি ইউটিউব থেকে সহজেই টিউটোরিয়াল খুঁজে নিতে পাড়বেন, যদি তারপরেও আপনি চান, আমি আরেকটি আলাদা আর্টিকেল পোস্ট করে সেখানে বিস্তারিত প্রাক্টিক্যাল দেখিয়ে দেয়, তো অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে আমাকে জানাতে পারেন।

কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং

No comments

Wednesday, 23 January 2019




কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং এর উদ্দেশ্য এবং কম্পিউটার নেটওয়ার্কের প্রকারভেদ জেনে নিন


একাধিক কম্পিউটারকে পরপর সংযুক্ত করে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম তৈরি করা হয়। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে নেটওয়ার্কভুক্ত সকলে কম্পিউটারের সাহায্যে বিভিন্ন কিছু শেয়ার করবে ও একসাথে কাজ করতে পারবে । এক মূল উদ্দেশ্য কম্পিউটারের মাধ্যমে পারস্পারিক যোগাযোগ । প্রযুক্তির উতকর্ষতার সাথে সাথে যোগাযোগের মাত্তা ও ধরনের পরিবর্তন আসে । বর্তমান সময়ে ফেসবুকের সাহায্যে সামাজিক যোগাযোগ স্কাইপির মাধ্যমে সরাসরি ভিডিও যোগাযোগ উল্লেখ্যযোগ্য । আবার রিসোর্স শেয়ারিং এর জন্য ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন । এক্ষেত্তে হার্ডওয়্যার রিসোর্স শেয়ার , সফটওয়্যার রিসোর্স শেয়ার ও ইনফরমেশন রিসোর্স শেয়ার কাজের সূক্ষতা ও গতি অনেক বাড়িয়ে দেয়।


নেটওয়ার্কের উদ্দেশ্য


দুই বা ততোধিক কম্পিউটারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয় । এ নেটওয়ার্কের প্রধান উদ্দেশ্য কম্পিউটারসমূহের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার রিসোর্স শেয়ার করা । নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত কোন কম্পিউটারের জন্য রিসোর্স হচ্ছে অন্য কম্পিউটারের এমন কোন উপাদান বা সুবিধা বা তার মধ্যে নেই। যে কোন কম্পিউটারের উপাদানগত সীমাবদ্ধ থাকতে পারে । তবে নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যদি রিসোর্স শেয়ার করা যায় তবে কম্পিউটারে সাহায্যে কাজ করার ক্ষেত্ত অনেক বড় হয়ে যাবে । উল্লেখ্যযোগ্য কয়েকটি রিসোর্স সম্পর্কে আলোচনা করা হলো 




হার্ডওয়্যার রিসোর্স শেয়ার

নেটওয়ার্কভুক্ত কোন কম্পিউটারের জন্য অন্য কম্পিউটারের কোন হার্ডওয়্যার উপাদান হচ্ছে হার্ডওয়্যার রিসোর্স । কম্পিউটার নেটওয়ার্কে এটি ব্যপকভাবে ব্যবহারিত হয় । আমরা বিভিন্ন অফিস , ব্যাংক , কম্পিউটার ল্যাব , সাইবার ক্যাফেতে দেখি যে একাধিক কম্পিউটারের নেটওয়ার্ক কিন্তু সেখানে একটি মাএ প্রিন্টার সবাই ব্যবহার করে । এখানে মূলত প্রিন্টারটি সংযুক্ত থাকে সার্ভার কম্পিউটারে । অন্য কম্পিউটারগুলো নেটওয়ার্কভুক্ত থাকার কারনে সার্ভারের পিন্টারটি শেয়ার করতে পারে ।

সফটওয়্যার রিসোর্স শেয়ার


নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সফটওয়্যার রিসোর্স শেয়ার করা যায় । এক্ষেত্তে একটি সফটওয়্যাকেই যদি নেটওয়ার্কের সকল কম্পিউটারকে ব্যবহার করতে হয় তবে একধিক সফটওয়্যার ক্রয় না ক্করে একটি সফটওয়্যার ক্রয় করলেই সবাই তা ব্যবহার করতে পারে ।বিভিন্ন ব্যাংকে টাকা লেনদেনের জন্য যে ভিন্ন ভিন্ন কউন্টার ভিন্ন ভিন্ন কম্পিউটার ব্যবহার করতে দেখা যায় । তা মূলত একটি সফটওয়্যারকেই সকলেই শেয়ার করে থাকে ।

ফাইল বা ইনফরমেশন অথবা ডেটা রিসোর্স শেয়ার 


নেটওয়ার্কের ফলে একটি কম্পিউটারে বসে অন্য কম্পিউটারের ফাইল বা ডেটা অথবা ইনফরমেশন অ্যাকসেস করা যায় । ফলে সকল ফাইল বা ইনফরমেশন একটি কম্পিউটারে না রেখে ভিন্ন ভিন্ন কম্পিউটারে রাখা হয় । ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে ভিন্ন ভিন্ন কম্পিউটার মূল সার্ভারে রক্ষিত ডেটাবেজ থেকে ফাইল বা ডেটা শেয়ার করতে পারে।





কম্পিউটার নেটওয়ার্কের প্রকারভেদ –


ভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের বিভিন্ন ভাবে শ্রেনীবিভাগ করা হয় । যথা

  • মালিকানা অনুসারে নেটওয়ার্কের প্রকারভেদ – 

  1. প্রাভবেট নেটওয়ার্ক 
  2. পাবলিক নেটওয়ার্ক 


  • সার্ভিস প্রদান ও নিয়ন্তণ কাঠামো নেটওয়ার্কের প্রকারভেদ – 

  1. পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক 
  2. ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক বা সার্ভার বেসভ নেটওয়ার্ক 
  3. হাইব্রিড নেটওয়ার্ক 
  • ভৌগলিক বিস্তৃতি অনুসারে নেটওয়ার্কের প্রকারভেদ – 

  1. পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক 
  2. লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক 
  3. মেট্রোপলিটান এরিয়া নেটওয়ার্ক 
  4. ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক 
মালিকানা অনুসারে নেটওয়ার্কের প্রকারভেদ .

প্রাইভেট নেটওয়ার্ক প্রাইভে্ট নেটওয়ার্ক সাধারনত কোন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থায় মালিকানাধীন থাকে । এটিতে কেউ ইচ্ছে করলেই এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারবে না । এই নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা অত্যন্ত মজবুত এবং ট্রাফিক নেই বললেই চলে । উদাহরনস্বরুপ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড , ঢাকা এর নিজস্ব নেটওয়ার্ক ।

পাবলিক নেটওয়ার্ক পাবলিক নেটওয়ার্ক সাধারনত কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন থাকে না । এটি কোন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা দ্বারা পরিচালিত হয় । যে কেউ চাইলেই এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারবে ।তবে এর বিনিময়ে মূল্য পরিশোধ করতে হবে । উদাহরনস্বরুপ বিভিন্ন মোবাইল ফোন কিংবা টেলিফোন নেটওয়ার্ক সিস্টেম ।

এনভিডিয়া জি-সিঙ্ক কিভাবে কাজ করে ? জি - সিঙ্ক Vs ফ্রী - সিঙ্ক !

No comments

Friday, 19 January 2018





পনি যদি পিসিতে অনেক বেশি গেম খেলে থাকেন এবং এনভিডিয়ার একটি এক্সটার্নাল জিপিইউ ব্যাবহার করেন গেম খেলার সময় তাহলে খুব সম্ভবত আপনি জি-সিঙ্ক টেকনোলজির কথা অনেকবার শুনেছেন এখন পর্যন্ত। কিন্তু আসলে এই এনভিডিয়া জি-সিঙ্ক কি এবং এর দরকারই বা কি? আজকে বিষয়টি নিয়েই ছোট করে আলোচনা করবো।




আমরা সবাই প্রায় কমবেশি মনিটর এবং জিপিইউ এর ব্যাপারে জানি। আমরা সবাই এটাও জানি যে প্রত্যেকটি মনিটরের প্রত্যেকটি ডিসপ্লের আলাদা আলাদা রিফ্রেশ রেট থাকে। এখনকার প্রায় ৯০% মনিটর ৬০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের হয়ে থাকে। অর্থাৎ, মনিটরগুলো প্রতি সেকেন্ডে ৬০ বার রিফ্রেশ হয়। অথবা এগুলো প্রতি সেকেন্ডে সর্বোচ্চ ৬০ টি করে ফ্রেম চেঞ্জ করতে পারে বললেও ভুল হবেনা।
এবার আসি জিপিইউ এর কথায়। বাজারে অনেক ধরনের জিপিইউ পাওয়া যায়। প্রত্যেকটিই আলাদা আলাদা রকম পাওয়ারফুল হওয়ায় প্রত্যেকের রেন্ডার স্পিডেরও অনেক তফাত আছে। উদাহরণস্বরূপ, হাই এন্ড এনভিডিয়া জিপিইউগুলো যেমন জিটিএক্স ১০৭০, ১০৮০ বা ১০৮০ টিআই ইত্যাদি জিপিইউ অনেক হাই ফ্রেম রেটে গেম রেন্ডার করতে পারে। যেমন, ৮০ বা ১০০ এফপিএস। কিন্তু একটু মিড রেঞ্জের জিপিইউ যেমন, জিটিএক্স ১০৩০ বা ১০৫০ ইত্যাদি আরেকটু কম ফ্রেম রেটে গেম রেন্ডার করে। যেমন, ৪০ বা ৬০ এফপিএস। কিন্তু এখানেই সমস্যাটি তৈরী হয়।  বর্তমান সময়ে ৬০ এফপিএস রিফ্রেশ রেটের থেকে বেশি রেটের মনিটর খুব বেশি পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলেও সেগুলোর দাম অনেক বেশি হয়ে থাকে। তাই সবাই এই ধরণের হয় রিফ্রেশ রেটের মনিটর এফোর্ড করতেও পারেন না।  কিন্তু প্রধান সমস্যাটি কি হয় এবং সেটি ফিক্স করতে এনভিডিয়া জি-সিঙ্ক কিভাবে কাজ করে, তা নিচে আলোচনা করছি।

এনভিডিয়া জি-সিঙ্ক কি?

ধরুন, আপনার কাছে যে মনিটরটি বা যে ডিসপ্লেটি আছে সেটি অন্যদের মতোই ৬০ এফপিএস রিফ্রেশ রেটের। তার মানে আপনার মনিটরটি প্রতি সেকেন্ডে ৬০ বার রিফ্রেশ হতে পারে বা ৬০ টি নতুন ফ্রেম নিতে পারে। এর বেশি পারেনা। আর আপনার পিসিতে যে জিপিইউ আছে, সেটি কোনো একটি হাই এন্ড জিপিইউ যেমন, জিটিএক্স ১০৭০ অথবা ১০৮০ ইত্যাদি। সেক্ষেত্রে আপনার জিপিইউ অধিকাংশ গেম খেলার সময়ই সেই গেমটি ৬০ এফপিএস এর অনেক বেশি রেটে রেন্ডার করবে। এবার  ভেবে দেখুন, আপনার মনিটর প্রতি সেকেন্ডে ৬০ টি ফ্রেমের বেশি সাপোর্ট করছে না, তবে আপনার জিপিইউ প্রতি সেকেন্ডে ৬০ টি ফ্রেমের বেশি রেন্ডার করছে যাতে আপনার মনিটর সেটি দেখতে পারে। ঠিক এই অবস্থায় যে সমস্যাটি হয় সেটি হচ্ছে স্ক্রিন টিয়ারিং। এসময় আপনার মনিটর যেহেতু প্রতি সেকেন্ডে ৬০ টির বেশি ফ্রেম পাচ্ছে কিন্তু সাপোর্ট না করার কারণে তা দেখতে পারছে না, তাই প্রত্যেকবার এটিকে ১ টির বেশি ফ্রেম বা একটির বেশি ছবিকে আলাদাভাবে দেখতে হচ্ছে। এর ফলেই ঘটে স্ক্রিন টিয়ারিং। স্ক্রিন টিয়ারিং বলতে, স্ক্রিন এর মাঝ বরাবর একটি কাটা দাগ বা একটি ছবি কেটে গিয়ে তার মাঝখানে পরের ফ্রেমটির ছবি চলে আসা- এমন অনেক ধরণের টিয়ারিং হতে পারে, যেটি অবশ্যই সম্পূর্ণ গেমিং এক্সপেরিএন্সকে খারাপ করে দিতে যথেষ্ট। এনভিডিয়া জি-সিঙ্ক হচ্ছে এনভিডিয়ার এমন একটি ফিচার যেটি হাই এন্ড জিপিইউগুলোকে স্লো ডাউন করে দেয় যাতে সেগুলো তাদের সর্বোচ্চ শক্তিতে গেম রেন্ডার না করে কিছুটা কম ফ্রেম রেটে রেন্ডার করে বা আরো ভালোভাবে বলতে হলে, মনিটর সর্বোচ্চ যে রিফ্রেশ রেট সাপোর্ট করে সেই রেটে রেন্ডার করে, যাতে মনিটর সেটি ভালোভাবেই সাপোর্ট করে এবং কোনো ধরণের স্ক্রিন  টিয়ারিং না হয়।


কিন্তু এখানে আরো একটি সমস্যা আছে। এখনকার নতুন যেসব হাই এন্ড গেমস বা খুব বেশি জিপিইউ ইনটেনসিভ যেসব গেমস আছে, সেগুলো অনেকসময় হয় এন্ড জিপিইউতেও ৬০ এফপিএস এর বেশি রেটে রেন্ডার হতে পারেনা। তখন যদি এই জি-সিঙ্ক টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়, তখন পূর্বে বলা সমস্যার বিপরীত ঘটে যাবে। তখন দেখা যাবে, আপনার মনিটর ৬০ ফ্রেমস পার সেকেন্ড সাপোর্ট করলেও আপনার জিপিইউ সম্পূর্ণ ৬০ এফপিএস প্রোভাইড করতে পারছে না, কারণ গেমটি অনেক বেশি গ্রাফিক্স ইনটেনসিভ। তখন জি-সিঙ্ক অন করা থাকলে আপনার মনিটরকে ফ্রেমস শো করার জন্য আরো অপেক্ষা করে থাকতে হবে। তখন আবার স্ক্রিন টিয়ারিং এর জায়গায় শুরু হবে স্টাটারিং এবং ল্যাগ। কিন্তু এই সমস্যাটির সমাধান দেয় এএমডির ফ্রী-সিঙ্ক।

এএমডি ফ্রী-সিঙ্ক কি এবং জি-সিঙ্কের সাথে পার্থক্য কি?


টেকনিক্যালি ফ্রী-সিঙ্ক এবং এনভিডিয়ার জি-সিঙ্ক একই কাজ করে থাকে, যেটি হচ্ছে জিপিইউ এবং মনিটরের ফ্রেম রেটের মধ্যে মিল রাখা যাতে কোনো গেমে স্ক্রিন টিয়ারিং না ঘটে। কিন্তু এএমডি এটি আরেকটু অন্যভাবে করে। যদিও টেকনিক্যালি এটিও হাই এন্ড জিপিইউগুলোকে স্লো ডাউন করে দেয়, তবে এটি সবসময় মনিটরের ফ্রেম রেট অনুযায়ী স্লো ডাউন করেনা।  এটি যা করে তা হচ্ছে, এটি এডাপ্টিভ সিঙ্ক স্ট্যান্ডার্ড ফলো করে, যেগুলো থার্ড পার্টি স্কেলার এর কাছে এভেইলেবল থাকে। যেখানে এনভিডিয়া জি-সিঙ্ক শুধুমাত্র এনভিডিয়ার তৈরী স্কেলার মডিউলে কাজ করে যেটি মনিটর ম্যানুফ্যাকচারার এর কাছে এনভিডিয়া সেল করে । যার ফলে, এএমডির ফ্রী-সিঙ্ক এনভিডিয়ার জি-সিঙ্কের তুলনায় আরো বেশি কম্পিটেবল মনিটরে কাজ করে।  কিন্তু এনভিডিয়ার জি-সিঙ্ক শুধুমাত্র সেসব মনিটরেই কাজ করবে যেগুলোতে এনভিডিয়ার এই স্কেলার মডিউলটি আছে বা এনভিডিয়া যাদের কাছে এটি সেল করেছে। এছাড়া এএমডি এডাপ্টিভ সিংক স্ট্যান্ডার্ড ফলো করার কারণে, ফ্রী-সিঙ্ক জিপিইউকে শুধুমাত্র মনিটরের রিফ্রেশ রেট অনুযায়ী স্লো ডাউন করেনা। বরং, এমন একটি ফ্রেম রেটে স্লো ডাউন করতে পারে, যেটি মনিটর এবং জিপিইউ দুটির জন্যই ভালো। যার ফলে হয় এন্ড গেম, লো এন্ড গেম দুই ক্ষেত্রেই পারফর্মেন্স ইম্প্রুভ হয়।
শেষ করার আগে, আপনার যদি এনভিডিয়া এবং এএমডির মধ্যে কোন জিপিইউটি ভালো এবং আপনার কোনটি নেওয়া উচিত হবে এই বিষয়ে কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচের আর্টিকেলটি পড়ে নিতে পারেন-

এএমডি Vs. এনভিডিয়া | নেক্সট জিপিইউ কোন কোম্পানির কিনবেন?



নভিডিয়া জি-সিঙ্ক হচ্ছে এনভিডিয়ার এমন একটি ফিচার যেটি হাই এন্ড জিপিইউগুলোকে স্লো ডাউন করে দেয় যাতে সেগুলো তাদের সর্বোচ্চ শক্তিতে গেম রেন্ডার না করে কিছুটা কম ফ্রেম রেটে রেন্ডার করে বা আরো ভালোভাবে বলতে হলে, মনিটর সর্বোচ্চ যে রিফ্রেশ রেট সাপোর্ট করে সেই রেটে রেন্ডার করে, যাতে মনিটর সেটি ভালোভাবেই সাপোর্ট করে এবং কোনো ধরণের স্ক্রিন  টিয়ারিং না হয়। এএমডি এডাপ্টিভ সিংক স্ট্যান্ডার্ড ফলো করার কারণে, ফ্রী-সিঙ্ক জিপিইউকে শুধুমাত্র মনিটরের রিফ্রেশ রেট অনুযায়ী স্লো ডাউন করেনা। বরং, এমন একটি ফ্রেম রেটে স্লো ডাউন করতে পারে, যেটি মনিটর এবং জিপিইউ দুটির জন্যই ভালো। যার ফলে হয় এন্ড গেম, লো এন্ড গেম দুই ক্ষেত্রেই পারফর্মেন্স ইম্প্রুভ হয়।


আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। কোনো ধরণের প্রশ্ন বা মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট সেকশনে জানাবেন।

Don't Miss
© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
made with by SaHaLoM Pro