Showing posts with label 8. Show all posts
Showing posts with label 8. Show all posts

আমাদের ডেটা কমিউনিকেশন সার্ভিস & ডেটা কমিউনিকেশন সিস্টেম

No comments

Tuesday, 5 February 2019



ডেটা কমিউনিকেশনঃ কমিউনিকেশন শব্দটি Communicare শব্দ হতে এসেছে যার অর্থ to share (আদান-প্রদান/ বিনিময়)। সুতরাং একজনের সাথে আরেক জনের পরস্পর তথ্য বিনিময় বা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বা এক যন্ত্র থেকে অন্য যন্ত্রে তথ্য বিনিময়ই হচ্ছে ডেটা কমিউনিকেশন।

সিস্টেম- কোনো নির্দিস্ট কাজ সহজে এবং সঠিকভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে সুসংবদ্ধ রীতি-নীতিকে সিষ্টেম বলে।

ডেটা কমিউনিকেশন সিস্টেমঃ যে সিস্টেমে উপাত্ত বা তথ্যকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে কিংবা এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইস এ একটি নির্দিষ্ট চ্যানেলের মাধ্যমে স্থানান্তরিত করে এবং সেই তথ্য সংগ্রহ করে ব্যবহার করা যায়, তাকে ডেটা কমিউনিকেশন সিস্টেম বলে।



ডেটা কমিউনিকেশন সিস্টেম–এর উপাদান ঃ




উৎস: যে ডিভাইস হতে ডেটা পাঠানো হয় তাকে উৎস বলে। যেমন- কম্পিউটার, টেলিফোন।

প্রেরক: ডেটাকে উৎস থেকে একটি মাধ্যমের মধ্য দিয়ে প্রাপকের কাছে প্রেরণ করে। এর কাজ হচ্ছে ডেটাকে একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ট্রান্সমিশন সিস্টেমের মধ্য দিয়ে প্রেরণের উপযোগী করে রুপান্তর করা এবং ডেটার নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনে একে এনকোড করা। যেমন: মডেম। মানুষের ভাষাকে কম্পিউটারের/মেশিনের ভাষায় পরিনত করাকে এনকোড বলে।

মাধ্যম: যা উৎস ও গম্ভব্য ডিভাইসকে যুক্ত করে এবং যার মধ্য দিয়ে ডেটা স্থানান্তর হয় তাকে মাধ্যম বা কমিউনিকেশন চ্যানেল বলে। মাধ্যম দুই ধরণের হতে পারে। যেমন: তার মাধ্যম এবং তারবিহীন মাধ্যম। 


প্রাপক: কমিউনিকেশন সিস্টেমে যার কাছে ডেটা পাঠানো হয় তাকে প্রাপক বা গ্রাহক বলে। গ্রাহকের কাজ হচ্ছে ট্রান্সমিশন সিস্টেম থেকে ডেটা সিগনাল গ্রহন করা এবং এ সিগনালকে গন্তব্য ডিভাইসের বোধগম্য(ডিকোড) করে উপস্থাপন করা।কম্পিউটারের/মেশিনের ভাষাকে মানুষের ভাষায় পরিনত করাকে ডিকোড বলে।

গন্তব্য: যার উদ্দেশ্য বা যে যন্ত্রে ডেটা পাঠানো হয় অর্থাৎ ট্রান্সমিশনের পর ডেটা সর্বশেষ যে স্থানে রাখা হয় তাই গন্তব্য বলে। যেমন- কম্পিউটার।

ডেটা ট্রান্সমিশন স্পিডঃ প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমান ডেটা ট্রান্সফার হয় অর্থাৎ ডেটা ট্রান্সফারের হারকে ব্যান্ডউইথ বলে।একে ট্রান্সমিশন স্পিড ও বলা হয়। এই ব্যান্ডউইথ সাধারণত Bit per Second (bps) এ হিসাব করা হয়। বাইনারী ডিজিট ০ এবং ১ কে বিট বলে। একে b দ্বারা প্রকাশ করা হয়।


১ বাইট = ৮ বিট
১ কিলোবাইট = ১০২৪ বাইট
১ মেগাবাইট = ১০২৪ কিলোবাইট
১ গিগাবাইট = ১০২৪ মেগাবাইট
১ টেরাবাইট = ১০২৪ গিগাবাইট

একক সময়ে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটার বা এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে ডেটা স্থানান্তরের হারকে ডেটা ট্রান্সমিশন স্পিড বলে। 58 kbps বলতে বোঝায় প্রতি সেকেন্ডে 58 কিলোবিট ডেটা এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে স্থানান্তরিত হয়।

এই ডেটা ট্রান্সফার গতির উপর ভিত্তি করে ডেটা ট্রান্সমিশন স্পিড তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ

ন্যারো ব্যান্ড : ডেটা ট্রান্সমিশন স্পিড ৪৫ থেকে ৩০০bps। টেলিগ্রাফিতে ন্যারো ব্যান্ড ব্যবহিত হয়।

ভয়েস ব্যান্ড: ডেটা ট্রান্সমিশন স্পিড ৯৬০০ bps। টেলিফোনে বেশি ব্যবহৃত হয়। এছাড়া কম্পিউটার থেকে প্রিন্টার বা কার্ড রিডারে ডেটা স্থানান্তরে ব্যবহৃত হয়।

ব্রড ব্যান্ড: ডেটা ট্রান্সমিশন স্পিড কমপক্ষে ১ Mbps। সাইবার লাইন(ডিএসএল), রেডিও লিংক, মাইক্রোয়েভ, স্যাটেলাইট, ফাইবার অপটিকস্ ব্যবহৃত হয়।



Don't Miss
© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
made with by SaHaLoM Pro